‘১ লাখ টাকা দেবে বলেছিল, আজ তাদের লাঠি মারছে’, ইন্ডি জোটকে আক্রমণ মোদীর

NDA Meeting: বৈঠকে যোগ দিয়েছেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার, টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু, জনসেনা দলের প্রধান পবন কল্যাণ, এলজেপির প্রধান চিরাগ পাসওয়ান প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রী সংসদের সেন্ট্রাল হলে ঢুকতেই ওঠে মোদী মোদী স্লোগান।

'১ লাখ টাকা দেবে বলেছিল, আজ তাদের লাঠি মারছে', ইন্ডি জোটকে আক্রমণ মোদীর
সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Jun 07, 2024 | 2:38 PM

নয়া দিল্লি: শুরু হল এনডিএ-র বৈঠক। দিল্লিতে সংসদের সেন্ট্রাল হলে বৈঠকে বসেছে এনডিএ জোট। উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা সহ বিজেপির শীর্ষ নেতারা। বিজেপির সমস্ত নবনির্বাচিত সাংসদরাও উপস্থিত রয়েছে। এছাড়াও বৈঠকে যোগ দিয়েছেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার, টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু, জনসেনা দলের প্রধান পবন কল্যাণ, এলজেপির প্রধান চিরাগ পাসওয়ান প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রী সংসদের সেন্ট্রাল হলে ঢুকতেই ওঠে মোদী মোদী স্লোগান। বৈঠকের সমস্ত আপডেট দেখে নিন এক নজরে-

  1. আমি বলছি, আমার প্রতিটি মুহূর্ত দেশের জন্য। ২৪/৭ আমি প্রস্তুত। আমাদের একসঙ্গে দেশকে এগিয়ে  নিয়ে যেতে হবে। আপনাদের আশা-প্রত্যাশা পূরণ করতে কোনও খামতি রাখব না। আমার জন্ম শুধু ভারত মাতার জন্য হয়েছে। ১৪০ কোটি মানুষের সেবা করাই আমার মিশন। আমি দেশকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই যেখানে গোটা বিশ্বের মানুষ ভারতীয়দের সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য উদগ্রীব থাকবে।
  2. বিকাশের রোডম্যাপ তৈরি। কিন্তু অনেকে সরকার গড়তে প্রস্তুত। তারা নকল চাকরির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। দেখা যাবে, আমার সই জাল করে নথি-বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। আপনারা সতর্ক থাকুন। কেউ ফোন করলে, যাচাই করে নিন যে আদৌ কে ফোন করছে। আমি বলছি, এইসব চেষ্টা করে কোনও লাভ হবে না। সাংসদদেরও অনুরোধ, এই ধরনের ষড়যন্ত্রের অংশ বা শিকার হবেন না। ব্রেকিং নিউজের ভিত্তিতে দেশ চলবে না।
  3. রাষ্ট্রনেতাদের শুভেচ্ছাবার্তা উপচে পড়ছে। এটা স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ। এই বছরকে এমনভাবে উদযাপন করতে হবে যে জনগণের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়। ছত্রপতি শিবাজি যেমন রাষ্ট্র প্রথম ধারণা নিয়ে এগিয়েছিলেন, তা আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়।
  4. বিশ্বে ভারতের ভূমিকা বাড়ছে। ২০১৪ সাল থেকেই বিশ্ব ভারতের মধ্যে আশা দেখেছিল, আজ ভারতের পরিচয় বিশ্ববন্ধু হয়ে উঠেছে। ভারতের সফল বিদেশনীতিও ভাল ফল দিয়েছে। ভারতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা বাড়ছে। রাজ্য়গুলিকেও প্রস্তুত থাকতে বলছি। ভারতে জি-২০ আসার পর তাতে নতুন প্রাণ সঞ্চার হয়েছে।
  5. আগামী দিনে গ্রিন জব, গ্রিন হাইড্রোজেন, গ্রিন মোবিলিটি নিয়ে দ্রুত এগোব আমরা। ৫ জুন থেকে আমরা কর্মসূচি শুরু করেছি, মায়ের নামে বৃক্ষরোপণ। মায়ের জন্মদিনে বৃক্ষরোপণ করুন। এতে মা ও ধরিত্রী মায়ের সেবা হবে।
  6. মুদ্রা যোজনা, ড্রোন দিদি-নতুম সম্ভাবনার সুযোগ দিয়েছে। ভারতের জন্য পর্যটন এমন এক সুযোগ যা আগে কখনও পায়নি। আগামী ২৫ বছরে এমন উন্নয়ন হবে যে গোটা বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে থাকবে। এতে সকলে উপকৃত হবেন। ভোকাল ফর লোকাল এবং আঞ্চলিক পর্যটনে জোর দেওয়ার কাজ করছি।
  7. রাজ্যের মধ্য়ে মিল, কেন্দ্র-রাজ্যের সহযোগীতায় বিশেষ জোর দিয়েছি। জি-২০-তে দেশের বিভিন্ন কোণায় ২০০টি বৈঠক হয়েছে। আমরা কোভিডকালে রাজ্যের সঙ্গে সহযোগিতায় লড়াই করেছি, সে রাজ্যে সরকার যারই হোক না কেন। আমরা এবার তৃণমূল স্তরে সুবিধা পৌঁছে দিতে উদ্যোগী। দেশের সর্বাঙ্গীন বিকাশের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলছি। ৫ বছরে আমরা গতিশক্তিতে জোর দিয়েছি। আগে যে কাজ ৫-৬ মাসে হত না, তা কয়েকদিনে হয়ে যায় প্রযুক্তির ব্যবহারে। বিশ্বের কাছে ম্যানুফাকচারিং হাব হয়ে উঠছে ভারত।
  8. ১০ বছরে আমরা ২৫ কোটি গরিবকে দরিদ্রসীমা থেকে বের করে এনেছি। ৪ কোটি গরিব মানুষকে ঘর দিয়েছি। ৩ কোটি মানুষকে আরও ঘর তৈরি করে দেব আমরা। ৭০ বছরের উর্ধ্বে সকলকে ৫ লক্ষ টাকার বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা, যুবদের ঋণের ব্যবস্থা করা হবে। এই গ্য়রান্টি পূরণে আমরা কোনও খামতি রাখব না। মধ্যবিত্তরা দেশের চালকশক্তি। তাদের সঞ্চয় বাড়ানোর জন্য, জীবনের মানোন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করেছি। পঞ্চায়েত থেকে পার্লামেন্ট পর্যন্ত নারীশক্তির বিকাশ হয়েছে। সংসদে মহিলাদের সংরক্ষণ দিয়েছি আমরা। এই নির্বাচনে আমরাই সবথেকে বেশি মহিলাদের টিকিট দিয়েছি।
  9. এনডিএ বরাবর দুর্নীতিমুক্ত, পরিবর্তনশীল সরকার দিয়েছে। কংগ্রেসের ইউপিএ নাম বদলে নিলেও, তাদের পরিচয় একই রয়ে গিয়েছে। দেশবাসী তাদের রিজেক্ট করেছে। ইন্ডি জোট এক ব্যক্তির বিরোধিতা করার যে এজেন্ডা নিয়েছিল, তার জন্য জনগণ তাদেরই বিরোধী আসনে বসিয়ে দিয়েছে। এনডিএ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা নিয়ে গিয়েছিল, আর ওরা মিথ্যা প্রচারের জন্য। ছবি তোলার জন্য জোট ঘোষণা করলেও, একাধিক রাজ্যে নিজেদের মধ্যে লড়েছে, একে অপরের পিঠে ছুরি মেরেছে। আমি আগেই বলেছিলাম, ৪ জুনের পর এই জোট ভেঙে যাবে। তাই-ই হচ্ছে। অর্থাৎ এরা ক্ষমতার লোভেই একজোট হয়েছিল। যতই মিথ্যা বলুক না কেন, জনতা জনার্দন বিশ্বাস করবে না।  বলেছিল, ১ লাখ টাকা দেবে, আজ তাদের ধাক্কা মারছে, লাঠি মারছে। এটা দেশের গরিবদের অপমান। দেশ কখনও এই আচরণ ভোলে না আর মাফও করে না।
