Instant Loan Scam: লোন অ্যাপ থেকে ঋণ নিয়ে বিপাকে, ১২ লক্ষ টাকা দিতে হল ব্যক্তিকে
Cyber Crime: কিন্তু লোন শোধের সময়সীমা চলে যাওয়ার পর বাঁধে বিপত্তি। তাঁকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে সংস্থার তরফে মেসেজ করা হতে থাকে।
মুম্বই: মোবাইল ফোন লোন অ্যাপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মানুষকে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে। এমনকী লোন শোধ করে দেওয়ার পরও গ্রাহকদের নিস্তার মেলে না। মুম্বইয়ের মীরারোড থানায় ১১ নভেম্বর এমনই একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। স্থানীয় এক বাসিন্দাই মোবাইল লোন অ্যাপের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। যদিও এই ঘটনায় এখনও অবধি কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪৩ বছর বয়সী এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী হঠাৎ করেই বেশ কিছু টাকার প্রয়োজন হয়েছিল। তখনই সে পকেট ক্রেডিট নামের মোবাইল লোন অ্যাপের মাধ্যমে ইনস্ট্যান্ট লোন নিয়েছিলেন। পুলিশকে দেওয়া বিবৃতিতে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, অ্যাপ ডাউনলোড করে যাবতীয় নিয়ম মেনে নথিপত্র জমা দেওয়ার পর জুন মাসে ৩ হাজার টাকার ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয় এবং তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১ হাজার ৯৩৮ টাকা ঢোকে। সময়ের মধ্যে ঋণ শোধ করে তিনি আবার ওই অ্যাপ থেকে ১০ হাজার টাকার ঋণের আবেদন করে এবং তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
কিন্তু লোন শোধের সময়সীমা চলে যাওয়ার পর বাঁধে বিপত্তি। তাঁকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে সংস্থার তরফে মেসেজ করা হতে থাকে। অন্য আরেকটি লোন অ্যাপ থেকে টাকা ঋণ নিয়ে আগের টাকা শোধ করেন ওই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে পকেট ক্রেডিট অ্যাপ থেকে ওই ব্যক্তি সব মিলিয়ে মোট ১ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন এবং তা সময়ে শোধও করে দিয়েছেন। কিন্তু সংস্থার তরফে তাঁর অ্যাকাউন্টে আরও বেশি টাকা পাঠানো হয়। এবং তাঁর অজান্তেই জমা দেওয়া নথির পরিপ্রেক্ষিকে উচ্চ সুদে একের পর এক লোন মঞ্জুর হতে থাকে। তাঁর স্ত্রীকে ক্রমাগত অশ্লীল মেসেজ করে হুমকি দেওয়া হতে থাকে। বাধ্য হয়ে সুদ সমেত মোট ১২ লক্ষ ২৩ হাজার ৮৮৮ টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু তাসত্ত্বে হুমকি ফোন ও এসএমএস বন্ধ না হওয়ায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির অজান্তেই তাঁর নামে ঋণ মঞ্জুর হয়েছিল এবং ক্রমাগত সুদের হার বাড়ছিল। সুদ সমেত আসল টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। ভয় পেয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তি, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ড বিধির ৩৮৪ ও ৪২০ ধারা এবং আইটি আইনের ৬৬সি ও ৬৬ডি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।