Opposition Unity: রাহুল-মমতা-কেজরীবাল এক নৌকোয়? পওয়ার বৈঠকে গতি বাড়ল বিরোধী ঐক্যের

Sharad Pawar meets Rahul-Kharge: যত দিন যাচ্ছে ততই গতি পাচ্ছে বিরোধী ঐক্য গঠনের কাজ। কংগ্রেস, তৃণমূল, আপকে এক ছাতার তলায় আনতে চান শরদ পওয়ার।

Opposition Unity: রাহুল-মমতা-কেজরীবাল এক নৌকোয়? পওয়ার বৈঠকে গতি বাড়ল বিরোধী ঐক্যের
রাহুল, খাড়্গের সঙ্গে বৈঠকে শরদ পওয়ার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 13, 2023 | 11:18 PM

নয়া দিল্লি: যত দিন যাচ্ছে ততই এগোচ্ছে বিরোধী ঐক্য গঠনের কাজ। একদিন আগেই একই উদ্দেশ্যে নয়া দিল্লিতে পা রেখেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায়, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করলেন মহারাষ্ট্রের বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ তথা এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। খাড়্গের নয়া দিল্লির বাসভবনেই হয় এই বৈঠক। সূত্রের খবর, বৈঠকে সকল বিরোধীদের এক মঞ্চে নিয়ে আসার কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক শেষে শরদ পওয়ার বলেন, “আমি চাই সব বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হোক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেজরীবাল…আমাদের তাদের সঙ্গেও কথা বলা উচিত। বিরোধীদের একত্রিত করে আমরা সবাইকে এক সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাব।” এক কদম এগিয়ে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছেন, “আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ।”

বিরোধী দলগুলিকে এককাট্টা করার বিষয়ে আশাবাদী কংগ্রেস সভাপতিও। খাড়্গে বলেছেন, “শরদ পওয়ার মুম্বই থেকে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসায় এবং আমাদের পথ দেখানোয় আমি আনন্দিত। গতকাল, আমার এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে নীতীশ কুমার এবং তেজস্বী যাদবের কথোপকথন হয়েছে। আমরা দেশের সকল বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করব। দেশে আজ যা ঘটছে… দেশকে বাঁচাতে, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে, সংবিধান ও বাকস্বাধীনতা রক্ষা করতে, সরকারি সংস্থার অপব্যবহার রুখতে, তরুণদের কর্মসংস্থান এবং মুদ্রাস্ফীতির মতো বিষয়ে আমরা এক হয়ে লড়াই করতে প্রস্তুত।”

প্রসঙ্গত, বুধবারই পরের বছরের লোকসভা নির্বাচনে, বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের বিষয়ে, মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে নীতীশ কুমার এবং তেজস্বী যাদবের আলোচনা হয়। যে আলোচনাকে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’। তবে শুধু এই দুই বৈঠকই নয়, চলতি সপ্তাহে বিরোধী ঐক্য তৈরির কাজ বেশ গতি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এবং বিশিষ্ট সিপিআই নেতা ডি রাজার সঙ্গেও দেখা করেছেন নীতীশ কুমার। বৈঠকের পর, সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, “বিরোধী ঐক্যের প্রচেষ্টা গতি পেয়েছে। একটি বিরোধী জোট গঠন করা হবে, এবং রাজ্য স্তরে আসন সমন্বয় করা হবে। তবে ভারতে, ভোটের পরে ফ্রন্ট গঠিত হয়। যেমন ১৯৯৬ সালে ইউনাইটেড ফ্রন্ট, ১৯৯৮ সালে এনডিএ, ২০০৪ সালে ইউপিএ জোট গঠিত হয়েছিল নির্বাচনের পরেই।”

সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে দেখা করা ছাড়াও রাজধানীতে আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গেও বৈঠক করেন নীতীশ কুমার এবং তেজস্বী যাদব। এই নিয়ে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি বিজেপি। দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন দিয়ে যাঁর উত্থান, তিনি কেন এখন দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত নীতীশ ও তেদস্বীর সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন, সেই প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। তবে, তলে তলে যে বিরোধী জোট তৈরির প্রচেষ্টা বেশ গতি পেয়েছে, তা গত কয়েকদিনের অগ্রগতিতে তা স্পষ্ট। রাজধানীতে কংগ্রেস ও বম দলগুলি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন নীতীশ-তেজস্বী। শোনা যাচ্ছে, খুব শিগগিরই সকল বিরোধী দলের শীর্ষস্থানিয় নেতাদের এক বৈঠকে আহ্বান জানাবে কংগ্রেসও। সেই বৈঠক কতদূর সফল হয়, এখন সেটাই দেখার।