Kiren Rijiju: কলেজিয়াম পদ্ধতিতে খুশি নয় জনগণ, বিচারক নিয়োগ করা সরকারের কাজ: কিরেন রিজিজু

Kiren Rijiju: বিচারপতির নিয়োগে কলেজিয়াম পদ্ধতির যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

Kiren Rijiju: কলেজিয়াম পদ্ধতিতে খুশি নয় জনগণ, বিচারক নিয়োগ করা সরকারের কাজ: কিরেন রিজিজু
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 18, 2022 | 9:23 PM

নয়া দিল্লি: কলেজিয়াম পদ্ধতিতে দেশের জনগণ খুশি নয়। ভারতের সংবিধানের চেতনা অনুসারে বিচারক নিয়োগ করা সরকারের কাজ হওয়া উচিত। সম্প্রতি এমনটাই বলেছেন কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি আরও বলেন, নেতাদের মধ্যে যে রাজনীতি হয়, তা জনগণ দেখতে পায়। কিন্তু বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের অভ্যন্তরে যে রাজনীতি চলে তা তারা জানতে পারে না। কারণ, সেই আলোচনা হয় কলেজিয়ামের বৈঠকে। এই ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নেই বলে দাবি করেছেন তিনি।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) ‘সবরমতি সম্বাদ’ নামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল আরএসএস-এর সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘পাঞ্চজন্য’। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেছেন যে তিনি লক্ষ্য করেছেন বিতারপতিরা অর্ধেক সময়ই বিচারক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে ব্যস্ত থাকেন। এই কারণে, তাদের প্রাথমিক কাজ, অর্থাৎ ন্যায়বিচার প্রদানের কাজও প্রভাবিত হয় বলে দাবি করেছেন তিনি। তাই উচ্চতর বিচার বিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে কলেজিয়াম পদ্ধতির পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, বিচারপতিরাই যদি বিচারক নিয়োগ করেন, তাহলে তাঁরা সমালোচনার ঊর্ধ্বে থাকার দাবি করতে পারেন না। বিচারক নির্বাচন করার সময়, পরিচিত লোকদের সুপারিশ করাই স্বাভাবিক। বিচারপতিরা সুপারিশের সময় সেই পূর্ব পরিচয় গোপনও করেন না। রিজিজুর মতে, ১৯৯৩ সালের আগে, বিচার বিভাগীয় নিয়োগের জন্য বিচারপতিদের সমালোচনা করা হয়নি। কারণ, তাঁরা এই প্রক্রিয়ার অংশ ছিলেন না। সেই সময় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে আইন মন্ত্রকই ভারতের প্রত্যেক বিচারক নিয়োগ করত। তারপর সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম পদ্ধতি চালু করেছিল। ভারতের প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন সিনিয়র বিচারপতির সুপারিশ অনুযায়ী নিয়োগ করা হয় বিচারক। সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে বিচারপতিদের সহমত হওয়ার কথা বলেছিল। বর্তমানে, সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের নেতৃত্ব দেন ভারতের প্রধান বিচারপতি। এছাড়া, কলেজিয়ামের সদস্য আরও চারজন সিনিয়র বিচারক।