Vande Bharat Train : খুব শীঘ্রই আসছে দ্বিতীয় প্রজন্মের বন্দে ভারত ট্রেন, কী কী নতুন সুবিধা থাকছে এই ট্রেনে?
Vande Bharat Train : শীঘ্রই চালু হচ্ছে দ্বিতীয় প্রজন্মের বন্দে ভারত ট্রেন পরিষেবা। আগের দুটি বন্দে ভারত ট্রেনের থেকে এই ট্রেনে বেশ কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য থাকবে।
চেন্নাই : বন্দে ভারত ট্রেনের নতুন প্রোটোটাইপের উন্মোচন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিণী বৈষ্ণ। শুক্রবার চেন্নাইতে তৃতীয় বন্দে ভারত ট্রেনের উন্মোচন করেন তিনি। অনেক বাধা পেরিয়ে খুব শীঘ্রই এই ট্রেনের যাত্রা শুরু হবে। এর আগে দুটি বন্দে ভারত ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এবার রেল ট্র্যাকে আসতে চলেছে তৃতীয় বন্দে ভারত ট্রেন।
গত দুই বন্দে ভারত ট্রেনের থেকে এই ট্রেনটি কিছুটা আলাদা। এর ত্বরণ আগের দুটির থেকে বেশি। কামরার ভিতরের সাজসজ্জাতেও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। ৪৫ দিন ট্রায়াল ভিত্তিতে এই ট্রেন চালানো হবে। এই ট্রেনের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। তবে দুর্গা পুজোর আগেই এই ট্রেন চলা শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। পরবর্তীকালে সব রাজ্য়ে চালানোর জন্য আরও এরকম ট্রেন চালানো শুরু করা হবে। আগামী চার বছরে ভারতীয় রেলের তরফে আরও ৪৭৫ টি ট্রেনে চালানো শুরু হবে। বর্তমানে নয়া দিল্লি থেকে বারাণসী এবং নয়া দিল্লি থেকে কাতরা স্টেশন অবধি দুটি বন্দে ভারত ট্রেন চলাচল করছে।
Trial run of the Next-Gen Vande Bharat Express successfully conducted from ICF, Chennai to Padi and back. pic.twitter.com/8nsEV7ZrWZ
— Ministry of Railways (@RailMinIndia) August 12, 2022
নতুন বন্দে ভারত ট্রেনের বৈশিষ্ট্য :
আইসিএফ-র তথ্য অনুযায়ী, আগের বন্দে ভারত ট্রেন ১৮০ সেকেন্ডে প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ কিমি গতিবেগ তুলতে পারত। এই ট্রেনটি ১৪০ সেকেন্ডে ১৬০ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগে পৌঁছে যেতে পারে।
এই ট্রেনটিকে ত্বরণ রিজার্ভের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। কোনও ঢালে ট্রেনকে গতি বজায় রাখতে সাহায্য় করবে এই বৈশিষ্ট্য।
আগের বন্দে ভারত ট্রেনের ব্য়াটারির মেয়াদ ছিল এক ঘণ্টা। তবে এই ট্রেনের ক্ষেত্রে তা তিন ঘণ্টা করা হয়েছে।
নতুন ট্রেনের ক্ষেত্রে আসনও পরিবর্তন করা হয়েছে। সমস্ত কামরায় পুনর্ব্যবহারযোগ্য আসন রয়েছে। পুরনো বন্দে ভারত ট্রেনগুলির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এক্সিকিউটিভ শ্রেণিতে এই ধরনের আসনের সুবিধা ছিল। এছা়ড়াও সব কামরাতে হেলান দেওয়া চেয়ার ও এক্সিকিউটিভ কামরাতে ঘোরানো চেয়ার থাকবে যাত্রীদের আরাম দেওয়ার জন্য।
এই নয়া বন্দে ভারত ট্রেনে স্বয়ংক্রিয় দরজা থাকবে। যাত্রীরা চলন্ত ট্রেনে ওঠা-নামা করতে পারবেন না।
এই ট্রেনে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন যাত্রীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা টয়লেট থাকবে। বায়ো ভ্য়াকুম টয়লেট এটিকে আরও পরিবেশবান্ধব করে তোলে।
এমার্জেন্সি লাইটিংস, জিপিএস ভিত্তিক অডিয়ো-ভিস্যুয়াল প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম, বিনোদনের জন্য হটস্পট ওয়াই-ফাই এর ব্যবস্থা থাকবে।
নিরাপত্তার দিকে থেকে এই ট্রেনে সমস্ত কোচে জরুরি আলো, প্ল্যাটফর্মের পাশে ও রিয়ারভিউ ক্যামেরা থাকছে। থাকছে সংঘর্ষবিরোধী কাভাচ টেকনোলজি।