  10. ২০২৪ সালের জনমত বারবার এই বার্তাই দিচ্ছে যে দেশের শুধু এনডিএ-র উপর ভরসা আছে। যখন এত অটুট বিশ্বাস, তখন স্বাভাবিক যে দেশের প্রত্যাশাও বাড়বে। আমি এটাকে কর্তব্য বলে মনে করি। আমি আগেও বলেছিলাম, ১০ বছর যা কাজ করেছিলাম, তা শুধু ট্রেলার ছিল, দেশবাসীর আকাক্ষ্মা পূরণে একটুও বিলম্ব করা যাবে না। একদিকে যদি যদি এনডিএ রাখি, অন্যদিকে ভারত, তবে বলব, এনডিএ মানে নিউ ইন্ডিয়া।
  11. গণতন্ত্র আমাদের সবাইকে সম্মান জানাতে শেখায়। বিগত ১০ বছরে আমি একটা জিনিস মিস করছিলাম। বিতর্ক। আশা করছি, এই সদনে এবার আর সেই অভাব বোধ হবে না। বিপক্ষে বসলেও, রাষ্ট্রের বিপক্ষে তো বসবে না। আমরা সবাই রাষ্ট্রের পক্ষে। আশা করছি, তারাও রাষ্ট্রের হিতের কথা ভেবে সংসদে আসবে।
  12. আগেও এনডিএ সরকার ছিল, এখনও আছে। আমরা হারলাম কোথা থেকে? ১০ বছর পরও কংগ্রেস ১০০ পার করতে পারল না। বিগত তিনটি লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস যে আসন পেয়েছে, তা আমরা এবারেই পেয়েছি। ইন্ডি জোট এবার গর্তে পড়বে। ইন্ডি জোট দেশের মানুষের সামর্থ্যকে বুঝতে চায় না। ৪ তারিখের পর এদের যা ব্যবহার, ওদের মধ্যে সংস্কার আসুক, এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
  13. আমি মানছি এবং বিশ্বও মানবে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের ফলাফল এনডিএ-র মহা বিজয়।  দুইদিন এমনভাবে চলল যেন আমরা হেরে গিয়েছি। গঠবন্ধনের ইতিহাসে এটা সবথেকে মজবুত সরকার। কিন্তু এই জয়কে স্বীকার না করার চেষ্টা চলেছে। দেশবাসী জানে, আমরা না হেরেছি, না আমরা হারব। ৪ তারিখের পর আমাদের ব্যবহারে স্পষ্ট হয়েছে যে আমরা জয় হজম করতে পারি। এটা আমাদের শিক্ষা। আমরা উন্মাদের মতো উল্লাস করি না, পরাজিতদের নিয়ে উপহাস করি না। এটা আমাদের সংস্কার।
  14. ১ তারিখে ভোট গ্রহণ শেষ ও ৪ জুন ফল প্রকাশের মাঝে দেশে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করেছে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। লাগাতার দেশকে বিভ্রান্ত করা, বিভাজিত করার চেষ্টা করেছে।
  15. দেশের জন্য় এটাও চিন্তার কারণ যে বিশ্বের কাছে ভারতের গণতন্ত্রকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করছে। আমি বিভিন্ন দেশে গিয়ে ঢাক পেটাচ্ছি যে ভারত গণতন্ত্রের জনক, আর এরা বিদেশে গিয়ে বলছে, না না, আমাদের দেশে গণতন্ত্র নেই। মোদী একজন চা-ওয়ালা, ও কীভাবে প্রধানমন্ত্রী পদে পৌঁছে গেল। এটা ওদের ষড়যন্ত্র।
  16. ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা পুরনো চিন্তাধারার মানুষ। এরা প্রযুক্তিকে স্বীকার করতে চায় না। এটা শুধু ইভিএম নয়, ইউপিআই নিয়ে যখন আমরা বললাম দেশের মানুষ ডিজিটাল পেমেন্ট করবে, এরা বিশ্বাস করতে চায়নি। আধার দেশের পরিচয় হয়ে উঠেছে, আধার কার্ড নিয়েও বাধা দেওয়ার জন্য বারবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। এরা প্রগতি, আধুনিকতা ও প্রযুক্তির বিরোধী।
