Uddhav Thackeray: ‘হ্যাঁ, আমরা ক্ষমতার জন্য জোট বেধেছিলাম কিন্তু…’, বিজেপির অভিযোগ মেনে নিয়েও কটাক্ষ উদ্ধবের

Uddhav Thackeray-PM Modi: বিজেপির বিরুদ্ধে মেরুকরণের রাজনীতির অভিযোগ করে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, "যখনই কোনও নির্বাচন আসে, তখন ওরা (বিজেপি) সাধারণ মানুষের মধ্যে মেরুকরণ শুরু করে দেয়।"

Uddhav Thackeray: 'হ্যাঁ, আমরা ক্ষমতার জন্য জোট বেধেছিলাম কিন্তু...', বিজেপির অভিযোগ মেনে নিয়েও কটাক্ষ উদ্ধবের
উদ্ধব ঠাকরে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 03, 2023 | 8:44 AM

মুম্বই: প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবাল(Arvind Kejriwal)। তাঁর এই দাবিকে খারিজ যেমন করে দেওয়া হয়, পাশাপাশি কেজরীবালকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করে গুজরাট হাইকোর্ট (Gujarat High Court)। এরপরও চুপ করেননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এবার তার দলে নাম লেখালেন আরও এক নেতা। তিনি হলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তিনিও প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। শিবসেনা উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে দলের নেতা উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) রবিবার বলেন, “দেশে এমন বহু যুবক রয়েছে যাদের ডিগ্রি রয়েছে অথচ চাকরি নেই… যখন প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর ডিগ্রি দেখাতে বলা হয়, তখন ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই কলেজটা কোথায়, যারা এই বিষয়ে গর্বিত নন যে তাদের কলেজ থেকে দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পড়াশোনা করেছেন?”

সম্প্রতিই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। গুজরাট হাইকোর্টে তিনি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে গুজরাট হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়, এই তথ্য প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদার সঙ্গে কোনওভাবেই সম্পর্কিত নয়। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্য জনসাধারণ দেখতে পান।  তবে আদালতের জরিমানার পরও চুপ করেননি কেজরীবাল। পরেরদিনই ফের প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মন্তব্য করেন।

দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েই প্রাক্তন জোটসঙ্গী বিজেপিকে আক্রমণ করেন উদ্ধব ঠাকরে। নীতিগত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে জোট বাধা নিয়ে বিজেপির তরফে যে ক্রমাগত আক্রমণ করা হয়, তার জবাব দিয়ে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, “হ্য়াঁ, আমরা ক্ষমতার জন্য একজোট হয়েছিলাম। কিন্তু সেই ক্ষমতা হারানোর পরও আমরা একসঙ্গে রয়েছি এবং আরও শক্তিশালী হয়েছি।”
বিজেপির বিরুদ্ধে মেরুকরণের রাজনীতির অভিযোগ করে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, “যখনই কোনও নির্বাচন আসে, তখন ওরা (বিজেপি) সাধারণ মানুষের মধ্যে মেরুকরণ শুরু করে দেয়। হিন্দু জন আক্রোশ তৈরি হয়েছে। ওরা (বিজেপি) আমার বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদ ছাড়ার অভিযোগ আনে। একটা উদাহরণ দিক যেখানে প্রমাণিত হয়েছে আমি হিন্দুত্ব ছেড়েছি। সংবিধানের শপথ নেওয়ার পরও আপনারা যদি মেরুকরণ করেন, তবে আপনারা সংবিধানকে অপমান করছেন। বিজেপি আইন-বিচার ব্যবস্থাকেও নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। কিন্তু বিচার ব্যবস্থা তা হতে দিচ্ছে না।”