Chennai drug racket: ল্যাবে মাদক বানাত কেমিস্ট্রির কৃতী ছাত্র, বেচত ৫ ইঞ্জিনিয়ার!

Chennai drug racket: নেটফ্লিক্সের অন্যত জনপ্রিয় শো 'ব্রেকিং ব্যাড'। যেন সেই কল্পকাহিনিরই একটি পর্ব সরাসরি উঠে এল বাস্তব জীবনে। রসায়নের এক কৃতী ছাত্রকে ক্রিস্টাল মেথ বা মেথামফেটামিন তৈরির জন্য নিয়োগ করেছিল চেন্নাইয়ের এক মাদক চক্র। এমনকি, শহরে একটি গোপন পরীক্ষাগার পর্যন্ত স্থাপন করেছিল চক্রটি।

Chennai drug racket: ল্যাবে মাদক বানাত কেমিস্ট্রির কৃতী ছাত্র, বেচত ৫ ইঞ্জিনিয়ার!
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Meta AI
Follow Us:
| Updated on: Oct 25, 2024 | 11:58 AM

চেন্নাই: নেটফ্লিক্সের অন্যত জনপ্রিয় শো ‘ব্রেকিং ব্যাড’। যেন সেই কল্পকাহিনিরই একটি পর্ব সরাসরি উঠে এল বাস্তব জীবনে। রসায়নের এক কৃতী ছাত্রকে ক্রিস্টাল মেথ বা মেথামফেটামিন তৈরির জন্য নিয়োগ করেছিল চেন্নাইয়ের এক মাদক চক্র। এমনকি, শহরে একটি গোপন পরীক্ষাগার পর্যন্ত স্থাপন করেছিল চক্রটি। তবে, তাদের এই বিস্তৃত পরিকল্পনা সফল হয়নি। তাদের জারিজুরি ফাঁস করে দিয়েছে চেন্নাই পুলিশ। পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে সাতজন। তার মধ্যে পাঁচজন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক। আরেকজন চেন্নাইয়ের এক নামকরা কলেজের রসায়ন বিষয়ের স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্র। অন্য এক প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি বিএসসি করেছিলেন। দুর্দান্ত ফলের জন্য তাঁকে স্বর্ণপদক পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল।

এই তরুণ কৃতী ছাত্রদেরই মাদক তৈরি এবং বিক্রির কাজে লাগিয়েছিল মাদক চক্রটি। অরুণ কুমার নামে এক দাগী অপরাধীর কাছ থেকে অল্প পরিমাণে মেথামফেটামিন নিয়ে বিক্রি করে মাদক ব্যবসা শুরু করেছিল গ্র্যাজুয়েটদের ইঞ্জিনিয়ারদের এই দলটি। পরে, নিজেরাই ওষুধ তৈরির করবে, এমন চিন্তা আসে তাদের মাথায়। এরপরই তারা দলে টানে রসায়নের স্নাতকোত্তর স্তরে পাঠরত ছাত্রটিকে। তারপর তারা ক্রিস্টাল মেথ উত্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সংগ্রহ করে। এর জন্য নিজেদের পরিবার থেকেও অর্থ ধার করেছিল তারা।

এক ছাত্র তার বাবা-মাকে বলেছিল, তারা একটি ক্যাফে খুলছে, তাই কিছু টাকার প্রয়োজন। এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ছেলে ব্যবসা করতে আগ্রহী দেখে, তার বাবা-মাও তাকে সাহায্য করার জন্য টাকা ধার দিয়েছিলেন। পুলিশ যখন এই মাদক চক্রকে আটক করে, তখন তাদের পরীক্ষাগার থেকে ২৪৫ গ্রাম মেথামফিটামিন ছিল। এছাড়া সেখান থেকে ২টি ল্যাপটপ এবং ৭টি মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এখন পুলিশ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও দুই ব্যক্তিকে খুঁজছে। একজন হলেন অরুণ কুমার, যার কাছ থেকে মাদক নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিল ছাত্ররা। অপরজন কার্তিক নামে আরও এক ব্যক্তি।