Sharda Peeth Kund: বিলেত ঘুরে অযোধ্যায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ‘শারদা পীঠে’র পবিত্র জল
Holy water from Sharda Peeth Kund: হিন্দুদের মহাশক্তি পীঠগুলির অন্যতম হল শারদা পীঠ। হিন্দুদের বিশ্বাস, এখানে সতির ডান হাত পড়েছিল। শারদা পীঠ এখন, অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত। সেখান থেকে রাম মন্দিরের জন্য পবিত্র জল পাঠালেন এক ব্যক্তি।
নয়া দিল্লি: রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার আর মাত্র একদিন বাকি। এই অনুষ্ঠানের আগে, সারা দেশ থেকে মানুষ রামলালার জন্য উপহার পাঠাচ্ছেন গোটা দেশ থেকে। উপহার এসেছে বিদেশ থেকেও। সীতার জন্মস্থান নেপাল, রাবণ রাজার শ্রীলঙ্কা থেকেও এসেছে অসংখ্য উপহার। এবার, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) থেকেও অযোধ্যা রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য এক বিশেষ উপহার পাঠালেন তনভির আহমেদ নামে এক ব্যক্তি। হিন্দুদের মহাশক্তি পীঠগুলির অন্যতম হল শারদা পীঠ। হিন্দুদের বিশ্বাস, এখানে সতির ডান হাত পড়েছিল। শারদা পীঠ এখন, অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত। ১৯৪৮ সালের পর থেকে ভারতীয়রা যেতে পারেন না এই তীর্থস্থলে। এই শারদা পীঠ কুন্ড থেকেই পবিত্র জল সংগ্রহ করে, রাম মন্দিরে পাঠিয়েছেন তনভীর। তবে, প্রতিবেশি দেশ থেকে এই পবিত্র জল ভারতে এল বিলেত ঘুরে।
শারদা সর্বজ্ঞ পীঠকে রক্ষার্থে, অধিকৃত কাশ্মীরে সেভ শারদা কমিটি কাশ্মীর নামে একটি সংগঠন তৈরি হয়েছে। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা রবিন্দর পণ্ডিতা জানিয়েছেন, তনভীর আহমেদ শারদা কুন্ড থেকে ওই পবিত্র জল সংগ্রহ করে, এসএসসিকে-র সদস্যদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। সংগঠনের এক সদস্য, সেই জল প্রথমে ইসলামাবাদে নিয়ে যায়। তারপর, সেখান থেকে ব্রিটেনে নিয়ে যায়। সেখানে তনভীর আহমেদের কন্যা মাগরিবিতে থাকেন। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই পবিত্র জল। গত বছরের অগস্টে, ভারতের আহমেদাবাদ শহরে এসেছিলেন সোনাল শের নামে এক কাশ্মীরি পন্ডিত অধিকার কর্মী। তাঁর হাত দিয়েই শারদা কুণ্ডের জল, ভারতে পাঠান মাগরিবি। এরপর, দিল্লিতে সেভ শারদার সদস্য মঞ্জুনাথ শর্মার কাছ থেকে ওই পবিত্র জল গ্রহণ করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রতিনিধিরা।
Our Manjunath Sharma ji is in Ayodhya to handover holy water of Sharda kund from Sharda peeth PoK and many rivers of J&K in pran pratishtha of Ram mandir Ayodhya. Earlier we had sent pious soil & shila for shilanyas during foundation ceremony 3 years ago to Ram mandir. Jai Siya… pic.twitter.com/3ftDu9opJD
— Ravinder Pandita(Save Sharda) (@panditaAPMCC63) January 18, 2024
মজার বিষয় হল, গত বছরের জুনে, অধিকৃত কাশ্মীরে শারদা মন্দিরেরও প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের নীলম উপত্যকায় অবস্থিত শারদা পীঠ শুধু মন্দির ছিল না, এটি একটি প্রাচীন শিক্ষাকেন্দ্রও বটে। ষষ্ঠ ও দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে, ভারতীয় উপমহাদেশে যে কয়টি বিশিষ্ট মন্দিরকেন্দ্রীক বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, তার অন্যতম ছিল এই শারদা পীঠ। বিশেষ করে এর গ্রন্থাগার ছিল বিশ্বখ্য়াত। এই গ্রন্থাগার ব্যবহারের জন্য বহুদূর থেকে পণ্ডিতরা আসতেন এখানে। উত্তর ভারতে শারদা লিপির বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই মন্দিরের। বর্তমানে অধিকৃত কাশ্মীরে একেবারে ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে মন্দিরটি।
রবিন্দর পণ্ডিতা আরও জানিয়েছেন, এর আগে রাম মন্দিরের ভূমি পূজনের সময় শারদা কুণ্ড থেকে মাটি, শিলা পাঠিয়েছিলেন তাঁরা। এখন প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় কুন্ড থেকে জল পাঠালেন তাঁরা। ওই জল যে রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্টায় ব্যবহার করা হবে, তা তাঁদের কাছে গর্বের বিষয় বলে জানিয়েছেন তিনি। রবিন্দর জানিয়েছেন, ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান উদযাপনের জন্য, তাঁদের সংগঠনের সদস্যরা কুপওয়ারা জেলার তেতওয়ালে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে শারদা মন্দিরে প্রদীপ জ্বালাবেন।