Rahul Gandhi: দুই দিনে ২০ ঘন্টার বেশি জেরা, রেহাই পেলেন না রাহুল! বুধবার ফের হাজিরা
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় দ্বিতীয় দিনেও ১০ ঘন্টা জেরা করা হল রাহুল গান্ধীকে। বুধবার ফের এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের সদর দফতরে দিতে হবে হাজিরা।
নয়া দিল্লি: সোমবার (১৩ জুন) জেরা চলেছিল ১০ ঘন্টা। মঙ্গলবার, জেরার দ্বিতীয় দিনে, রাহুল গান্ধীকে দুই দফায় ফের ১০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। তারপরও ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত তহবিল তছরুপের মামলার তদন্ত থেকে রেহাই মিলল না প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির। সূত্রের খবর, ‘তদন্তে অসহযোগিতার’ কারন দেখিয়ে বুধবার ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে রাহুল গান্ধীকে।
মঙ্গলবার, জেরার দ্বিতীয় দিনে, সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট-এর সদর দফতরে আসেন রাহুল গান্ধী। আগের দিন যেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়েছিল, এদিন ফের সেখান থেকেই শুরু করেন তদন্তকারীরা। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ দ্বিপ্রাহরিক ভোজের জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন ইডির কর্তারা। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় আবার কংগ্রেস সাংসদ জেরায় অংশ নিতে ফিরে আসেন। দুই পর্ব মিলিয়ে এদিনও ১০ ঘন্টা জেরা চলে।
সোমবারের জেরা পর্বে ডটেক্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে কলকাতার একটি সংস্থার কথা উঠেছিল। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় দিন রাহুল গান্ধীকে প্রথমেই ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডিং সম্পর্কিত এবং অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডের সঙ্গে জড়িত নির্দিষ্ট কিছু আর্থিক লেনদেনের নথিপত্র দেখানো হয়। এরপর ওয়ানাড়ের সাংসদকে ইয়ং ইন্ডিয়ান সংস্থায় তাঁর ভূমিকা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডের শেয়ার প্য়াটার্ন, ওই সংস্থার মোট কয়টি শেয়ার ছিল, কত টাকায় সেই শেয়ার কেনা হয়েছিল, কতগুলি শেয়ার কেনা হয়েছিল, তার জন্য কোন অ্যাকাউন্ট থেকে কাদের কীভাবে পেমেন্ট করা হয়েছে – এই সব প্রশ্ন করা হয়।
সূত্রের খবর, রাহুলের জবাবে একেবারেই সন্তুষ্ট হননি ইডির তদন্তকারীরা। তাঁরা মনে করছেন, কোন প্রশ্নের কী উত্তর দিতে হবে, তা পাখি পড়ার মতো করে রাহুলকে শিখিয়ে দিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা। কোন কোন দিক এড়িয়ে যেতে হবে, তাও তাঁকে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। আর এই কারণেই বুধবার আবার ডাকা হয়েছে কংগ্রেস সাংসদকে। ওই সূত্রের আরও দাবি, মঙ্গলবারই জেরা পর্ব শেষ করতে চেয়েছিলেন রাহুল। ইডি-র কর্তাদের নাকি তিনি বলেছিলেন, এদিন যত রাতই হোক, সব সওয়াল এদিনই শেষ করুন তাঁরা। তবে, তাঁর এই প্রস্তাব মানেননি তদন্তকারী কর্তারা।
মঙ্গলবার, রাহুল গান্ধীর ইডি দফতরে হাজিরা এবং তাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস নেতাদের সত্যাগ্রহ কর্মসূচিকে ঘিরে ধুন্ধুমার বেধেছিল দিল্লির রাজপথে। এদিনও ছবিটা খুব একটা বদলায়নি। এদিনও রাস্তায় নেমে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ইডি তদন্তের প্রতিবাদ করতে যাওয়ায়, মল্লিকার্জুন খর্গে, কেসি বেনুগোপাল, অধীররঞ্জন চৌধুরী, জয়রাম রমেশ, রণদীপ সুরজেওয়ালা, গৌরব গগৈ, দীপেন্দ্র সিং হুডা, রঞ্জিত রঞ্জন, ইমরান প্রতাপগড়ী, রঞ্জিতা রঞ্জন, যোথিমনি, রঘু শর্মা-সহ মোট ২১৭ জন কংগ্রেস নেতাকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। তাঁদের গ্রেফতার না করে ৭ ঘন্টা ধরে বদরপুর থানায় আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতারা। এমনকী, তাঁদের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন ভূপেশ বঘেল, মুকুল ওয়াসনিকরা। সদ্য করোনা মুক্ত হওয়া কেসি বেনুগোপাল সামান্য অসুস্থও হয়ে পড়েন। রাতে ২১৭ জনকেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।