Viral Fever: এক জেলাতেই পরপর ৭ শিশুর মৃত্যু, বাংলার বাইরেও ছড়াচ্ছে আতঙ্ক

Child Fever: জ্বর, বমি কিংবা নেতিয়ে পড়া। এই সব উপসর্গ দেখা দিলেই শিশুকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সতর্কতা বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Viral Fever: এক জেলাতেই পরপর ৭ শিশুর মৃত্যু, বাংলার বাইরেও ছড়াচ্ছে আতঙ্ক
প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2021 | 9:42 AM

আগ্রা: গত কয়েকদিন ধরেই বাংলায় সংবাদ শিরোনামে অজানা জ্বর (Unknown Fever)। পরপর একাধিক শিশুর মৃত্যুর (Child Death) খবর করোনা আবহের মধ্যে তৈরি করেছে নতুন আতঙ্ক। তবে বাংলার বাইরেও একাধিক রাজ্যে ধরা পড়েছে একই ছবি। চলতি মাসে আগ্রায় জ্বরের (Fever) উপসর্গ থাকা সাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাল ফিভার (Viral Fever) বা ভাইরাস জনিত জ্বরেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আগ্রায় চিফ মেডিক্যাল অফিসার (Chief Medical Officer অরুণ শ্রীবাস্তব।

চিফ মেডিক্যাল অফিসার অরুণ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন সেপ্টেম্বর মাসে সাত শিশুর মৃ্ত্যু হয়েছে আগ্রায়। রবিবার সকালেই চাচিহা গ্রামে এক ১৪ বছর বয়সী কিশোরের মৃত্যু হয়েছে জ্বরে। শনিবার সন্ধেয় ফতেপুর সিক্রির রসুলপুর গ্রামে একই পরিবারের দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গিরিরাজ ধাম কলোনিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এক শিশু মৃত্যু হয়েছে নুনহাই এলাকায়। খাদিয়া গ্রামে মৃত্যু হয়েছে আরও এক শিশুর।

সিএমও জানান, এই জ্বরের ক্ষেত্রে সবথেকে উদ্বেগের বিষয় হল, চিকিৎসার জন্য খুবই কম সময় পাওয়া যাচ্ছে। জ্বরের ২-১ দিনের মধ্যেই মৃত্যু হচ্ছে শিশুর। তিনি আরও জানিয়েছেন, এ বছর ৬১ জনের ডেঙ্গি হয়েছে এই আগ্রা জেলায়। তার মধ্যে ৪১ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ও বাকি ২০ জনের চিকিৎসা চলছে।

সাধারণ মানুষের উদ্দেশে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যাতে শিশুরা জ্বরে আক্রান্ত হলে বাড়িতে ফেলে রাখা না হয়। অবিলম্বে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বিশেষত জ্বর, বমি বা নেতিয়ে পড়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলেন শিশুদের বাড়িতে ফেলে রাখা উচিৎ নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এ ছাড়া ডেঙ্গি ঠেকাতে জায়গায় জায়গায় ক্যাম্প করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।

এ দিকে, বাংলাতেও বাড়ছে অজানা জ্বরের প্রকোপ। জানা যাচ্ছে, জ্বরের পাশাপাশি তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে শিশুদের মধ্যে। বেশিরভাগ শিশুই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কিছুক্ষেত্রে দেখা দিচ্ছে এমআইএস-এর লক্ষ্মণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত পাঁচ বছরের বয়সের কম শিশুদের মধ্যে এই লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, এটা আরএস ভাইরাসের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে। আরএস ভাইরাসের দাপট সারা বিশ্বে জুলাইয়ে দেখা গিয়েছিল। সময়ের অনেক আগেই এই ভাইরাস থাবা বসিয়েছে। শীতকালে যে ভাইরাস হানার কথা, তা দুমাস আগেই অগাস্ট-সেপ্টেম্বরেই দেখা গিয়েছে।

শ্বাসযন্ত্রের সিনসাইটাল ভাইরাস। কাশি বা হাঁচির পরে ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায়। সাধারণত শীতকালে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ে। অত্যন্ত ছোঁয়াচে এই আরএস ভাইরাস। শিশুরাই সংক্রমিত হয় বেশি।

আরও পড়ুন: Suicide: যেতে চাননি পারিবারিক অনুষ্ঠানে, বাড়ি থেকেই উদ্ধার প্রাক্তন মন্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