Manipur Violence: মণিপুর হিংসা মামলায় ‘আপডেটেড স্ট্যাটাস রিপোর্ট’ চাইল সুপ্রিম কোর্ট

Manipur Violence: এক সপ্তাহ পর, ১০ জুলাই ফের এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। তার আগে, শুক্রবারের (৭ জুলাই) মধ্যে রাজ্য সরকারকে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

Manipur Violence: মণিপুর হিংসা মামলায় 'আপডেটেড স্ট্যাটাস রিপোর্ট' চাইল সুপ্রিম কোর্ট
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 03, 2023 | 1:29 PM

নয়া দিল্লি: সোমবার (৩ জুলাই), মণিপুর সরকারের কাছ থেকে ‘স্ট্যাটাস রিপোর্ট’ চাইল সুপ্রিম কোর্ট। দুই মাস ধরে হিংসার আগুনে জ্বলছে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্য। সেই হিংসা রোধে, গৃহহীন এবং হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য, নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক করার বিষয়ে মণিপুর সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানাতে হবে প্রতিবেদনে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এদিন আদালতে জানান, মণিপুরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। ৩৫৫টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন স্তরে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এরপরই, এই বিষয়ে একটি ‘আপডেটেড’ স্ট্যাটস রিপোর্ট চায় ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিংহ এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।এক সপ্তাহ পর, ১০ জুলাই ফের এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। তার আগে, শুক্রবারের (৭ জুলাই) মধ্যে রাজ্য সরকারকে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

এদিন শীর্ষ আদালতে মণিপুরের হিংসার বিষয়ে দুটি আবেদনের শুনানি হয়। একটি আবেদন ছিল ‘মণিপুর ট্রাইবাল ফোরাম দিল্লি’র করা। তারা চেয়েছে, কুকি উপজাতিকে সুরক্ষা দিক ভারতীয় সেনাবাহিনী। দ্বিতীয় আবেদনটি করেছেন মণিপুর বিধানসভার পার্বত্য অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান ডিঙ্গাংলুং গ্যাংমেই। এর আগে মণিপুর হাইকোর্ট মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আবেদনের জন্য মণিপুর সরকারকে যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছেন গ্যাংমেই। মণিপুর হাইকোর্টের এই নির্দেশই রাজ্যে হিংসার সূত্রপাত ঘটিয়েছে। এর আগে গত মে মাসে এই মামলার শুনানির সময় সরকারের কাছ থেকে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট চেয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

এদিন, শুনানির শুরতেই মণিপুর ট্রাইবাল ফোরামের আইনজীবী দাবি করেন, এর আগে যেদিন এই মামলার শুনানি হয়েছিল, তারপর মণিপুরের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এই দাবির বিরোধিতা করেন সলিসিটর জেনারেল। তবে ট্রাইবাল ফোরামের আইনজীবী এই বিষয়ে পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। জানান, আগের শুনানির দিন পর্যন্ত রাজ্যে ২০ জন নিহত হয়েছিলেন। আজ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১০ হয়েছে। বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠনের নেতা প্রকাশ্যেই কুকিদের নিশ্চিহ্ন করার হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এমনকি, আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকারের সময়ও কুকিদের বিরুদ্ধে এই উসকানি দেওয়া হচ্ছে, হিংসার ডাক দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এমনকি ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়’ এই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি চলছে, এমন গুরুতর দাবিও করা হয় কুকিদের পক্ষ থেকে। গ্রাম ধরে ধরে, কোন গ্রামে কুকি সম্প্রদায়ের কতজনকে হত্যা করা হয়েছে, তার একটি তালিকাও দিয়েছেন তিনি। তিনি আরও দাবি করেন, কুকিরা হামলা চালাচ্ছে না, আত্মরক্ষা করছে। সেনাবাহিনীকেও কৌশলে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

অন্যদিকে, ‘ইন্টারন্যাশনাল মেইতেইজ অর্গানাইজেশনের’ পক্ষের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, কোথা থেকে জঙ্গিরা এত অস্ত্র পাচ্ছে? এর পিছনে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির হাত আছে বলে দাবি করেন তিনি। এই বিষয়ে তদন্তের দাবি জানানো হয়। তিনি বলেন, যে জঙ্গিরা এতদিন গা ঢাকা দিয়ে ছিল, তারাই এখন এই হিংসার সুযোগে বাইরে বেরিয়ে এসেছে। তারাই হামলা করছে। নাহলে, মণিপুরে এই ধরনের অত্যাধুনিক অস্ত্র দেখা যেত না। এই প্রেক্ষিতে জঙ্গিদের ‘হেডকাউন্ট’ রাখার বিষয়ে ভারত সরকারকে ভাবনা-চিন্তা করা উচিত বলে জানিয়েছে মেইতেইরা। পরবর্তী শুনানির দিন এই বিষয়ে সলিসিটর জেনারেলকে সুনির্দিষ্ট মত জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।