রাত ৪টেয় ফোন, আবার ভোর ৬টায় অমিত শাহকে জাগিয়ে দিয়েছিলেন মণিপুর নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী

Amit Shah on Manipur Violence: বিরোধীরা বারবার দাবি করেছে, প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চাই। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কেন মণিপুর যাচ্ছেন না? জবাব দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

রাত ৪টেয় ফোন, আবার ভোর ৬টায় অমিত শাহকে জাগিয়ে দিয়েছিলেন মণিপুর নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী
মণিপুর নিয়ে বারে বারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করে খবর নিয়েছেন উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী (ফাইল ছবি)Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 09, 2023 | 10:27 PM

নয়া দিল্লি: মণিপুরের হিংসা নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছিল সরকার। কিন্তু, বিরোধীরা বারবার দাবি করেছে, প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চাই। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কেন মণিপুর যাচ্ছেন না? সরকার জানিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নয়, বিরোধীদের জবাব দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজি হয়নি বিরোধীরা। যার জেরে বাদল অধিবেশনের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়েছে। বুধবার (৯ অগস্ট), লোকসভায় মণিপুর নিয়ে ২ ঘণ্টা ধরে ভাষণ দেন অমিত শাহ। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, মণিপুরে এই প্রথম জাতিগত হিংসা হচ্ছে না। কিন্তু এর আগে, প্রধানমন্ত্রী তো দূর অস্ত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত সেই সব হিংসার বিষয়ে কোনও জবাব দেননি। তিনি আরও জানান, প্রদানমন্ত্রী মোদী, মণিপুর নিয়ে ঠিক কতটা উদ্বিগ্ন।

অমিত শাহ তোলেন ১৯৯৩ সালের প্রসঙ্গ। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পিভি নরসীমা রাও এবং মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন রাজকুমার দোরেন্দ্র সিং। তিনিও ছিলেন কংগ্রেসের। সেই সময় মিপুরে নাগা-কুকি সংঘর্ষ হয়েছিল। ৭৫০ লোকের মৃত্যু হয়েছিল, ২০০ লোক নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন, ৪৫০০০ লোক ঘরছাড়া হয়েছিলেন। দেড় বছর ধরে সেই হিংসা চলেছিল। অমিত শাহ বলেন, “বিরোধীরা এখন প্রশ্ন করছে প্রধানমন্ত্রী কেন কিছু বলছেন না। ১৯৯৩ সালের ঘটনার জবাব কে দিয়েছিলেন জানেন? স্বরাষ্ট্র দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজেশ পাইলট। আর আমি বলতে চাইলে বিরোধীরা আপত্তি জানাচ্ছে। সেই সময় কী আদিবাসী মন্ত্রকের মন্ত্রী মণিপুরে গিয়েছিলেন? না। সমাজ কল্যাণ বিভাগের মন্ত্রী গিয়েছিলেন? না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত যাননি। আর এখন বিরোধীা প্রশ্ন করছেন, প্রধানমন্ত্রী কেন যাননি?”

এরপর তিনি তোলেন ২০০৪ সালের কথা। সেই সময় মনমোহন সিং ছিলেন প্রধানমন্ত্রী আর ইবোবি সিং ছিলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ১৭০০ লোককে এনকাউন্টার করা হয়েছিল বলে জানান অমিত শাহ। তিনি আরও বলেন, ওখানকার লোকের দাবি, এটা করেছিল সেনা। সরকারের পক্ষে সেই হিংসা নিয়ে কেউ কোনও বিবৃতি দেননি বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কোনও আলোচনা পর্যন্ত হয়নি। মন্ত্রী, রাষ্ট্রমন্ত্রী কেউ কথা বলেননি। অমিত শাহ বলেন, “আমাদের লুকোনোর কিছু নেই। আমাদের কেউ এতে জড়িত নয়। কারা এর সঙ্গে যুক্ত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রেকর্ডে তাদের নাম আছে। আমি সেই নাম বলতে চাই না।”

অমিত শাহ আরও জানান, ৩ মে মণিপুরে হিংসা শুরু হয়েছিল। ওই দিন রাত ৪টেতেও অমিত শাহকে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আবার পরদিন ভোর ৬টায় ফের ফোন করে তাঁর ঘুম ভাঙিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “এটা গোটা দেশের জানা উচিত। আর বিরোধীরা বলছে, প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে নজর দেননি?”