Morbi River Tragedy: বোল্ডারের ফাঁকেই হয়তো আটকে আছে দেহ, থাইল্যান্ডের অনুকরণেই ‘অভিশপ্ত’ মাচ্ছু নদী থেকে তোলা হচ্ছে জল

rescue Operation: মঙ্গলবার মধ্যরাতেই ফোন করে ইঞ্জিনিয়ারদের নদী থেকে জল তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়। আট ঘণ্টা পর ২০ জন ইঞ্জিনিয়ার দুটি বড় পাম্প লাগিয়ে নদীর এক পাড় থেকে জল তোলা শুরু করেন।

Morbi River Tragedy: বোল্ডারের ফাঁকেই হয়তো আটকে আছে দেহ, থাইল্যান্ডের অনুকরণেই 'অভিশপ্ত' মাচ্ছু নদী থেকে তোলা হচ্ছে জল
মাচ্ছু নদী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2022 | 10:08 AM

আহমেদাবাদ: ২০১৮ সালে থাইল্যান্ডের গুহা প্লাবিত হওয়ায় যখন হাজার হাজার পর্যটক আটকে পড়েছিলেন, সেই সময় উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য রাতারাতি গুহার ভিতর থেকে সমস্ত জল বের করা হয়েছিল পাম্পের সাহায্যে। এবার সেই পদ্ধতিই অনুসরণ করা হল গুজরাটেও। গত রবিবার গুজরাটের মরবিতে মাচ্ছু নদীর উপরে সেতু ছিঁড়ে পড়ে যে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাতে কমপক্ষে ১৪১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নদীর তলদেশে এখনও বেশ কিছু দেহ আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই দেহগুলি উদ্ধার করতেই মাচ্ছু নদী থেকে জল তুলে ফেলার কাজ শুরু হল। জানা গিয়েছে, গুজরাট জল সম্পদ উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেডের তরফেই মাচ্ছু নদীর ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে জলশোষণের কাজ শুরু করা হয়েছে। বুধবার থেকেই ইঞ্জিনিয়াররা পাম্পের সাহায্যে জল বের করার কাজ শুরু করেছেন। আজও দিনভর এই কাজ চলবে।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মধ্যরাতেই ফোন করে ইঞ্জিনিয়ারদের নদী থেকে জল তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়। আট ঘণ্টা পর ২০ জন ইঞ্জিনিয়ার দুটি বড় পাম্প লাগিয়ে নদীর এক পাড় থেকে জল তোলা শুরু করেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমপক্ষে ৭ লক্ষ লিটার জল বের করা হয়েছে। বর্তমানে নদীর জলস্তর অনেকটাই কমে গিয়েছে। এবার উদ্ধারকাজে সাহায্য হবে বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

২০১৮ সালে থাইল্যান্ডে একটি গুহায় ১২জন শিশু ও তাদের ফুটবল কোচ আটকে পড়ার পর, যেভাবে গুহা থেকে জল বের করে সকলকে উদ্ধার করা হয়েছিল, তার অনুকরণেই  মাচ্ছু নদী থেকে জল তোলা হচ্ছে নীচে আটকে থাকা দেহগুলি উদ্ধারের জন্য। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ৬টি সংস্থা থেকে মোট ৩০০ জন ঠিকা কর্মী বিগত ৩ দিন ধরে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। বর্তমানে পাম্পের মাধ্যমে নদীর জলস্তর কমানোর কাজ শুরু হয়েছে। আরও কয়েক ফুট জলস্তর যদি কমানো যায়, তবে সহজেই দেহগুলি উদ্ধার করা সম্ভব হবে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রধান প্রসন্ন কুমারও ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উদ্ধারকাজের তদারকি করছেন।

রবিবারের বিপর্যয়ের পর সোমবারই শেষ দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এরপর থেকে লাগাতার তল্লাশি অভিযান চললেও, কোনও দেহ উদ্ধার হয়নি। তবে নিখোঁজদের তালিকা মিলিয়ে দেখা গিয়েছে, এখনও অবধি কয়েকজনের খোঁজ মেলেনি।