  17. আমি দেখেছি, প্রতিদিন নির্বাচন কমিশনের কাছে বাধা দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নির্বাচনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। নির্বাচন কমিশনের উপরে হামলা করেছে, বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করেছে। দেশ কখনও এদের মাফ করবে না।
  18. ৪ জুন আমি কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমার কাছে ফোন আসছিল। আমি একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম, ইভিএম বেঁচে আছে? কারণ এটা লাগাতার ইভিএম-কে গালি দিয়েছে। আমি তো ভেবেছিলাম ইভিএমের চিতা নিয়ে বের হব্। কিন্তু ৪ জুনের বিকেল হতে হতে এদের মুখে তালা পড়ে গেল। ২৯ মে আমরা যখন যাব, তখন হয়তো আবার শুরু করে দেবে।
  19. আমি যখনই জগন্নাথ মহাপ্রভুকে স্মরণ করি, তখন আমার মনে হয়, উনি গরিবের দেবতা। ওড়িশায় ক্রান্তিকারী ফল পেয়েছি। বিকশিত ভারতের যে লক্ষ্য রয়েছে, আগামী ২৫ বছরে মহাপ্রভু জগন্নাথের আশীর্বাদে ওড়িশা দেশের বিকাশের ইঞ্জিন হবে।
  20. কেরলে অত্যাচার হয়েছে। এলডিএফ হোক বা ইউডিএফ, কাশ্মীরের থেকেও বেশি অত্যাচার হয়েছে কেরলে। তাও দমিয়ে রাখা যায়নি। এই প্রথম কেরল থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে। অরুণাচলে আমরা বারবার সরকার গঠন করেছি। সিকিমেও আমরা প্রায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছি। অন্ধ্রে বিপুল জনমত পেয়েছি।
  21. অটল বিহারী বাজপেয়ী, প্রকাশ সিং বাদল, বালাসাহেব ঠাকরে, জর্জ ফার্নান্ডেজ, শরদ যাদব যে বীজ বপন করেছিলেন, তা ভারতের জনগণ সেচন করে বটবৃক্ষ তৈরি হয়েছে। এনডিএ-র সদস্যদের মধ্যে কমন বিষয় সুশাসন। দক্ষিণ ভারতে এনডিএ এক নতুন রাজনীতির ভিত্তি স্থাপন করেছে। কর্নাটক, তেলঙ্গানায় এদের (বিরোধীদের) সরকার তৈরি হয়েছিল, কিন্তু কয়েক মাসেই সাধারণ মানুষের ভ্রম ভেঙে গিয়েছে। তারা এনডিএ-কে জড়িয়ে ধরেছে। তামিলনাডুতে আমরা আসন জিততে না পারলেও, ভোট শতাংশ যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে, কাল কী হতে চলেছে কেউ জানে না।
  22. আজাদির ৭৫ বছরের মধ্যে তিন দশক ধরে এনডিএ রয়েছে। এটা বিশেষ বার্তা দেয়। আমি তথ্য়ের ভিত্তিতেই বলছি, এটা সবথেকে সফল জোট। গণতন্ত্রে ৫ বছরের মেয়াদ হয়। এই জোট ৩০ বছরে ৫ বছর করে তিনবার সরকার চালিয়েছে। চতুর্থবার পা রাখতে চলেছে। এটা সরকার চালানোর জন্য কয়েকটা দলের জোট নয়, এটা নেশন ফার্স্টের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জোট।
  23. ভোটের আগে জোট-ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে কোনও জোট এনডিএ-র মতো সফল হয়নি। আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছি। সরকার চালানোর জন্য বহুমত প্রয়োজন, কিন্তু দেশ চালানোর জন্য সর্বমত প্রয়োজন। আমি দেশবাসীকে বিশ্বাস দিতে চাই, আপনারা যে সুযোগ দিয়েছেন, আমাদের দায়িত্ব তা পূরণ করার। আমরা কোনও প্রচেষ্টার অভাব রাখব না।
