Amit Shah: মোদী সরকারের ‘জিরো টলারেন্সে’ শায়েস্তা উগ্র বামপন্থীরা, এখন সীমিত মাত্র ৩ জেলায়: শাহ

Amit Shah: লোকসভায় অমিত শাহ বলেন, 'নকশালবাদ ও উগ্র বামপন্থার পায়ে বেড়ি পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকেই উগ্র বামপন্থার প্রতি জিরো টলারেন্স নীতিতে চলছে মোদী সরকার।'

Amit Shah: মোদী সরকারের 'জিরো টলারেন্সে' শায়েস্তা উগ্র বামপন্থীরা, এখন সীমিত মাত্র ৩ জেলায়: শাহ
অমিত শাহImage Credit source: সংসদ টিভি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 09, 2023 | 10:45 PM

নয়া দিল্লি: উগ্র বামপন্থী ইস্যু অর্থাৎ মাওবাদী ও নকশাল ইস্যু নিয়ে গত সপ্তাহেই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীব পট্টনায়েকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর এবার সংসদের অধিবেশনেও অমিত শাহের বক্তব্যে উঠে এল উগ্র বামপন্থার প্রসঙ্গ। মোদী সরকারের আমলে দেশ থেকে উগ্র বামপন্থার সমস্যা যে কতটা নির্মূল হয়েছে, এদিন তার তুল্যমূল্য হিসেব তুলে ধরেন শাহ। ইউপিএ সরকারের আমলে দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার একটি অন্যতম চিন্তার বিষয় ছিল এই উগ্র বামপন্থা। ২০০৫ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কী ঘটেছিল, আর ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কী ঘটেছে, সেই কথা এদিন তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। লোকসভায় তিনি জানান, আগের আমলে ১৪ হাজার ঘটনা ঘটেছিল। বর্তমান সরকারের আমলে ৬ হাজার ৯০০ ঘটনা ঘটেছে। আগের তুলনায় ৫২ শতাংশ কমেছে উগ্র বামপন্থী কার্যকলাপ।

মোদী সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার আগে কংগ্রেস জমানায় উগ্র বামপন্থী কার্যকলাপের কারণে ৫ হাজার ৭৯০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বর্তমান সরকারের আমলে সেই সংখ্যা ১ হাজার ৮১১। শতাংশের হিসেবে ইউপিএ জমানার থেকে ৬৯ শতাংশ মৃত্যু কমেছে। অশান্তি কবলিত জেলা আগে যেখানে ছিল ১১৮টি, এখন তা কমে হয়েছে মাত্র ৪৫টি। আগে অশান্তি কবলিত থানা এলাকা ছিল প্রায় ৫৫০টি। এখন তা কমে এসেছে ১৭৬টি। এইসব পরিসংখ্যান এদিন লোকসভায় তুলে ধরে অমিত শাহর দাবি, ‘নকশালবাদ ও উগ্র বামপন্থার পায়ে বেড়ি পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকেই উগ্র বামপন্থার প্রতি জিরো টলারেন্স নীতিতে চলছে মোদী সরকার।’

২০১৪ সাল যখন রাজনাথ সিং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় থেকেই নরেন্দ্র মোদীর সরকার উগ্র বামপন্থার সমস্যা দূর করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে। সেই সময় থেকেই উগ্র বামপন্থা অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু করা হয়েছে। সেই সব গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া, সড়ক নির্মাণ, স্কুল নির্মাণ, ওষুধের দোকান, সস্তায় সবজির দোকান চালু করা থেকে শুরু করে আরও অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে বলে জানান অমিত শাহ।

শুধু উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডই নয়, এর পাশাপাশি নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন, ১৯৫টি নতুন সিএপিএফ ক্যাম্প খোলা হয়েছে। উগ্র বামপন্থায় যাতে আর্থিক মদত না আসে, তা নিশ্চিত করতে ইডি ও এনআইএ-কে সক্রিয় করা হয়েছে। এনআইএ-তে শুধু বামপন্থী উগ্রবাদ দমনের জন্যই একটি পৃথক শাখা খোলা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে, তাদের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে মূল্যায়ণ করা হচ্ছে। উগ্র বামপন্থা দমনের লক্ষ্যে ছত্তীসগঢ় ব্যাটেলিয়নও তৈরি হয়েছে।

অমিত শাহর কথায়, উগ্র বামপন্থা যখন এখানে ঢোকে, তখন তারা স্বপ্ন দেখত কাঠমান্ডু থেকে তিরুপতি পর্যন্ত। আর এখন উগ্র বামপন্থা শুধুমাত্র তিনটি জেলাতেই আটকে গিয়েছে। বললেন, ‘উগ্র বামপন্থী এককালে ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা ও ছত্তীসগঢ়ে ছড়িয়ে ছিল। আজকের দিনে ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানা থেকে পুরোপুরি নির্মূল করা গিয়েছে উগ্র বামপন্থা। এখন শুধু ছত্তীসগঢ়ের তিনটি জেলাতেই তারা সীমিত।’ তৃতীয় মোদী সরকারের জমানায় বাকি থাকা এই তিন জেলা থেকেও উগ্র বামপন্থা নির্মূল করা যাবে বলে আশাবাদী অমিত শাহ।