সংস্পর্শে আসা স্বাস্থ্যকর্মীদের আইসোলেশনে ‘না’, পরিস্থিতি সামাল দিতে নয়া সিদ্ধান্ত এইমসের
করোনার (Covid 19) গ্রাফ ক্রমশ মুখোমুখি। সংক্রমনের সংখ্যা আমেরিকাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত। সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সব হাসপাতাল।
নয়া দিল্লি: প্রত্যেকদিন লক্ষাধিক মানুষ করোনা আয় আক্রান্ত হচ্ছেন ভারতে। যেভাবে বেড এবং অক্সিজেনের অভাব সামনে আসছে, তা রীতিমতো উদ্বেগের। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার সিদ্ধান্ত বদল আনল দিল্লির এইমস হাসপাতাল (AIIMS)। এবার থেকে স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে কন্টাক্ট ট্রেসিং (Contact tracing) বন্ধ করে দিল এই হাসপাতাল।
সম্প্রতি এক নোটিফিকেশন দিয়ে জানানো হয়েছে, কেবলমাত্র উপসর্গ থাকলে তবেই সেই স্বাস্থ্যকর্মীর কোভিড পরীক্ষা করা হবে। আর রিপোর্ট পজিটিভ এলে তবেই তাঁকে আইসোলেশনে পাঠানো হবে। অর্থাৎ শুধুমাত্র সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে তাকে আইসোলেশনে পাঠানো হবে না, অথবা করোনা পরীক্ষাও করা হবে না। পরিষেবা দেওয়ার মতো যথেষ্ট কর্মী না থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে র তরফে।
এইমস হাসপাতাল এর তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা উপসর্গবিহীন স্বাস্থ্যকর্মীদের আইসোলেশনে রাখার প্রক্রিয়া বন্ধ করা হলো। শুধুমাত্র উপসর্গের উপর ভিত্তি করেই আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কোভিড হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন, ১২ জনের মৃত্যু
আরও জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মী যদি করোনা পজিটিভ হন, তাহলে পরীক্ষা হওয়ার ১০ দিন পর থেকে কাজে যোগ দিতে পারবেন তিনি। কাজে যোগ দেওয়ার ২৪ ঘন্টা আগে পর্যন্ত যদি কোন ও উপসর্গ না থাকে তবে যোগ দিতে পারবেন তিনি। আর যদি আক্রান্ত উপসর্গবিহীন হন তাহলে ১০ দিনের পরেই কাজে যোগ দেবেন। কিছুদিন আগে এইমস হাসপাতাল এর একটি টাস্ক ফোর্সের তরফ থেকে আবেদন করা হয়, জাতীয় অন্যান্য বিভাগ থেকে ৮০ শতাংশ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা পরিষেবায় যোগ দেন।