Nupur Sharma: ‘আদালতের সমালোচনায় বেড়েছে হুমকি’, ফের শীর্ষ আদালতে নূপুর শর্মা!
Nupur Sharma: ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ বিতর্কিত মন্তব্য করে দল থেকে বরখাস্ত হওয়া বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নুপুর শর্মা। সুপ্রিম কোর্টেরই আগে করা মন্তব্যের বিরোধিতা করে আবেদন করলেন তিনি।
নয়া দিল্লি: ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ বিতর্কিত মন্তব্য করে দল থেকে বরখাস্ত হওয়া বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা। তাঁর বিরুদ্ধে করা এফআইআর-এর ভিত্তিতে, তাঁকে গ্রেফতারের আদেশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চাইলেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে আগে করা করা সুপ্রিম কোর্টেরই মন্তব্যের বিরোধিতা করেও আবেদন করেছেন নূপুর শর্মা। তিনি দাবি করেছেন, আদালত যেভাবে তাঁর কঠোর সমালোচনা করেছিল, তাতেই তাঁর বিরুদ্ধে নতুন করে মৃত্যু এবং ধর্ষণের হুমকি আসতে শুরু করেছে।
চরম বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে, গোটা ভারত জুড়ে নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে অন্তত নয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বেশ কয়েকটিতে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে। এদিন এক নতুন আবেদনে নূপুর শর্মা তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানায় স্থগিতাদেশ চেয়েছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, এর আগে আদালত যে ‘অপ্রত্যাশিত এবং কঠোর সমালোচনা’ করেছিল, তারপর থেকে তাঁকে ‘নতুন করে ধর্ষণ এবং মৃত্যুর হুমকি দিচ্ছে মৌলবাদীরা’। এই নতুন হুমকির কারণ দেখিয়েই নূপুর শর্মা তাঁর সম্ভাব্য গ্রেফতারি স্থগিত রাখার আবেদন করেছেন। এখনও অবশ্য তাঁর আবেদন শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়নি।
বরখাস্ত হওয়া বিজেপি মুখপাত্রের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে দিল্লিতেও। এর আগে, সুপ্রিম কোর্টে তিনি সেই মামলাটির সঙ্গে অন্য সমস্ত এফআইআরগুলিকে একত্রিত করার আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং বিচারপতি সূর্য কান্তের অবকাশকালীন বেঞ্চ তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। পরিবর্তে আদালত তার পর্যবেক্ষণে নূপুরকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিল। অবকাশকালীন বেঞ্চ বলেছিল, আপনার বেফাঁস মন্তব্যের জেরে গোটা দেশে আগুন জ্বলছে।’
এরপর, ওই মন্তব্যের জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচারপতিদের ভূমিকার সমালোচনা হয়। পরবর্তী সময়ে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সমালোচনার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন বিচারপতি পর্দিওয়ালা। বিচারাধীন মামলার বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্যে লাগাম টানার জন্য নয়া আইন প্রণয়ণের আহ্বান করেছিলেন।
এরপর ১১৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করে সর্বোচ্চ আদালতের ভূমিকার সমালোচনা করেছিলেন। ১৫ জন প্রাক্তন বিচারপতি, ৭৭ জন প্রাক্তন আমলা এবং সশস্ত্র বাহিনীর ২৫ জন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার বলেছিলেন, নূপুর শর্মাকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতিদের করা মন্তব্য ‘দুর্ভাগ্যজনক এবং নজিরবিহীন’। ভারতীয় ‘বিচার ব্যবস্থার নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’ শীর্ষ আদালতের ওই পর্যবেক্ষণ ‘লক্ষ্মণরেখা পার করা’র সামিল। এর ফলে সুপ্রিম কোর্টের ‘পবিত্রতা নষ্ট হয়েছে’ এবং ‘সম্মানহানি হয়েছে’। নূপূর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে বিশৃঙ্খলা চলছে, তার জন্য এককভাবে নূপুর শর্মাকে দায়ী করাটা কার্যত আদালতের নিজেদের দোষ ঢাকার প্রচেষ্টা, এমনও বলেছিলেন ওই বিশিষ্টরা।