Maharashtra: মন্দিরে হানা দিতেই বন্দুকধারী সন্ত্রাসবাদীকে ঠাটিয়ে চড়, দেখুন ভিডিয়ো
Maharashtra Swami Narayan Temple: অ্যাসল্ট রাইফেলধারী সন্ত্রাসবাদীকে চেপে ধরে তাঁকে কষিয়ে চড় মারেন ওই ব্যক্তি। তবে, এরপরই পুলিশের কর্তারা তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান।
মুম্বই: মহারাষ্ট্রের ধুলে জেলার দেবপুর এলাকায় অবস্থিত স্বামীনারায়ণ মন্দির। মঙ্গলবার এই মন্দির চত্বরেই দেখা গেল এক অদ্ভূত দৃশ্য। হানা দিয়েছিল দুই ‘মুখোশধারী সন্ত্রাসবাদীরা’। মন্দিরে আগত এক ভক্তকে মাথায় অ্যাসল্ট রাইফেল ঠেকিয়ে পনবন্দি করে একজন, অপরজন ছিল মাত্র কয়েক ফুট দূরেই। তার হাতেও ছিল অ্যাসল্ট রাইফেল। মন্দিরে হঠাৎ সন্ত্রাসবাদীদের আগমনে স্বাভাবিকভবেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন ভক্তরা। বেশ কয়েকজন শিশু কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। তবে, এর মধ্যেই একজন ছিলেন অকুতোভয়। মন্দিরে সন্ত্রাসবাদীদের আগমনে তিনি এতটাই ক্ষুব্ধ হন যে, সন্ত্রাসবাদীদের দিকেই ছুটে যান তিনি। অ্যাসল্ট রাইফেলধারী সন্ত্রাসবাদীকে চেপে ধরে তাঁকে কষিয়ে চড় মারেন ওই ব্যক্তি।
ঘটনার কয়েকটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়োগুলিতে দেখা গিয়েছে, কাপড়ে মুখ ঢাকা এক সন্ত্রাসবাদী একটি রাইফেল উঁচিয়ে রয়েছেন। তাঁর সামনে হাঁটু মুড়ে বসে আছেন এক সাধারণ মানুষ। চেক শার্ট পরা এক ব্যক্তিকে দেখা যায়, তার দিকে এগিয়ে যেতে। তাকে বলতে শোনা যায়, ‘বুদ্ধি-শুদ্ধি কিছু আছে?’ এই কথা বলতে বলতে এগিয়ে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে চড় মারতে থাকেন তিনি। জানা গিয়েছে, ওই দুঃসাহসী ব্যক্তির নাম প্রশান্ত কুলকার্নি, বয়স ৩৫ বছর। মন্দিরে সন্ত্রাসবাদীদের হানায় তাঁর কন্যাশিশুও ভয় পেয়ে কাঁদতে শুরু করেছিল। তাতেই প্রচণ্ড রেগে যান তিনি। তবে, তিনি ওই সন্ত্রাসবাদীর উপর চড়াও হওয়ার পরই আরও কয়েকজনকে দেখা যায়, প্রশান্ত কুলকার্নিকে ওই সন্ত্রাসবাদী এবং তার পণবন্দির থেকে একপাশে সরিয়ে নিয়ে যান কিছু লোক। উপস্থিত কয়েকজনকে ফোনে ঘটনাটি রেকর্ড করতেও দেখা যায়।
महाराष्ट्र के धुले में एक मंदिर में चल रही थी पुलिस की मॉकड्रिल.
मॉकड्रिल देख वहा पर मौजूद छोटे बच्चे डर की वजह से रोने लगे.
इतने में बच्चो के परिवार में से एक आदमी ने मॉक ड्रिल के दौरान ही पुलिस को तप्पड़ जड़ दिया..#Maharashtra pic.twitter.com/hmjQIc3p30
— Vivek Gupta (@imvivekgupta) August 8, 2023
পরে জানা যায়, প্রশান্ত কুলকার্নিকে যে ব্যক্তিরা সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা ছিলেন পুলিশ কর্তা। আসলে, এটা সত্যি সত্যি কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলা ছিল না। বাস্তবে কোনও ভক্তকে পণবন্দি করা হয়নি। আসলে পুরোটাই ছিল পুলিশের মক ড্রিল, বা সাজানো ঘটনা। এই ধরনের সন্ত্রাসবাদী হামলার ক্ষেত্রে প্রস্তুতি যথাযথ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশ এই ধরণের অনুশীলন করে থাকে। যে সন্ত্রাসবাদীকে চড় মারেন প্রশান্ত কুলকার্নি, তিনিও ছিলেন এক পুলিশ কর্তা। মক ড্রিল দেখেই সেখানে উপস্থিত ছোট শিশুরা ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করেছিল। এরপরই ওই ব্যক্তি সন্ত্রাসবাদীর দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন। তার হাত মুচড়ে তার হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের বড় কর্তারা অবিলম্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিয়ো প্রেক্ষিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। অনেকেই জানিয়েছেন, সত্যিকারের সন্ত্রাসবাদী হামলা হলে, ওই ব্যক্তির প্যান্ট ভিজে যেত। যে পুলিশ কর্মীকে তিনি থাপ্পড় মেরেছেন, তিনিই তাঁকে রক্ষা করতেন। কেউ কেউ বলেছেন, মক ড্রিল চলছিল দেখে বোঝাই যাচ্ছে। তার মধ্যে প্রশান্ত কুলকার্নি ওই পুলিশ কর্মীকে থাপ্পড় মেরে ঠিক করেননি। কেউ কেউ আবার মক ড্রিলের পরিবেশই হাস্যকর ছিল বলে অভিযোগ করেছেন।