Modi Surname Case: মোদী পদবি মামলায় পটনা হাইকোর্টে সাময়িক স্বস্তি রাহুলের, ১৫ মে পর্যন্ত স্থগিত নিম্ন আদালতের সমন
Modi Surname Case: মোদী পদবী মামলায় রাহুল গান্ধীকে তলব করেছিল পটনার এক নিম্ন আদালত। সোমবার, ১৫ মে পর্যন্ত নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করল পটনা হাইকোর্ট।
পটনা: মোদী পদবী মামলায় সাময়িক স্বস্তি পেলেন রাহুল গান্ধী। সোমবার (২৪ এপ্রিল), পটনা হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের আদেশে ১৫ মে পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করল। বিজেপি নেতা সুশীল মোদীর আবেদনের ভিত্তিতে, পটনার এক নিম্ন আদালত এই মামলার প্রেক্ষিতে রাহুল গান্ধীকে ১২ এপ্রিল আদালতে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশকেং উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা। ২০১৯ সালে কর্নাটকে ভোট প্রচারে গিয়ে, রাহুল এক জনসভা থেকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন, মোদী পদবিধারীদের নামই কেন বারবার চোরদের তালিকায় উঠে আসছে? এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে গুজরাটের পাশাপাশি মানহানির মামলা দায়ের হয়েছিল বিহারেও। গুজরাটের সুরাটের আদালত ইতিমধ্য়েই রাহুল গান্ধীকে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। নিম্ন আদালতের সেই রায়ে গুজরাট হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন রাহুল। তবে সেখানেও স্বস্তি মেলেনি, রাহুলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
গত মাসেই গুজরাটের সুরাটের এক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মোদী পদবী নিয়ে হওয়া এক ফৌজদারি মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। তার ৭ দিন পরই একই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁকে সমন পাঠিয়েছিল পটনার এক নিম্ন আদালত। ১২ এপ্রিল তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হলেও, রাহুল ওই দিন আদালতে যাননি। বদলে তাঁর আইনজীবী আদালতের কাছে আরও কিছুটা সময় চেয়েছিলেন। আদালত এরপর তাঁকে ২৫ এপ্রিল হাজিরা দিতে বলেছিল। তার আগেই গত শনিবার (২২ এপ্রিল), নিম্ন আদালতের সেই হাজিরা দেওয়ার নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেছিলেন উচ্চ আদালতে। হাইকোর্টে করা আবেদনে রাহুল গান্ধী যুক্তি দিয়েছিলেন, এই মামলার ফলে এক আইনি জটিলতা তৈরি হবে। যাকে আইনি ভাষায় বলে ‘ডাবল জিওপার্ডি’ বা ‘দ্বৈত সংকট’।
এদিন রাহুল গান্ধীর পক্ষে পটনা হাইকোর্টে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী বীরেন্দ্র রাঠোর। তিনি বলেছেন, “আমরা একটি খারিজের আবেদন দাখিল করেছি। ওই বিষয়টি ইতিমধ্যেই সুরাটের আদালতে বিচারাধীন। এই একই বিষয়ের বিচার ভিন্ন আদালতে হতে পারে না। এটা বেআইনি। পরবর্তী শুনানি ১৫ মে এবং নিম্ন আদালতের সমস্ত কার্যক্রম ততদিন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। আদালত তাঁর (রাহুল গান্ধী) আবেদন গ্রহণ করে তাঁকে স্বস্তি দিয়েছে। এখন তাঁকে পটনার নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে হবে না।” অন্যদিকে, সুশীল কুমার মোদীর আইনজীবী বলেছেন, “নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে, রাহুল গান্ধী হাইকোর্টে সেই আদেশ খারিজ করার জন্য আবেদন করেছিলেন। আদালত আমাকে এই বিষয়ে আমার যুক্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে।”
সুরাটের আদালতের ওই নির্দেশের জেরে সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে রাহুল গান্ধীর। নিম্ন আদালতের রায়কে সুরাট জেলা ও দায়রা গুজরাট হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু, জেলা আদালতও নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করতে রাজি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন কংগ্রেস নেতা।