৫ মেয়ে, এবার ছেলে কিনা জানতে গর্ভবতী স্ত্রীর পেট চিরে দিলেন স্বামী
Crime: পান্না লাল ও তাঁর স্ত্রীর ২২ বছর ধরে বিবাহিত। তাদের পাঁচ কন্যা সন্তান রয়েছে। পুত্র সন্তানের আশাতেই ফের গর্ভধারণ করেন। কিন্তু স্বামীর জেদ ছিল, এবার পুত্র সন্তানই চাই। এমনকী, স্ত্রীকে হুমকি দিয়েছিলেন যে এবার পুত্র সন্তান না হলে, ডিভোর্স দেবেন এবং অন্য কাউকে বিয়ে করবেন।
লখনউ: পরপর পাঁচ সন্তানই কন্যা। ‘বংশের প্রদীপ’ দেওয়ার জন্য চাই পুত্র সন্তান। ছেলে না হলে, সন্তানের প্রয়োজনই নেই। তাই স্ত্রীর গর্ভে পুত্র না কন্যা সন্তান বড় হচ্ছে, তা জানতে স্ত্রীর পেট চিড়ে দিলেন স্বামী। বেরিয়ে এল নাড়িভুড়ি, পাকস্থলী শরীরের বাইরে বেরিয়ে এল! নৃশংস এই কাণ্ডে অভিযুক্ত স্বামীকে যাবজ্জীবন সাজা দিল আদালত।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উত্তর প্রদেশের বদায়ূন জেলায় এই নৃশংস ঘটনা ঘটে। এক ব্যক্তি তাঁর আট মাসের গর্ভবতী স্ত্রীর পেট চিড়ে দেন গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গ জানার জন্য। ওই মামলার শুনানিতেই শুক্রবার আদালতের তরফে অভিযুক্ত স্বামীকে যাবজ্জীবন সাজা দিল উত্তর প্রদেশের একটি আদালত।
জানা গিয়েছে, বদায়ূনের সিভিল লাইনের বাসিন্দা পান্না লাল ও তাঁর স্ত্রীর ২২ বছর ধরে বিবাহিত। তাদের পাঁচ কন্যা সন্তান রয়েছে। পুত্র সন্তানের আশাতেই ফের গর্ভধারণ করেন। কিন্তু স্বামীর জেদ ছিল, এবার পুত্র সন্তানই চাই। এমনকী, স্ত্রীকে হুমকি দিয়েছিলেন যে এবার পুত্র সন্তান না হলে, ডিভোর্স দেবেন এবং অন্য কাউকে বিয়ে করবেন।
ঘটনার দিনও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সন্তানের লিঙ্গ নিয়েই বচসা হয়। স্ত্রী অনিতা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্বামী কাস্তে দিয়ে স্ত্রীর পেট চিরে দেন এবং সন্তানের লিঙ্গ জানার চেষ্টা করেন। অনিতার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন তাঁর ভাই। নাড়িভুড়ি বের হওয়া অবস্থায় দিদিকে পড়ে থাকতে দেখেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই মহিলার প্রাণ রক্ষা হলেও, গর্ভস্থ পুত্র সন্তানকে বাঁচানো যায়নি।
আদালতে অভিযুক্ত নিজেকে নির্দোেষ বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করতে দাবি করেন যে শ্যালকদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল। তাঁর স্ত্রী নিজেই পেট কেটে ফেলেছিলেন। কিন্তু আদালত সেই যুক্তি মানেনি। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় অভিযুক্ত।