দুই পৃথক টিকার ডোজ় নিয়ে সরকারি স্তরেও আলোচনা
মনে করা হচ্ছে দুই পৃথক টিকার (Vaccination) ডোজ় নিলে টিকাকরণের ব্যাপ্তি বাড়বে।
নয়া দিল্লি: দুই পৃথক টিকার ডোজ় নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। এর কার্যকারিতা, সুবিধা-অসুবিধা দুই-ই খতিয়ে দেখছেন গবেষকরা। এরইমধ্যে খবর, পৃথক টিকার ডোজ় নিয়ে আলোচনা করছে দ্য ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনিজেশন (NTAGI)।
মিলিয়ে মিশিয়ে টিকা নিলে নিঃসন্দেহে টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় একটা আলাদা গতি আসবে। তবে সবার আগে আদৌ এই পদ্ধতি বিজ্ঞানসম্মত কি না তা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। কারণ কেউ যদি প্রথম ডোজ়ে একটি সংস্থার টিকা নেন, পরের ডোজ় নেন অন্য সংস্থার টিকার তা হলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে শরীরে। যা ইতিমধ্যেই গবেষণায় উঠেও এসেছে।
ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, যাঁরা অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার প্রথম ডোজ় নেওয়ার ২৮ দিন পর ফাইজ়ারের টিকা নিয়েছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে। ক্লান্তি অনুভব, মাথা ধরার মত উপসর্গ তুলনামূলক বেশি হয়েছে।
তবে সূত্রের খবর, এই পৃথক টিকার ডোজ় নিলে টিকাকরণের ব্যাপ্তি বাড়বে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সঙ্গে সংযোগকারী এই অ্যাডভাইজারি বডি মনে করছে, যদি সত্যিই দুই টিকা নেওয়া যায় তা হলে কাউকে যদি বিদেশে যেতে হয়, তা হলেও টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নিতে তাঁর কোনও সমস্যা হবে না। কারণ যে কোনও টিকাই তখন তিনি নিতে পারবেন। তবে সবটাই এখনও পরীক্ষানিরীক্ষার স্তরে। সেখানে সফল হলে তারপরই বাস্তবায়ন নিয়ে ভাবনাচিন্তা।