ছাড়পত্র পেল নৈনি কোল ব্লক, ১০ বছরে উৎপাদন হবে ১০ মিলিয়ন টন কয়লা

Naini Coal Block: ২০১৫ সালেই সিঙ্গারেনি সংস্থাকে এই কয়লা খনির দায়িত্ব দেওয়া হলেও, সম্প্রতি  কেন্দ্রীয় কয়লা ও খনি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির উদ্য়োগেই কয়লা খনি নিয়ে জট কেটেছে।

ছাড়পত্র পেল নৈনি কোল ব্লক, ১০ বছরে উৎপাদন হবে ১০ মিলিয়ন টন কয়লা
ফাইল চিত্রImage Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Updated on: Jul 07, 2024 | 10:44 AM

নয়া দিল্লি: দেশের কয়লা উত্তোলন ক্ষেত্রে বড় ধাপ, ওড়িশার নৈনি কোল ব্লক বা কোলিয়ারির দায়িত্ব ভার পেল সিঙ্গারেনি কোলিয়ারিজ কোম্পানি লিমিটেড। এই কয়লা খনি থেকে কয়লা উৎপাদন শুরু হলে রাজ্য তথা দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যে আঞ্চলিক ও জাতীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।

২০১৫ সালেই সিঙ্গারেনি সংস্থাকে এই কয়লা খনির দায়িত্ব দেওয়া হলেও, সম্প্রতি  কেন্দ্রীয় কয়লা ও খনি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির উদ্য়োগেই কয়লা খনি নিয়ে জট কেটেছে।

ওড়িশার আঙ্গুল জেলায় অবস্থিত নৈনি কয়লা খনিতে জি-১০ গ্রেডর কয়লা পাওয়া যায়। বার্ষিক ১০ মিলিয়ন বা ১ কোটি টন কয়লা উৎপাদন হতে পারে এই খনি থেকে। এই খনিতে বর্তমানে ৩৪০.৭৮ মিলিয়ন টন বিপুল খনিজ মজুত রয়েছে।

খনি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-

বরাদ্দের তারিখ: ১৫ অগস্ট ২০১৫।

আইন-ধারা:  কয়লা খনি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১৫-র তফসিল-৩ এর বিধানের অধীনে এই খনি বরাদ্দ করা হয়েছে।

খননের অনুমোদন:  ২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল কয়লা মন্ত্রক (MoC) এই খনিতে খননের অনুমোদন দেয়৷

২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

বন দফতরের ছাড়পত্র: ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ ফরেস্ট ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করা হয়েছিল এবং ২০২২ সালের ১২  অক্টোবর এই ছাড়পত্র মেলে।

যাবতীয় অনুমোদন পাওয়া সত্ত্বেও, বন্যপ্রাণী ইনস্টিটিউট একটি বন্যপ্রাণ রক্ষা পরিকল্পনার কারণে ওড়িশা সরকারের কাছ থেকে বনভূমি হস্তান্তর করতে সময় লাগছে। বর্তমানে সরকারের উর্ধ্বতন কর্তারা এই বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য কাজ করছে। প্রকল্পটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্প্রতিই ২৪ জুন এসসিসিএল সিএমডি, ওড়িশার মুখ্য সচিব এবং প্রধান বন সংরক্ষক (পিসিসিএফ) এর সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

উৎপাদন এবং কৌশলগত পরিকল্পনা-

২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে  সিঙ্গারেনি সংস্থা ৫ মিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে, যা তিন বছরের মধ্যে বার্ষিক ১০ মিলিয়ন টনে নিয়ে যাওয়া হবে। মূলত তেলঙ্গানার মাঞ্চেরিয়াল জেলার সিঙ্গারেনি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ করা হবে, যা TANGEDCO এবং NTPC-এর মতো সংস্থাগুলির মাধ্যমে কয়লা পরিবহন ও সরবরাহ করা হবে।

আগামী ২০২৬ সালের মার্চের  মধ্যে প্ল্যান্টটি চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায়, ২০৩০ সালের মধ্যে ২×৮০০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ৭৫০ থেকে ১০০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। এর প্রধান লক্ষ্যই হবে শক্তি উৎপাদন আরও বৃদ্ধি ।

এসসিসিএল (SCCL) বার্ষিক ৩০০০ কোটি টাকার রাজস্ব তৈরি করবে। এর মধ্যে সংস্থার ৫০ কোটি টাকার আনুমানিক লাভ থাকবে। এছাড়া জিএসটি, রয়্যালটি, ডিস্ট্রিক্ট মিনারেল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট (ডিএমএফটি), এবং কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) রাজস্বের মাধ্যমে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার লাভবান হবে।