Gujarat: নরোদা গাম হত্যাকাণ্ড মামলায় অভিযুক্ত ৬৮ জনেরই সাজা মকুব করল আদালত

Naroda Gam massacre case: বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল), ২০০২ সালের নরোদা গাম হত্যাকাণ্ড মামলায় অভিযুক্ত সকল ব্যক্তিকে বেকসুর খালাস দিল আহমেদাবাদের এক বিশেষ আদালত। তালিকায় নাম আছে বিজেপি নেত্রী মায়া কোদনানি, বজরং দলের নেতা বাবু বজরঙ্গি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা জয়দীপ প্যাটেলদের।

Gujarat: নরোদা গাম হত্যাকাণ্ড মামলায় অভিযুক্ত ৬৮ জনেরই সাজা মকুব করল আদালত
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 20, 2023 | 7:14 PM

আহমেদাবাদ: বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল), ২০০২ সালের নরোদা গাম হত্যাকাণ্ড মামলায় অভিযুক্ত সকল ব্যক্তিকে বেকসুর খালাস দিল আহমেদাবাদের এক বিশেষ আদালত। খালাস পাওয়া ৬৮ জনের তালিকায় গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী মায়া কোদনানি, বজরং দলের প্রাক্তন নেতা বাবু বজরঙ্গি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা জয়দীপ প্যাটেল প্রমুখরা রয়েছেন। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সময় নরোদা গাম এলাকায় সাম্প্রদায়িক হিংসার শিকার হয়েছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১১ সদস্য। তাঁদের ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই মামলায় মোট ৮৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। কিন্তু তাঁদের মধ্যে ১৮ জনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যার চেষ্টা, বেআইনি জমায়েত, দাঙ্গা, সশস্ত্র দাঙ্গা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, দাঙ্গার উস্কানি-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা করা হয়েছিল। সেই সকল অভিযোগ থেকে এদিন মুক্ত হলেন তারা। অভিযুক্তরা অবশ্য সকলেই জামিনে কারাগারের বাইরে ছিলেন।

২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার মামলাগুলি দ্রুত বিচারের জন্য এই বিশেষ আদালত গঠন করা হয়েছিল। ৫ এপ্রিল আদালত শুনানি শেষ করেছিল। সব মিলিয়ে ১৮২ জন সাক্ষীকে জেরা করা হয়। ২০০২ সালে গোধরা কাণ্ডের পর, গুজরাটের যে নয়টি বড় দাঙ্গা শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম ছিল এই নরোদা গাম দাঙ্গা। এই মামলার ক্ষেত্রে প্রতিদিনের শুনানির কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরও নরোদা গাম মামলার রায় দিতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগল। কোদনানিএবং বজরঙ্গীকে নরোদা পটিয়া মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত করেছিল এক নিম্ন আদালত। তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে পরে, গুজরাট হাইকোর্ট কোডনানি এবং বজরঙ্গী – দুজনেরই সাজা মকুব করে দিয়েছিল।