Madhya Pradesh: পুলিশের হয়ে হত্যাকারী ধরলেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু! কাকার গ্রেফতারিতে অবাক নিহতের পরিবার
Madhya Pradesh: মধ্যপ্রদেশে হত্যাকারী ধরতে স্বঘোষিত ধর্মগুরুর শরণাপন্ন হতে দেখা গেল পুলিশকে। ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই, সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে দুই পুলিশ কর্তাকে।
ভোপাল: হত্যাকারী ধরতে স্বঘোষিত ধর্মগুরুর শরণাপন্ন পুলিশ! কোনও তদন্তের প্রয়োজন নেই, ওই ধর্মগুরুই বলে দিল অপরাধীর নাম। আর তাকে গ্রেফতারও করে নিল পুলিশ। এক ১৭ বছর বয়সী কিশোরীর হত্যার ঘটনায় এমনই ভূমিকা দেখা গেল মধ্যপ্রদেশ পুলিশের। তবে এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই, তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক। যার জেরে ছাতারপুরের বামিথা থানার সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর অনিল শর্মাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, লাইন অ্যাটাচ করা হয়েছে বামিথা থানার অফিসার-ইন-চার্জ পঙ্কজ শর্মাকেও।
এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল গত ২৮ জুলাই। ওটাপুরা গ্রামের এক কূপ থেকে এক ১৭ বছর বয়সী কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। মেয়েটির পরিবারের লোকজন গ্রামেরই তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অধীনে হত্যার মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। রবি আহিরওয়ার, গুড্ডা ওরফে রাকেশ আহিরওয়ার এবং আমান আহিরওয়ার নামে তিন সন্দেহভাজনকে আটক করেছিল। পরে অবশ্য প্রমাণের অভাবে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
এর কয়েকদিন পর, পুলিশ আচমকা ওই নাবালিকাকে হত্যার দায়ে তাঁর কাকা তীর্থ আহিরওয়ারকে গ্রেফতার করে। পুলিশ দাবি করে, কাকা সন্দেহ করেছিলেন ভাইঝির সঙ্গে অন্য একজনের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করেই ওই নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে, দেহটি কুয়োয় ফেলে দিয়েছিলেন। এই গ্রেফতারিতে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। এরপরই সামনে আসে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োটি।
In a bid to identify the suspect in the death of a 17-year-old girl,ASI Anil Sharma from Chhatarpur reached out to Pandokhar Sarkar, he could be heard saying he has called out the names of a few people the name he missed will lead them to the suspect @ndtv @ndtvindia pic.twitter.com/u2RrpaLuYG
— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) August 19, 2022
কী ছিল সেই ভিডিয়োতে? দেখা গিয়েছে এই হত্যা মামলার সমাধানের জন্য পান্ডোখর সরকার নামে এক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর শরনাপন্ন হয়েছেন সাব-ইন্সপেক্টর অনিল শর্মা। তাকে বলতে শোনা যায়, তিনি কয়েকজনের সন্দেহভাজনের নাম বলবেন। যে নামটি তিনি বলবেন না, সেই হত্যাকারী বলে দাবি করে পান্ডোখর সরকার। তিনি আরও বলেন, প্রধান সন্দেহভাজন মাঝগুয়ান অঞ্চলের বাসিন্দা। তাকে ধরলেই এই মামলার সমাধান করা যাবে।
এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরই পুলিশ সুপার শচীন শর্মার নির্দেশে দুই পুলিশ কর্তা অনিল শর্মা এবং পঙ্কজ শর্মাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নতুন একটি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার মনমোহন সিং বাঘেলকে ওই দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।