২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২৫ রোগীর, সাহায্যের আর্জির পরই ভিন্ন মত দিল্লির হাসপাতালের ২ কর্তার

সকাল আটটা নাগাদ কেন্দ্রের কাছে অক্সিজেন চেয়ে একটি জরুরি বিবৃতি প্রকাশ করে হাসপাতাল। জানানো হয়, মাত্র দুই ঘণ্টার অক্সিজেন পড়ে রয়েছে, এদিকে ৬০ জনেরও বেশি রোগীর অক্সিজেনের দরকার।

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২৫ রোগীর, সাহায্যের আর্জির পরই ভিন্ন মত দিল্লির হাসপাতালের ২ কর্তার
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Apr 23, 2021 | 1:23 PM

নয়া দিল্লি: চারিদিকে কেবল অক্সিজেনের হাহাকার। গত ২৪ ঘণ্টাতেই দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জন করোনা রোগীর। শুক্রবার সকালে হাসপাতাল কর্তৃৃপক্ষের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয় যে মাত্র দুই ঘণ্টার অক্সিজেন পড়ে রয়েছে, এদিকে ৬০ জনেরও বেশি রোগীর অক্সিজেনের দরকার। দ্রুত অক্সিজেন না পৌঁছলে তাঁদের প্রাণসঙ্কট দেখা দেবে।

এ দিন, সকাল আটটা নাগাদ কেন্দ্রের কাছে অক্সিজেন চেয়ে একটি জরুরি বিবৃতি প্রকাশ করে হাসপাতাল। তাতে বলা হয়,”গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আর মাত্র দুই ঘণ্টার অক্সিজেন রয়েছে। ভেন্টিলেটর ও বাইপ্যাপও সঠিকভাবে কাজ করছে না। আইসিইউ ও এমার্জেন্সি বিভাগে ম্যানুয়াল ভেন্টিলেশন চালানো হচ্ছে। যেকোনও সময়ে বড় বিপদ ঘটতে পারে। ৬০ জনেরও বেশি রোগীর প্রাণ সঙ্কটে রয়েছে। দ্রুত হস্তক্ষেপের প্রয়োজন।” হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে দ্রুত আকাশপথে অক্সিজেন সরবরাহ করা হোক।

হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর সত্যেন্দ্র কাটোচ বলেন, “অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকায় আশঙ্কাজনক রোগীদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। কারণ যে সমস্ত রোগীদের অবস্থা সঙ্কটজনক, তাদের হাই ফ্লোতে সুষ্ঠ অক্সিজেন পরিষেবার দরকার।” যদিও হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডিএস রাণার মুখে শোনা যায় সম্পূূর্ণ ভিন্ন সুর। তিনি জানান, ২৪ ঘণ্টায় এই প্রথম একসঙ্গে এতজন রোগীর মৃত্যু হল।

তবে এরসঙ্গে অক্সিজেনের ঘাটতির কোনও সম্পর্ক নেই। অক্সিজেন ঘাটতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছে। তবে এরসঙ্গে আমি রোগী মৃত্যুর সংযেগ স্থাপন করব না। হাসপাতালে বহু সংখ্যক রোগীই সঙ্কটজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন। আপাতত আমরা ম্যানুয়াল ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে রোগীদের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সাহায্য করছি। শুনছি যে দিল্লি সীমান্তে ইতিমধ্যেই অক্সিজেন ট্রাক পৌছে গিয়েছে। আশা করছি কিছুক্ষণের মধ্যেই তা হাসপাতালে এসে পৌঁছবে।”

সকাল ১০টা নাগাদ একটি অক্সিজেন ট্যাঙ্কার এসে পৌছয় ওই হাসপাতালে। অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার পর ঘাটতি অনেকাংশেই মিটে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে গঙ্গারাম হাসপাতালে ৫০০-রও বেশি করোনা রোগীর চিকিৎসা চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা অক্সিজেনের অভাবেও মারা যেতে পারেন বলে সন্দেহ।  তবে একা গঙ্গারাম হাসপাতাল নয়। দিল্লির একাধিক হাসপাতালেই চিত্রটা একই। গতকালই একটি বেসরকারি হাসপাতাল দিল্লি হাইকোর্টের দারস্থ হয় অক্সিজেন ঘাটতি নিয়ে হস্তক্ষেপের দাবিতে। এদিকে কেন্দ্রের তরফে  জবাবে বলা হয়, “দিল্লি সরকার অখুশি প্রেমিকার মতো ব্যবহার করছে।”

আরও পড়ুন: ‘সরি, জানতাম না ওটা করোনার ওষুধ’, চুরির পরেরদিনই ভ্যাকসিন সমেত ব্যাগ ফেরত দিল চোর!