স্রেফ ৭২ ঘণ্টায় হাসপাতাল, করোনা যুদ্ধে দেশের পাশে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং

স্রেফ ৭২ ঘণ্টায় অক্সিজেন যুক্ত হাসপাতালের ব্যবস্থা করেছে নজির তৈরি করেছে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং।

স্রেফ ৭২ ঘণ্টায় হাসপাতাল, করোনা যুদ্ধে দেশের পাশে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 27, 2021 | 6:14 PM

চেন্নাই: করোনায় সারা বিশ্ব বিধ্বস্ত। সংক্রমণের একের পর এক ঢেউ আছড়ে পড়েছে একাধিক দেশে। কেন্দ্র ও রাজ্য কোমর বেঁধে করোনা মোকাবিলার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এই সময় একাধিক রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে হায়দরাবাদের সংস্থা মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। ইতিমধ্যেই ২০টিরও বেশি দেশে কাজ করছে মিল। তেলেঙ্গনা, অন্ধ্র প্রদেশ ছাড়াও তামিলনাড়ুতে ৩ হাজারের বেশি বেডের ব্যবস্থা করেছে হায়দরাবাদের এই সংস্থা। যার মধ্যে ৬৬০ বেড ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ তৈরি। বিশেষ ভাবে তামিলনাড়ুর শহরগুলিতে অক্সিজেন পরিষেবার ব্যবস্থা করছে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং। স্রেফ ৭২ ঘণ্টায় অক্সিজেন যুক্ত হাসপাতালের ব্যবস্থা করেছে নজির তৈরি করেছে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং।

চেন্নাইয়ে ১০৭০ অক্সিজেন-যুক্ত বেড

তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ে একাধিক হাসপাতালে ১০৭০ অক্সিজেন-যুক্ত বেডের ব্যবস্থা করছে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। এর জন্য যা যা করণীয় সব কাজ ঝড়ের গতিতে করছে হায়দরাবাদের এই সংস্থা। তামিলনাড়ুর একাধিক জেলায় ইতিমধ্যেই অক্সিজেন বেডের ব্যবস্থা করে গ্রামীণ পর্যায়ে করোনা রোখায় হাত শক্ত করেছে মিল। এ পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে প্রায় ৬০০ বেডের ব্যবস্থা করে ফেলেছে তারা। বাকি ৩ হাজারেরও বেশি বেডের কাজ চলছে।

সময় মতো অক্সিজেন দিলে করোনা আক্রান্তের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। তাই একাধিক অঞ্চলে অক্সিজেন পরিষেবা-যুক্ত বেডের ব্যবস্থা করছে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং। এই কর্মকাণ্ডে মিলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ক্রেডায় ও জি রিয়েল্টরস নামে আরও ২ সংস্থা। ৩ সংস্থার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইতিমধ্যেই ৭২ ঘণ্টায় ২০০ অক্সিজেন-যুক্ত বেড তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেখানে চিকিৎসাও চলছে জোর কদমে। আরও ৩০০ বেডের কাজ চলছে।

করোনা সঙ্কটে দেশকে রক্ষা করার ব্রত নিয়েই দিনরাত এক করে কাজ করছে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং। এ বিষয়ে সংস্থার ডিরেক্টর বি শ্রীনিবাস জানান, দেশ ভয়ঙ্কর মহামারির ফলে সঙ্কটে পড়েছে। এই সময় দেশবাসীর জীবন রক্ষা করাই সংস্থার দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে সংস্থা সব ধরনের পদক্ষেপ করবে। মিলের এই বিশাল কর্মযজ্ঞ পর্যবেক্ষণে রেখেছেন সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণা রেড্ডি।

আরও পড়ুন: তাইল্যান্ড থেকে এল ১৫ কোটি লিটার অক্সিজেন, দেশকে বাঁচাতে মহৎ উদ্যোগ মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের

ক্রেডায়ের তামিলনাড়ু সেক্টরের প্রধান এ বিষয়ে জানান, সংস্থা সামাজিক দায়িত্ব পালনের জন্য মিল ও অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সঙ্কটের মোকাবিলা করছে। স্রেফ ৭২ ঘণ্টায় হাসপাতাল তৈরি করায় মিলের প্রশংসাও করেন তিনি। একই কথা জি রিয়েল্টরসেরও। তাঁদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মিল ও তামিলনাড়ু সরকারের হাত ধরে করোনা যুদ্ধে সামিল হয়ে তারা গর্বিত।

নির্মাণ কাজের জন্য সারা বিশ্বে সুখ্যাতি রয়েছে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের। স্রেফ ৭২ ঘণ্টায় হাসপাতাল তৈরি করে তামিলনাড়ু সরকারের হাতে তা তুলে দিয়েছে মিল। অর্থাৎ দেশের সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে মানবিক বার্তা দিচ্ছে তারা। মিলের এই বিশাল কর্মকাণ্ডে ডিআরডিও, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্তালিনের নির্দেশ মতো আরও ৩০০০ বেডের ব্যবস্থা করছে হায়দরাবাদের এই সংস্থা। দেশে এখন সবচেয়ে বড় সঙ্কট অক্সিজেনের। তাই তাইল্যান্ড থেকে ১১ টি ক্রায়োজেনিক অক্সিজেনর সিলিন্ডার আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিল। যার ৩টি ইতিমধ্যেই দেশে এসেছে। সঙ্গে সঙ্গে তা তেলেঙ্গনা সরকারের হাতে তুলে দিয়েছে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং। কঠিন সময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু হয়, তাই দেশের এহেন পরিস্থিতিতে মিলের সহযোগিতাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন ১৪০ কোটি ভারতীয়।

আরও পড়ুন: ‘মানুষ বড় কাঁদছে’, মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রাণবায়ু জোগাচ্ছে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং