Delhi IAS officer: আমলা বদলিতে উত্তর পূর্বকে অপমান করছে কেন্দ্র, তোপ মহুয়া-ওমরদের

Delhi IAS officer: বদলি নিয়ে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকেও। মহুয়ার দাবি এ কাজ করে আদপে উত্তর পূর্ব ভারতকে অপমান করছে কেন্দ্র। তোপ দেগেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা।

Delhi IAS officer: আমলা বদলিতে উত্তর পূর্বকে অপমান করছে কেন্দ্র, তোপ মহুয়া-ওমরদের
ছবি - কেন্দ্রকে আক্রমণে মহুয়া-ওমর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 27, 2022 | 8:31 PM

নয়া দিল্লি: দিল্লির আইএএস অফিসারের (Delhi IAS officer) পোষ্য নিয়ে সান্ধ্য ভ্রমণের জন্য খাঁড়া নেমেছিল খেলোয়াড় প্রশিক্ষণে। সন্ধ্যার পরেই বন্ধ হয়েছিল স্টেডিয়ামের দরজা। এদিকে এই খবর সামনে আসার পরে নড়েচড়ে বসে দিল্লি সরকার। একেবারে লাদাখে বদলি করে দেওয়া হয় দিল্লির প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (Delhi Principal Secretary) সঞ্জীব খিরওয়ারকে। একইসঙ্গে তাঁর স্ত্রী রিঙ্কু দুগগাও বদলি হয়ে যান অরুণাচল প্রদেশে। যা নিয়েই গতকাল থেকে তীব্র চাপান-উতর চলছে দিল্লির রাজ্য-রাজনীতিতে। এদিকে বদলির সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। 

ওমরের সাফ প্রশ্ন, কেন বারবার সরকারি কর্মীদের ‘শাস্তিমূলক বদলির’ জন্য লাদাখকেই বেছে নেওয়া হয়? এ বিষয়ে তিনি একটি টুইটও করেন। সেখানে তিনি লেখেন, “কেন সবাই লাদাখে বদলিকে সর্বদা “শাস্তিমূলক পোস্টিং” বলে? লাদাখের সৌন্দর্য্য নজর কাড়ে সকলের। একইসঙ্গে এখানকার মানুষরাও অনেক বেশি  অতিথিপরায়ণ। কিন্তু, এখানেই বারবার সরকারি আধিকারিকদের ‘শাস্তিমূলক বদলি’ করে লাদাখ সম্পর্কে একটা ভুল বার্তা দেওয়া হয়”। একইসঙ্গে অরুণাচলে আইএএস অফিসারের স্ত্রীর বদলি নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। এ ক্ষেত্রেও তাঁর দাবি, “আমি নিশ্চিত লাদাখের মতো অরুণাচলেও নিজস্ব সৌন্দর্য্য আছে। যদিও আমি সেখানে যাইনি”।

অন্যদিকে, সরকারি বদলি নিয়ে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকেও। মহুয়ার দাবি এ কাজ করে আদপে উত্তর পূর্ব ভারতকে অপমান করছে কেন্দ্র। ‘পানিশমেন্ট পোস্টিংয়ের’ জন্য কেন বারবার উত্তর পূর্বকে বেছে নেওয়া হয় সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্দু ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজেজুকে মেনশন করে একটি টুইটও করতে দেখা যায় মহুয়াকে। যা নিয়ে দিল্লির অন্দরে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। প্রসঙ্গত, দিল্লির ত্যাগরাজ স্টেডিয়ামের একজন কোচ সম্প্রতি দাবি করেন তিনি আগে রাত আটটা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দিতেন। কিন্তু, এখন সন্ধ্যা সাতটা বাজতে না বাজতেই তাঁরে মাঠ ছাড়তে বলা হয়। ১৯৯৪ ব্যাচের আইএএস অফিসার সঞ্জীব খিরওয়ার নির্দেশেই বন্ধ হচ্ছিল স্টেডিয়ামের দরজা। যা নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত।