Man Beheads Sister: বোনের কাটা মাথা হাতে নিয়ে সোজা থানার পথে দাদা, প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে এত রাগ!
Man Beheads Sister: ফতেপুর থানার পুলিশ প্রথমে তাঁকে আটক করে। পরে পুলিশের আরও একটি টিম পৌঁছয় রিয়াজের বাড়িতে। সেখানে তাঁর বোনের বাকি দেহাংশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
উত্তর প্রদেশ: শান্তভাবে এক যুবক একটি কাটা মাথা নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে রাস্তা দিয়ে। স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জানা যায়, কাটা মাথাটি আসলে ওই যুবকের বোনের। তিনি নিজেই বোনের মুণ্ডচ্ছেদ করে থানায় যাচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবকের নাম মহম্মদ রিয়াজ। ১৯ বছরের বোনকে তিনিই খুন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের জেরায়।
শুক্রবার উত্তর প্রদেশের বারাবাঙ্কি জেলার মিথওয়াড়া গ্রামে রাস্তা দিয়ে ওই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত মাথা হাতে হেঁটে যেতে দেখা যায়। ফতেপুর থানার পুলিশ প্রথমে তাঁকে আটক করে। পরে পুলিশের আরও একটি টিম পৌঁছয় রিয়াজের বাড়িতে। সেখানে তাঁর বোনের বাকি দেহাংশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেই দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল রিয়াজের বোনের। তা নিয়ে, মাঝেমধ্যেই ঝামেলা হত। সেই সম্পর্ক একেবারেই পছন্দ ছিল না ধৃত যুবকের। সে কারণে তিনি বোনকে খুন করেন বল জানতে পেরেছে পুলিশ।
রিয়াজের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর বাবা আব্দুল রশিদ। বারাবাঙ্কির সার্কেল অফিসার রঘুবীর সিং জানিয়েছেন, পুলিশের জেরায় খুনের রিয়াজ জানিয়েছেন যে তিনি বোনের সম্পর্ক নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। মাস তিনেক আগে পালিয়েও গিয়েছিলেন ১৯ বছরের ওই যুবতী। পুলিশ আরও জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ বোনের সঙ্গে বচসা শুরু হয় রিয়াজের। সেই সময় বাড়িতে আর কেই ছিল না। বোনকে বারবার সম্পর্ক শেষ করে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন অভিযুক্ত যুবক। এরপর আচমকাই ঘর থেকে বেরিয়ে যান রিয়াজ। ফিরে আসেন একটি ধারাল অস্ত্র নিয়ে। তারপরই বোনের শরীর থেকে মাথা আলাদা করে ফেলেন।
উল্লেখ্য়, বছর কয়েক আগে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল কলকাতার উপকন্ঠে। নাদিয়ালে এক যুবক এভাবেই বোনের মাথা কেটে, কাটা মাথা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন থানায়।