Winter Session: ১৯ দিনে ১৫ সভা, ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু সংসদের শীতকালীন অধিবেশন
Winter Session: প্রহ্লাদ জোশী বলেছেন, আসন্ন অধিবেশনে সংসদের নিয়মিত আলোচ্ছ বিষয় এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সদর্থক আলোচনা হবে বলে আশা করছেন তিনি। ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি দণ্ডবিধি এবং এভিডেন্স অ্যাক্টের বদলে তিন নতুন বিধি লাগু করতে চায় সরকার। আসন্ন অদিবেশনে এই তিনটি বিল তোলা হতে পারে।
নয়া দিল্লি: ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত, ১৫ দিন ধরে চলবে এই অধিবেশন। বৃহস্পতিবার জানালেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। প্রসঙ্গত, ৩ ডিসেম্বরই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে। ঠিক তার পরদিনই সংসদের অধিবেশন শুরু হবে। প্রহ্লাদ জোশী বলেছেন, আসন্ন অধিবেশনে সংসদেরল নিয়মিত আলোচ্ছ বিষয় এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সদর্থক আলোচনা হবে বলে আশা করছেন তিনি। এদিন সোশ্য়াল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি লিখেছেন, “২০২৩-এর ৪ ডিসেম্বর থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হবে এবং ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। ১৯ দিনে মোট ১৫ বার বসবে সভা। অমৃত কালে অধিবেশন চলাকালীন আইনসভার কার্যক্রম এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছি।”
শীতকালীন অধিবেশনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হওয়ার কথা। ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি দণ্ডবিধি এবং এভিডেন্স অ্যাক্টের বদলে তিন নতুন বিধি লাগু করতে চায় সরকার। আসন্ন অধিবেশনে এই তিনটি বিল তোলা হতে পারে। স্বরাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী কমিটি সম্প্রতি এই বিষয়ে তিনটি প্রতিবেদন গ্রহণ করেছে।
Winter Session, 2023 of Parliament will commence from 4th December and continue till 22nd December having 15 sittings spread over 19 days. Amid Amrit Kaal looking forward to discussions on Legislative Business and other items during the session.#WinterSession2023 pic.twitter.com/KiboOyFxk0
— Pralhad Joshi (@JoshiPralhad) November 9, 2023
এছাড়া, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বিলও সংসদে পেশ করা হতে পারে। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের কমিটিতে এখনও পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির থাকা বাধ্যতামূলক। তবে, এই বিলে তাঁকে বাদ দিয়েই কমিশনার নিয়োগের কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। বাদল অধিবেশনে বিলটি তোলা হয়েছিল। বিরোধী দলগুলি এবং প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনাররা এর তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন। তাই বিলটি পাস করানোর বিষয়ে চাপ দেয়নি সরকার। সংসদের বিশেষ অধিবেশনেও বিলটি পাস হয়নি।
সেপ্টেম্বর মাসেই লোকসভার বিশেষ অধিবেশন হয়েছিল। সেই অধিবেশনে মোট পাঁচটি বিল তোলা হয়েছিল। তবে, শুধুমাত্র নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম বা মহিলা সংরক্ষণ বিলটিই পাস হয়েছিল। বিশেষ অধিবেশনের আগে জল্পনা ছড়িয়েছিল, দেশের নাম থেকে ইন্ডিয়া বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ভারত করা হবে। এই সংক্রান্ত একটি বিল আনতে পারে সরকার। আরও জল্পনা ছিল, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিষয়েও একটি বিল পাস করা হতে পারে। তবে, এই জল্পনাগুলির কোনওটিই সত্যি হয়নি।