‘ভারত-চিনের মধ্যে কখনওই যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়নি’, লাদাখ নিয়ে লঘু আমেরিকা
বিবৃতি দিয়ে আমেরিকা জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা সচিব অস্টিনের সঙ্গে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
নয়া দিল্লি: লাদাখে যখন ভারত আর চিনের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছিল, তখন ভারতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিল আমেরিকা (USA)। বারবার ট্রাম্প, মাইক পম্পেওরা চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করেও চিনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল মার্কিন মুলুক। কিন্তু ভারত সফরে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন এসে জানালেন, কখনওই ভারত আর চিনের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
ক্ষমতায় এসেই বাইডেন বুঝিয়ে দিয়েছিলেন চিন বিরোধিতা তিনি করবেন অন্য ভাবে। বিশ্বের সব নীতি মেনেই চিনের সঙ্গে ব্যবসায়িক লড়াইয়ে নামবেন তিনি। সেই মতো বাইডেন প্রশাসন যেমন চিনের বিরুদ্ধে চরম হয়েছে, তেমন নরমও হয়েছে। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানান, চিন বিরোধিতার আঁচ বাইডেন আমলে ট্রাম্পের থেকে কম। তিন দেশের সফরে বেরিয়েছেন বাইডেনের প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। ভারতের পর জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় যাবেন তিনি।
শুক্রবার রাতেই তাঁর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর। সেই বৈঠকে উঠে এসেছিল ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রসঙ্গ। ভারত সফর শেষ করে লয়েড অস্টিন যাবেন জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায়। অস্টিনের সঙ্গে বৈঠকের পর টুইট করে নরেন্দ্র মোদী লেখেন, “লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আমার শুভ কামনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জানাতে বলেছি। ভারত ও আমেরিকা কৌশলগত অংশীদারিত্বে রয়েছে যা বিশ্বের জন্য ভাল।” টুইট করে লয়েড অস্টিন লিখেছেন, “ভারতে এসে রোমাঞ্চিত। প্রতিরক্ষায় দুই দেশের বোঝাপড়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সব সমস্যার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করব।”
বিবৃতি দিয়ে আমেরিকা জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা সচিব অস্টিনের সঙ্গে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের আধিকারিকদের সঙ্গে লয়েড অস্টিনের বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনের আগ্রাসন, লাদাখ, সন্ত্রাসবাদ-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে।