Manipur Army Convoy Attack: কনভয় আসার খবর পেয়েই রাস্তায় পুঁতেছিল আইইডি বিস্ফোরক! যৌথ অভিযানে ধৃত আরও ২ জঙ্গি

Assam Rifles nab two PLA, KCP militants: সম্প্রতিই অসম রাইফেলস বাহিনী ও পুলিশের যৌথ তল্লাশি অভিযানে কাকচিগ জেলার হাইস্কুলের সামনে থেকে উদ্ধার হওয়া ২০ রাউন্ড এম-৭৯ গ্রেনেড লঞ্চারও এই দুই জঙ্গি সংগঠনের বলেই জানা গিয়েছে।

Manipur Army Convoy Attack: কনভয় আসার খবর পেয়েই রাস্তায় পুঁতেছিল আইইডি বিস্ফোরক! যৌথ অভিযানে ধৃত আরও ২ জঙ্গি
উপত্যকায় নিকেশ দুই জঙ্গি। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 18, 2021 | 7:03 AM

মণিপুর: সেনা কনভয়ে হামলার ঘটনায় দুই জঙ্গি(Militants)-কে গ্রেফতার করল অসম রাইফেলস বাহিনী।(Assam Rifles) পিপলস লিবারেশন আর্মি (Peoples Liberation Army) ও কাঙ্গলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি (Kangleipak Communist Party)-র সদস্য তারা, এমনটাই জানা গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে জঙ্গি উপস্থিতির খবর জানতে পেরে মঙ্গলবার রাতে মণিপুর পুলিশ(Manipur Police)-র সঙ্গে যৌথ অভিযান চালায় অসম রাইফেলস বাহিনী। বিষ্ণুপুর জেলা থেকে পিপলস লিবারেশন আর্মির এক সদস্য় ও পূর্ব ইম্ফল জেলা থেকে এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ১৪ নভেম্বরও অসম রাইফেলস দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল। তারাও পিপলস লিবারেশন আর্মি ও কেসিপি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। থৌবল ও উত্তর ইম্ফল থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের।

ধৃত দুই জঙ্গিকেই নাম্বল ও ইরিবুঙ্গ থানায় হস্তান্তর করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। পুলিশি জেরায় জানা গিয়েছে, কাঙ্গলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি, যা সংক্ষেপে কেসিপি নামে পরিচিত, তার সদস্যরাই সেনা কনভয়ে হামলা চালানোর জন্য খুরাই জেলায় আইইডি বিস্ফোরক পুঁতেছিল।

সম্প্রতিই অসম রাইফেলস বাহিনী ও পুলিশের যৌথ তল্লাশি অভিযানে কাকচিগ জেলার হাইস্কুলের সামনে থেকে উদ্ধার হওয়া ২০ রাউন্ড এম-৭৯ গ্রেনেড লঞ্চারও এই দুই জঙ্গি সংগঠনের বলেই জানা গিয়েছে।

গত ১৩ নভেম্বর মায়ানমার সীমান্তের কাছে মণিপুরের চূড়াচন্দপুরে সেনাবাহিনীর কনভয়ে আচমকাই হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলায় মারা যান কর্নেল বিপ্লব ত্রিপাঠি ও তাঁর স্ত্রী-পুত্র। এছাড়াও কনভয়ে উপস্থিত আরও চার জওয়ানেরও মৃত্যু হয়। সেই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছিল মণিপুরের নাগা পিপলস ফ্রন্ট (Manipur Naga Peoples Front)।

গত শনিবার মণিপুর নাগা পিপলস ফ্রন্টের পাশাপাশি পিপলস লিবারেশন আর্মিও সেনা কনভয়ে হামলার দায়স্বীকার করে নেয়। এরপরই সন্দেহ তৈরি হয়।  গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পিপলস লিবারেশন আরিমির সদস্যদের হামলার প্রশিক্ষণ দিয়েছে চিনা সেনাবাহিনীই। মায়ানমারের ক্যাম্পে সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল বলে সন্দেহ। একইসঙ্গে তাদের অস্ত্র দিয়ে সহায়তাও করা হয়েছে।

সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা বাহিনী মণিপুর সীমানার কাছে অবস্থিত ওই ক্যাম্পের ড্রোন ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ওই ক্যাম্পে চিনের সেনাবাহিনীর একাধিক শীর্ষ কর্তা উপস্থিত ছিলেন বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। গোয়েন্দা বাহিনীর সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভারতের চিন বিরোধী অবস্থানেই চটেছে বেজিং। তাইওয়ান ও তিব্বতের সঙ্গে চিন-বিরোধী গোষ্ঠীতে ভারত নাম লেখানোর বদলা নিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। এর আগেও সূত্র মারফত খবর মিলেছিল যে, উত্তর পূর্ব ভারতের জঙ্গি সংগঠনগুলিকে মদত দেওয়ার নামে ভারতের বিরুদ্ধেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে প্রতিবেশী দেশ চিন।

সূত্রের আরও দাবি, কেবল চিনই নয়, উত্তর পূর্ব ভারতের এই জঙ্গি সংগঠনগুলিকে হামলা চালাতে সাহায্য করছে মায়ানমার সেনাও। নিজেদের বাহিনীকে পর্যাপ্ত সেনা না থাকায়, সীমান্তে নজরদারি চালাতেও এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা সাহায্য করে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: Mahua Moitra: আদালতের পূর্ব নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ, ইডি কর্তার মেয়াদ বৃদ্ধিতে মামলা মহুয়ার