পড়শি রাজ্যে করোনা আক্রান্তের শরীরে প্রথম হানা ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের’

ইতিমধ্যেই দিল্লিতে কমপক্ষে ৮ জন রোগী এই ছত্রাক সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। কেবল দিল্লিই নয়, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটেও দেখা দিচ্ছে এই মারণ ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।

পড়শি রাজ্যে করোনা আক্রান্তের শরীরে প্রথম হানা 'ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের'
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Updated on: May 11, 2021 | 9:44 AM

ভুবনেশ্বর: করোনা (CPVOD) আবহে ভয় বাড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ওড়িশায় ৭১ বছরের এক করোনা আক্রান্ত ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবারই আধিকারিকরা এ কথা জানিয়েছেন। তিনি এখন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর ডায়াবেটিসি ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল চিকিৎসা চলছে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে কমপক্ষে ৮ জন রোগী এই ছত্রাক সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। কেবল দিল্লিই নয়, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটেও দেখা দিচ্ছে এই মারণ ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কী?

এটি একধরনের অতি ভয়ঙ্কর ছত্রাক সংক্রমণ, যা মূলত কম রেগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে ধরা পড়ে। মূলত করোনা রোগীদের মধ্যেই এই সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। এর আগে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পালও জানান, ভেজা জায়গা থেকেই নাম এসেছে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস যার অন্য নাম মিউকোরমাইকোসিস।

কোভিড রোগীরা কেন আক্রান্ত হচ্ছেন?

করোনাকালেই যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উৎপত্তি হয়েছে, তা নয়। আগেও এই সংক্রমণ ছিল,তবে তা অতি বিরল ও সম্পূর্ণভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীন রোগীদের দেহে দেখা দিত। তবে করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর এই ফাঙ্গাসের পরিবর্তন এসেছে এবং কোভিডে, ডায়েবেটিসে স্টেরয়েডের অত্যাধিক ব্যবহারের ফলে এই সংক্রমণ করোনা রোগীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে।

রোগের লক্ষণ:

১.চোখের নীচে ব্যাথা হলে ২.মুখের এক পাশ ফুলে গেলে ৩.মাথা ব্যাথ্যা, জ্বর ৪.নাক বন্ধ হয়ে থাকা ৫.নাকে কালো দাগ ৬.সামান্য দৃষ্টিশক্তি হারানো এই সমস্ত কিছুই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের লক্ষণ। এটি একবার মস্তিষ্কে পৌঁছে গেলে কার্যত বাঁচানোর কোনও উপায় থাকে না।

দ্বিতীয় ঢেউতেই কী ব্ল্যাক ফাঙ্গাস দেখা দিয়েছে?

প্রথম ঢেউয়েও মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্য়াক ফাঙ্গাসের আক্রান্তের সংখ্যা দেখা গেলেও তা ব্যাপক মাত্রায় ছিল না। গতনবছর মূলত রোগীর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার কয়েক সপ্তাহ পর উপসর্গ দেখা দিচ্ছিল। বর্তমানে করোনার জন্য চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই এই সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার বৃদ্ধির ফলে কোভিড যোদ্ধাদের দেহে এই ছত্রাক বাসা বাঁধার হারও বেশি। বিগত দুই-তিন সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

চিকিৎসা:

মিউকোরমাইকেসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ অত্যন্ত সীমিত ও দামী হওয়ায় চিকিৎসা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত এক ধরনের ইঞ্জেকশন টানা ২১দিন ধরে দিতে হচ্ছে রোগীদের। এক একটি ইঞ্জেকশনের দাম প্রায় নয় হাজার টাকা। এছাড়াও ছত্রাক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য ওষুধও ব্যবহার করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কোন রক্তের গ্রুপে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম, কোন ক্ষেত্রেই বা বেশি? গবেষণায় এল তথ্য