New Parliament: নয়া সংসদ ভবনকে কফিনের সঙ্গে তুলনা! উদ্বোধনের পরও মিটছে না বিতর্ক

New Parliament inauguration: উদ্বোধনের পরও নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক থামছে না। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করল কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা।

New Parliament: নয়া সংসদ ভবনকে কফিনের সঙ্গে তুলনা! উদ্বোধনের পরও মিটছে না বিতর্ক
সেঙ্গোল রাজদণ্ড হাতে নয়া সংসদে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 28, 2023 | 11:08 AM

নয়া দিল্লি: রবিবার (২৮ মে) নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কট করেছিল কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আপ-সহ মোট ২০টি বিরোধী দল। আবার বিজেপি-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল অংশও নিয়েছে। এই নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এদিন পুজা ও হোম-যজ্ঞের মাধ্যমে নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনের পরও অবশ্য বিতর্ক থামেনি। কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তথা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস যেমন নরেন্দ্র মোদীকে ‘আত্মমুগ্ধ কর্তৃত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী’ বলেছে, তেমনই এনসিপি নেত্র সুপ্রিয়া সুলের মতে নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান ছিল অসম্পূর্ণ –

    • প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আক্রমণ করে, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ ২৮ মে তারিখে কী কী ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে তার একটি তালিকা টুইট করেছেন। তিনি বলেছেন, “২৮ মে, আজকের দিনে: ১. নেহেরু, যিনি ভারতে সংসদীয় গণতন্ত্রকে লালন করার জন্য সবথেকে বেশি কাজ করেছিলেন, ১৯৬৪ সালে তাকে দাহ করা হয়েছিল। ২. সাভারকর, সেই ব্যক্তি যার আদর্শ এমন পরিবেশ তৈরি করেছিল যা মহাত্মা গান্ধীর হত্যা ডেকে এনেছিল। তাঁর জন্ম হয়েছিল ১৮৮৩ সালে। ৩. রাষ্ট্রপতি যিনি এই পদে বসা প্রথম আদিবাসী, তাঁকে তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁকে ২০২৩-এ নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করতে দেওয়া হয়নি। ৪. এক আত্মমুগ্ধ, কর্তৃত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী, যিনি খুব কমই সংসদে যান বা এর কার্যক্রমে অংশ নেন, ২০২৩ সালে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করলেন।”

    • এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে বলেছেন, “নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কট করাটা আমার কাছে বেদনাদায়ক। আমি আমাদের সংসদ এবং গণতন্ত্র নিয়ে গর্বিত। কিন্তু, গণতন্ত্র মানে তাতে বিরোধী দল থাকে। নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিরোধীরা ছিল না। কাজেই এটা একটা অসম্পূর্ণ অনুষ্ঠান। এর মানে দেশে গণতন্ত্র নেই। এর আগে বহু বিলের ক্ষেত্রে সরকার বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। এই ক্ষেত্রেও তা করতে পারত। আমরা প্রগতিশীল বিরোধী দল। বৃহত্তর স্বার্থে আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। আমরা উগ্বোধন অনুষ্ঠানে ওম বিড়লাজিকে দেখতে পাচ্ছি। তিনি লোকসভার অধ্যক্ষ, কিন্তু রাজ্যসভার অধ্যক্ষ উপরাষ্ট্রপতি নেই কেন? তাঁকে অবজ্ঞা করা রাজ্যসভার অপমান।”

  • – নয়া সংসদ ভবনকে কফিনের সঙ্গে তুলনা করল লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি। এদিন নয়া সংসদ ভবন এবং একটি কফিনের থবি পাশাপাশি টুইট করে আরজেডির সরকারি টুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়েছে, “ইয়ে ক্যা হ্যায়?”