Cyclone Dana: ম্যানগ্রোভ অরণ্য ছিল বলেই রক্ষে! ‘দানা’র ঝাপটা পৌঁছল না জনবসতিতে
Cyclone Dana: ঝড়ের আগেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে, সেই অরণ্যে কোনও প্রভাব পড়বে না তো? ওড়িশার মন্ত্রী সূর্যবংশী সূরজ জানিয়েছেন, ম্যানগ্রোভের জন্যই জনবসতিতে তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি।
ওড়িশা: বারবার সাইক্লোনে বিপর্যস্ত হয়েছে ওড়িশা। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঝড় থেকে বাঁচে না পশ্চিমবঙ্গের উপকূলও। সাইক্লোন ‘দানা’র প্রভাব নিয়েও তৈরি হয়েছিল সেই একই আতঙ্ক। আবারও কি ভেসে যাবে ঘর! তবে বৃহস্পতিবার রাত পেরিয়ে সকাল হওয়ার পর দেখা গেল, আশঙ্কা ততটাও সত্যি হয়নি। প্রাণহানির কোনও খবর সামনে আসেনি। ওড়িশা, যেখানে ঝড়ের ল্য়ান্ডফল হয়েছে, সেখানেও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জনজীবন। আসলে ম্যানগ্রোভেই কি রক্ষা পেল স্থলভাগ?
সুন্দরবনের মতো ভিতরকণিকাতেও রয়েছে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। ঝড়ের আগেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে, সেই অরণ্যে কোনও প্রভাব পড়বে না তো? ওড়িশার মন্ত্রী সূর্যবংশী সূরজ জানিয়েছেন, ম্যানগ্রোভের জন্যই জনবসতিতে তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি।
ধামরার উল্টোদিকের ৯টি দ্বীপ মূলত ম্যানগ্রোভ অরণ্যে ভরা। সেই ম্যানগ্রোভ ফরেস্টই কার্যত বাঁচিয়ে দিয়েছে উপকূলের জনবসতিকে। শুধু এবার নয়, আগেও ঘটেছে এমন ঘটনা। বারবারই রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে ম্যানগ্রোভ।
ওড়িশার ক্রীড়ামন্ত্রী জানান, ঝড়ে জনজীবনে তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। সেটাও বৃষ্টি থেমে গেলে চালু করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “ভিতরকণিকা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে যেখানে ল্যান্ডফল হয়েছে সেখানে মানুষের বসবাস নেই। সেখানে আছে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। সেই জঙ্গলই হাওয়ার গতি কম করে দিয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ওড়িশা প্রশাসনের উদ্যোগে ১ লক্ষের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।