উদ্বাস্তুদের নিয়ে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত বদল মণিপুর প্রশাসনের!
রাজ্য সরকার চান্ডেল, তেঙনাওপল, কামজঙ, উরুল, চুরাচাঁদপুর জেলা প্রশাসনের কাছে উদ্বাস্তুদের বুঝিয়ে দেশে ফেরত পঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম মারফত।
নয়া দিল্লি: উত্তাল মায়ানমার (Myanmar)। রোজ রক্তনদী বইছে সে দেশে। সু কি-র দেশে এই উত্তাল সময়ে মায়ানমার থেকে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন উদ্বাস্তুরা। প্রথমে তাঁদের বুঝিয়ে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল মণিপুরের রাজ্য প্রশাসন। পাশাপাশি বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে একটি নির্দেশ গিয়েছিল, যেখানে নতুন করে উদ্বাস্তু শিবির খুলতে ও উদ্বাস্তুদের খাবার জোগান দিতে নিষেধ করা হয়েছিল। এ বার তড়িঘড়ি সেই নির্দেশ বাতিল করল বীরেণ সিংয়ের প্রশাসন। এমনটাই জানা গিয়েছে বিভিন্ন সরকারি সূত্র মারফত।
রাজ্য সরকার চান্ডেল, তেঙনাওপল, কামজঙ, উরুল, চুরাচাঁদপুর জেলা প্রশাসনের কাছে উদ্বাস্তুদের বুঝিয়ে দেশে ফেরত পঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম মারফত। তবে যদি কোনও ব্যক্তি মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে থাকেন, তাঁর বিষয় মানবিকতার দিক থেকে বিচার করার কথাও জানিয়েছিল স্বরাষ্ট্র দফতর। মণিপুর সরকারের এই নির্দেশের কথা প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়ে বীরেণ সিংকে। তারপর তড়িঘড়ি মণিপুর প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বদলের কথা জানা যায়।
উদ্বাস্তু শিবির না খোলা এবং খাবারের জোগান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের নির্দেশ আপাততত কার্যকরী হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম মারফত। এর আগে মায়ানমারের রাষ্ট্রসঙ্ঘের দূত ভারতের কাছে মায়ানমারের উদ্বাস্তুদের আশ্রয়ের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। তারপর থেকে ভারতে ক্রমাগত এসেছেন মায়ানমারের উদ্বাস্তুরা। সে দেশে এখনও জান্তা বিরোধী আন্দোলন চলছে। বারবার নোবেলজয়ী নেত্রী সু কি-র মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নামছেন গণতন্ত্রপন্থীরা। গত শনিবার সশস্ত্র সেনা বাহিনী দিবসেই মায়ানমারে সবচেয়ে বেশি প্রাণ ঝরেছিল। জান্তা সেনার গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১১৪ জন। যার নিন্দা এসেছে গোটা বিশ্ব থেকে। সেনা অত্যাচারের তীব্র নিন্দা করে জান্তা বাহিনী বিরোধী গোষ্ঠীর মুখপাত্র ডঃ সাসা বলেছিলেন, “সেনাবাহিনীর কাছে আজ লজ্জার দিন। যেখানে ৩০০-রও বেশি নিরীহ মানুষকে খুন করা হয়েছে, সেখানে মিলিটারি জেনারেল সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করছেন।”
আরও পড়ুন: Corona Cases and Lockdown News: রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩৯, পাল্লা দিয়ে কমেছে নমুনা পরীক্ষাও