Supreme Court: বয়স কত হলে যৌন মিলনে সম্মতি দেওয়া যায়? এর থেকে কম হলে…

Supreme Court: ভারতে, বয়স কত হলে যৌন মিলনের জন্য সম্মতি দেওয়া যায়? জানেন? শুধু আপনি কেন, অধিকাংশ ভারতবাসীই তা জানেন না বলে দাবি সুপ্রিম কোর্টের। পকসো মামলাগুলির বিচারের ক্ষেত্রে এই সম্মতি দেওয়া না দেওয়া বেশ সমস্যা তৈরি করে।

Supreme Court: বয়স কত হলে যৌন মিলনে সম্মতি দেওয়া যায়? এর থেকে কম হলে...
প্রতীকী ছবি (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি)Image Credit source: Meta AI
Follow Us:
| Updated on: Jul 09, 2024 | 6:06 PM

নয়া দিল্লি: ভারতে, বয়স কত হলে যৌন মিলনের জন্য সম্মতি দেওয়া যায়? জানেন? শুধু আপনি কেন, অধিকাংশ ভারতবাসীই তা জানেন না বলে দাবি সুপ্রিম কোর্টের। যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইন বা পসকো আইনের অধীনে এক মামলায় অভিযুক্তকে খালাস দিয়েছিল আদালত। সেই রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিল মধ্য প্রদেশ সরকার। মঙ্গলবার (৯ জুন), সেই আবেদন খারিজ করার সময় এই পর্যবেক্ষণ করে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমারের এক বেঞ্চ।

আগে, যৌন মিলনের জন্য সম্মতি দেওয়ার বয়স ছিল ১৬ বছর। অর্থাৎ, ১৬ বছর বয়স হলেই কোনও ছেলে বা মেয়ে যৌন মিলনের সম্মতি দিতে পারত। তবে, ২০১২ সালে , পকসো আইন প্রয়োগ করা হয় এবং ভারতীয় দণ্ডবিধিতে কিছু সংশোধনী আনা হয়। এই সময়ই সম্মতি দেওয়ার বয়স ১৬ থেকে বাড়িয়ে ১৮ করা হয়েছিল। তবে, তা অধিকাংশ মানুষই জানে না বলে আক্ষেপ করেছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন, “যৌন মিলনের জন্য সম্মতি দেওয়ার বয়স ১৬ থেকে বাড়িয়ে যে ১৮ করা হয়েছে, সেই বিষয়ে এখনও অধিকাংশই সচেতন নন। অন্যথায় পরিবারবর্গ হস্তক্ষেপ করতে পারে।”

পকসো মামলাগুলির বিচারের ক্ষেত্রে এই সম্মতি দেওয়া না দেওয়া বেশ সমস্যা তৈরি করে। অনেক ক্ষেত্রেই অল্পবয়সী মেয়েদের সঙ্গে সম্মতিমূলক রোমান্টিক এবং যৌন সম্পর্কের জন্য, ওই মেয়েটির পরিবারের রোষের মুখে পড়ে তার পুরুষ সঙ্গী। এই ধরনের মামলার ক্ষেত্রে অনেক সময়ই, বিচার শুরু হওয়ার সময় দেখা যায় তারা হয়তো বিয়ে করেছে, এমনকি তাদের বাচ্চাও হয়ে গিয়েছে। এই ক্ষেত্রে পুরুষ সঙ্গীকে শাস্তি দিলে, ওই মেয়েটি এবং তার সন্তান চরম সমস্যায় পড়বে। তাই, অনেক ক্ষেত্রে সম্মতির জন্য নির্ধারিত বয়সের কম বয়সী মেয়ের সঙ্গে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হলেও, তার পুরুষ সঙ্গীকে শাস্তি দিতে পারেন না বিচারকরা। ২০২২-এর ডিসেম্বরে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও এই সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিলেন। এই সমস্যাটি নিয়ে আইনসভার আলোচনা করা দরকার বলে জানয়েছিলেন তিনি।