Missionaries of Charity: অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছিল মাদার টেরিজার সংস্থাই, বিবৃতি দিয়ে জানাল কেন্দ্র
Missionaries of Charity: প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, লাইসেন্স রিনিউ করা হয়নি সংস্থার।
নয়া দিল্লি : মিশনারিজ অব চ্যারিটি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কেন্দ্রীয় সরকার সংস্থার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকে। টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। প্রত্যেকেই কেন্দ্রের পদক্ষেপের কড়া নিন্দা করেছেন। এরপরই কেন্দ্রের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করা হল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, মিশনারিজ অব চ্যারিটি-র অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেনি কেন্দ্র। সংস্থার তরফ থেকেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। পাশাপাশি কেন্দ্রের দাবি কিছু শর্ত পূরণ না হওয়ায় সংস্থার রেজিস্ট্রেশন পুনর্নবীকরণ করা হয়নি।
‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি-র অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ঘটনায় স্তম্ভিত’
সোমবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, মাদার টেরিজার সংস্থা মিশনারিজ অব চ্যারিটির সবকটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ক্রিসমাসে এমন খবর জেনে আমি স্তম্ভিত। সংস্থার অধীনে চিকিৎসাধীন ২২ হাজার রোগী ও কর্মীর জন্য নেই কোনও খাবার বা ওষুধ। মমতার দাবি, আইন সর্বোপরি হলেও মানবিকতার সঙ্গে কোনও সমঝোতা করা উচিৎ নয়।
Shocked to hear that on Christmas, Union Ministry FROZE ALL BANK ACCOUNTS of Mother Teresa’s Missionaries of Charity in India!
Their 22,000 patients & employees have been left without food & medicines.
While the law is paramount, humanitarian efforts must not be compromised.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 27, 2021
একই দাবি করেন সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনিও জানান, এই ঘটনায় তিনি বাকরুদ্ধ। রাজ্য রাজনীতি এই ইস্যুতে সরগরম হয়েছে আজ। এরপরই কেন্দ্রের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
কী বলছে মিশনারিজ অব চ্যারিটি?
সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, এই খবর অস্বীকার করা হয়নি। কী কারণে এমনটা হল, তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যাও পাওয়া যায়নি।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সংস্থার দেওয়া বিবৃতি টুইট করেছেন। সেখানে সংস্থার দাবি, তাঁদের এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশন বাতিল বা সাসপেন্ড করা হয়নি। কেন্দ্রের তরফে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার কোনও নির্দেশও আসেনি। তবে, তারা জানতে পেরেছে যে এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশনের পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। তাই জটিলতা যাতে না বাড়ে, তার জন্য আপাতত সংস্থার শাখাগুলিকে অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে বলে দাবি মিশনারিজ অব চ্যারিটির।
First the Government of India INTIMIDATES. For weeks, right through to December 25. And then they pile on the pressure to extract this?Shame on the MHA and its shameless damage control tactics. pic.twitter.com/ikSJtp9Qy5
— Derek O’Brien | ডেরেক ও’ব্রায়েন (@derekobrienmp) December 27, 2021
কী বলছে কেন্দ্র?
এই ইস্যু প্রকাশ্যে আসার পর সোমবার বিকেলেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার মিশনারিজ অব চ্যারিটির অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেনি। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফ থেকে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে যে, সংস্থার তরফেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার আর্জি জানানো হয়েছিল।
কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, ২৫ ডিসেম্বর সংস্থার এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশনের পুনর্নবীকরণ করেনি কেন্দ্র। বেশ কয়েকটি শর্ত পূরণ না হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সেই রেজিস্ট্রেশন জন্য সংস্থার তরফে কোনও আবেদন জানানো হয়নি বলেই দাবি করেছে কেন্দ্র। জানানো হয়েছে, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ছিল ওই রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ। সেটা বর্ধিত করা হয় ৩১ ডিসেম্বর অবধি। পরে বেশ কিছু তথ্য সামনে আসে, যা কেন্দ্রের শর্তের পরিপন্থী। তাই, রেজিস্ট্রেশনের পুনর্নবীকরণ করা হয়নি।