Madhya Pradesh: তৃতীয় স্ত্রীর ‘প্ররোচনায়’ প্রথম স্ত্রীর ৭ বছরের ছেলেকে হত্যা, হোয়াটসঅ্যাপে পাঠালেন অপরাধের ভিডিয়ো
Madhya Pradesh: সাত বছরের ছেলেকে হত্যার দায়ে গ্রেফতার বাবা! ওই ব্যক্তির দাবি, ছেলেটি ছিল তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সন্তান। তৃতীয় পক্ষের স্ত্রীর প্ররোচনাতেই এই কাজ করেছেন তিনি।
ইন্দোর: সাত বছরের ছেলেকে হত্যার দায়ে গ্রেফতার বাবা! ২৬ বছরের ওই ব্যক্তির দাবি, ছেলেটি ছিল তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সন্তান। কিন্তু, তাঁর তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী ছেলেটির সঙ্গে থাকতে অস্বীকার করেছিল। এই নিয়ে অশান্তির জেরেই গত রবিবার রাতে নিজের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন তিনি। শুধু হত্যা করাই নয়, হত্যার পর মৃত ছেলের ভিডিয়ো রেকর্ড করে সেই ভিডিয়ো ক্লিপ পাঠিয়েছিলেন তাঁর তৃতীয় স্ত্রীর কাছে। ঘটনার পর পালিয়ে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু, মঙ্গলবার (১৭ মে) তৃতীয় পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গেই ঘাতক বাবাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই অপরাধের ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের ইন্দোরে। ইন্দোরে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জয়বীর সিং ভাদোরিয়া জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম শশিপাল মুন্ডে। তিনি পেশায় একজন গাড়ি চালক। তাঁর তৃতীয় স্ত্রী-এর বয়স ২৩, নাম মমতা ওরফে পায়েল।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জয়বীর সিং ভাদোরিয়া বলেছেন, “মুন্ডের তৃতীয় স্ত্রী প্রথম থেকেই ছেলেটির সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করতেন। এই বিষয়ে নিয়ে তাদের প্রায়শই ঝগড়া হত। মাস তিনেক আগে পায়েল তাঁর বাপের বাড়িতে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। শশিপালের দাবি, নিজের সন্তানের জন্মের পরই পায়েল তাঁকে বলেছিলেন যে, যদি প্রথম পক্ষের ছেলেটিকে তিনি বাড়ি থেকে বের করে দেন বা তাকে হত্যা করেন, তবেই তিনি কোলের সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসবেন।”
ছেলেকে হত্যার পর, নিহত সন্তানের ভিডিয়ো রেকর্ড করে সেই ভিডিয়ো পায়েলের কাছে হোয়াটসঅ্যাপ করেছিলেন শশিপাল। কিন্তু, তার আগেই শশিপালের মোবাইল নম্বর ব্লক করে দিয়েছিলেন পায়েল, তাই সেই ভিডিয়ো তিনি দেখতে পাননি। সংবাদমাধ্যমকে শশিপাল বলেছেন, “আমি এই ভিডিয়োটির সঙ্গে পায়েলকে একটি বার্তাও পাঠিয়েছিলাম। বলেছিলাম, এখন আর আমার ছেলে তাঁকে কখনও কষ্ট দেবে না। কারণ, আমি তাকে মেরে ফেলেছি।” পায়েল যদিও দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ। তিনি বলেছেন, “আমি কখনই আমার স্বামীকে তাঁর সাত বছরের ছেলেকে হত্যা করতে বলিনি। এই বিষয়ে আমার কোনও ভূমিকাই নেই।” পরে, পুলিশ শশীপাল মুন্ডের মোবাইল ফোন অপরাধের ওই ভিডিয়ো ক্লিপটি উদ্ধার করেছে। এই বিষয়ে আরও তদন্ত করা হচ্ছে।