Uttarkashi Tunnel Rescue: টানেলের ভিতরে শ্রমিকদের ছবি সামনে আনার কারিগর সিঙ্গুরের দৌদীপ
Uttarkashi Tunnel Rescue: ক্যামেরাটিকে বলা হয় এন্ডোস্কোপিক ফ্লেক্সি ক্যামেরা। উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার দিন দশেক আগে সেই ক্যামেরা পৌঁছে দেওয়া হয় ভিতরে। একটি তারের সংযোগে লেন্স পৌঁছে যায় পাইপের মাধ্যমে।
উত্তরকাশী: একটা পাইপ ছাড়া প্রাথমিকভাবে আরও কোনও সংযোগ স্থাপন করা যায়নি ৪১ জন শ্রমিকের সঙ্গে। ১২ নভেম্বর দুপুরের পর থেকে ওই অন্ধকার কূপে তাঁরা কী করছেন, কেমন আছেন, তা জানার উপায় খুব বেশি ছিল না। পরে প্রশাসনিক তৎপরতায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা হয়। সামনে আসে শ্রমিকদের ছবি, যা দেখে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে তাঁদের পরিবার। আর সেই ছবির পিছনে যিনি ছিলেন, তিনি হুগলির সিঙ্গুরের বাসিন্দা দৌদীপ খাড়া। ১৭ দিন ধরে ভিতরের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার দায়িত্বভার ছিল তাঁর কাঁধে।
ক্যামেরাটিকে বলা হয় এন্ডোস্কোপিক ফ্লেক্সি ক্যামেরা। উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার দিন দশেক আগে সেই ক্যামেরা পৌঁছে দেওয়া হয় ভিতরে। একটি তারের সংযোগে লেন্স পৌঁছে যায় পাইপের মাধ্যমে। টানেলের ওই প্রান্তে থাকা শ্রমিকদের ছবি উঠে আসেসেই ক্যামেরাতেও। তারপর থেকে নজরদারি চালানো হয় ওই ক্যামেরার মাধ্যমে। দৌদীপ বর্ণনা করেন, ক্যামেরার সঙ্গে যুক্ত থাকে একটি ডিসপ্লে। তাতেই গত কয়েকদিন ধরে দেখা গিয়েছে শ্রমিকদের গতিবিধি।
এই উদ্ধারকাজের অংশ হতে পেরে গর্ব অনুভব করছে দৌদীপ ও তাঁর টিম। ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধার করার পর তিনি বলেন, “মিশনের একটা বড় অংশ হতে পেরেছি। এতে আমি খুশি। এটা আমাদের বড় সাফল্য।”