  24. দেশের লোকতন্ত্রের ক্ষমতা দেখুন, ২২ রাজ্যে জনগণ তাদের সরকার নির্বাচিত করে সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। আমাদের এই জোট ভারতের আত্মা, নাড়ির প্রতিবিম্ব। আমাদের আদিবাসী বন্ধুদের সংখ্যা বেশি, এমন ১০ রাজ্যের মধ্যে ৭ রাজ্যে এনডিএ সেবা করছে। গোয়া হোক বা উত্তর-পূর্ব, যেখানে ইসাই ভাইবোন থাকেন, সেখানেও আমরা সেবার সুযোগ পেয়েছি।
  25. নরেন্দ্র মোদী বলেন, “আমি ভাগ্যবান যে আপনারা সকলে আমায় এনডিএ-র নেতা হিসাবে নির্বাচিত করে দায়িত্ব দিয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে আমি জবাবদিহিতে বিশ্বাস করি। ২০১৯ সালে যখন আপনারা আমায় নির্বাচিত করেছিলেন, তখন আমি বিশ্বাস শব্দের উপরে জোর দিয়েছিলাম। আজ যখন আমায় পুনরায় নির্বাচিত করছেন, তখন আমি মনে করি আমাদের মধ্যে বিশ্বাসের সেতু অটুট। এটাই সবথেকে বড় পুঁজি।”
  26. প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুরুতেই ভারত মাতা কি জয় স্লোগান দেন। তিনি বলেন, “সকল সাংসদদের অভিনন্দন। সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার কাছে অত্যন্ত খুশির বিষয় যে সকলকে স্বাগত জানানোর সুযোগ পেয়েছি। যারা জয়ী হয়ে এসেছেন, তাদের অভিনন্দন। তবে যে লক্ষাধিক কার্যকর্তা কঠোর পরিশ্রম করেছেন তীব্র গরমেও, তাদের আমি মাথা নত করে প্রণাম করছি।”
  27. নীতীশ কুমার বলেন, “আমাদের জনতা দল ইউনাইটেড নরেন্দ্র মোদীজিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সমর্থন জানাচ্ছে। বিগত ১০ বছর ধরে উনি প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন, আরও ৫ বছর ধরে সেবা করবেন। আমরা সম্পূর্ণভাবে ওনার পাশে রয়েছি। এবার কয়েকজন অপ্রয়োজনীয় কথা বলে এদিক-ওদিক সিটে জিতে গিয়েছে। আগামিবার যাতে জিততে না পারে, তা নিশ্চিত করব আমরা। এরা (বিরোধীরা) কোনও সেবা করেনি। আপনি সেবা করেছেন। আগামিদিনে বিরোধীরা কোনও সুযোগ পাবে না। বিহারে যা কাজ বাকি রয়েছে, সব হয়ে যাবে। আমরা আপনার পাশে রয়েছি। দ্রুত আপনার শপথ গ্রহণ হয়ে যাক এটাই চাই। আমি তো চেয়েছিলাম, আজই শপথ গ্রহণ হয়ে যাক। এদিক-ওদিক যারা করার চেষ্টা করছেন, কোনও লাভ নেই। আমরা সবাই প্রধানমন্ত্রীর কথা মেনে চলব।”
  28. এন়ডিএ জোটসঙ্গী তথা টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, “নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতীয়রা বিশ্বে এক নম্বর স্থানে পৌঁছবে। বিদেশে ভারতীয়রা সর্বোচ্চ পার ক্যাপিটা উপার্জন করছে। আমরা মোদীজির অনুপ্রেরণায় দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করব। এই সরকারে যা কল্পনা করা হয়, তা বাস্তবায়িত হয়। শুধু চিন্তা ভাবনাই নয়, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেও পারফেকশন থাকে। নরেন্দ্র মোদীর সমস্ত নীতিই সঠিক। আজ ভারত সঠিক সময়ে সঠিক নেতা পেয়েছে। এটা দেশের জন্য অত্যন্ত ভাল সুযোগ। এই সুযোগ হাতছাড়া করলে সারাজীবন পস্তাতে হবে। সমস্ত দেশে বৃদ্ধির হার যেখানে ২-৩ শতাংশ, সেখানেই ভারতে সর্বোচ্চ হারে বৃদ্ধি হচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তিতে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বিদেশেও ভারতীয়দের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। তেলুগু দেশম পার্টির তরফে আমি ওনার নাম এনডিএ-র নেতা হিসাবে প্রস্তাব করছি। ওনার নেতৃত্বে দারিদ্রমুক্ত দেশ তৈরি হবে। আমি শুধু মানবতায় বিশ্বাস করি। সেই বিশ্বাসকেই বাস্তবে রূপান্তরিত করছেন মোদীজি। অন্ধ্র প্রদেশে ৯৫ শতাংশ আসনে জয়ী হয়েছি আমরা। এটাই জনগণের এনডিএ-র প্রতি বিশ্বাস। আমার জীবনের গর্বের মুহূর্ত এটা।”
  29. অমিত শাহ বলেন,  “প্রধানমন্ত্রী মোদীজির নাম প্রস্তাবের সমর্থন জানাচ্ছি। এই প্রস্তাব শুধু আমাদের মনের ইচ্ছা নয়। এটা দেশের ১৪০ কোটি জনগণের মনের ইচ্ছা। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, কামাক্ষ্যা থেকে দ্বারকা পর্যন্ত, সবাই বলেছেন দেশের নেতৃত্ব আগামী ৫ বছরের জন্য নরেন্দ্র মোদী দিক। সংবিধানের সদনে আমরা আজ যে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছি, তা ঐতিহাসিক হতে চলেছে। ৬০ বছর পর কোনও নেতা তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হতে চলেছেন, তা হল আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি। এর জন্য তিনটি প্রস্তাবেই সমর্থন জানাচ্ছি।”
  30. রাজনাথ সিং বিজেপির সংসদীয় দলের, এনডিএ-র এবং লোকসভার নেতা হিসাবে প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, “আমি মনে করি এই সবকটি পদের জন্য সবথেকে যোগ্য় মোদীজি। তাঁর থেকে বেশি যোগ্য নেতা কেউ হতে পারেন না। তাই আমি বিজেপি, এনডিএ এবং লোকসভার নেতা হিসাবে মোদীজির নাম প্রস্তাব করছি।”
  31. ১০ বছর আগে উদাসীন ভারত ছিল। ১০ বছর পর মোদীজির নেতৃত্বে আকাক্ষিত ভারত তৈরি হয়েছে যা বিকশিত ভারতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত হয়েছে, দেশের পরিকাঠামোর উন্নতি হয়েছে। গ্রামে বিকাশ হয়েছে। মহিলা, যুবদের ক্ষমতায়ন হয়েছে। এই সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা প্রয়াসের মন্ত্রে।
  32. প্রধানমন্ত্রী নিজের প্রতিটি মুহূর্ত দেশের সেবার জন্য ব্যয় করেছেন, কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তারই ফল মিলেছে। লোকসভার পাশাপাশি ওড়িশাতেও আমরা সরকার গঠন করেছি। আমরা অন্ধ্র প্রদেশেও এনডিএ সরকার তৈরি হচ্ছে। অরুণাচল প্রদেশেও আমরা তৃতীয়বার সরকার গঠন করছি। সিকিমেও এনডিএ-র সরকার গঠন করেছি। মোদীজির নীতিতে দেশে উন্নতি হয়েছে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
  33. অনুষ্ঠানের শুরুতেই জেপি নাড্ডা বলেন, “আজ ঐতিহাসিক এই মুহূর্তের অপেক্ষা ছিল সকলের। আমরা তৃতীয়বার এনডিএ-কে জয়ী করেছি। আপনাদের সকলকে এবং দেশের কোটি কোটি মানুষের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজিকে স্বাগত জানাই। এনডিএ-র সমস্ত জোটসঙ্গীকে ধন্যবাদ ও অভিননন্দন জানাই।”