Umar Khalid: ‘ষড়যন্ত্রে বারবার তাঁর নাম’, উমর খালিদের জামিন খারিজ করল হাইকোর্ট
Umar Khalid’s bail plea: মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দিল্লি দাঙ্গায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের মামলায় ছাত্র নেতা উমর খালিদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। ৫২ পৃষ্ঠার রায়ে কী বলল আদালত?
নয়া দিল্লি: মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দিল্লি দাঙ্গায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের মামলায় ছাত্র নেতা উমর খালিদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (২০১৯) বিরোধী বিক্ষোভ এবং ২০২০ সালের উত্তর-পূর্ব দিল্লি দাঙ্গা, বিভিন্ন “ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠকে” পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ওই বৈঠকগুলি হয়েছিল। কোনও কোনও বৈঠকে খালিদ নিজেও উপস্থিত ছিলেন।
বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল এবং রজনীশ ভাটনগরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ষড়যন্ত্রের শুরু থেকে দাঙ্গা পর্যন্ত বারবার উমর খালিদের নাম উঠে এসেছে। আদালত আরও জানিয়েছে, ডিপিএসজি এবং জেএনইউ-এর মুসলিম ছাত্রদের বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য ছিলেন খালিদ। তিনি বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠকেও অংশ নিয়েছিলেন। একাধিক সাক্ষী এই ষড়যন্ত্রে জামিনের আবেদনকারী (উমর খালিদ) এবং অন্যান্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ভূমিকার কথা জানিয়েছেন। সাক্ষীরা জানিয়েছেন, উমর খালিদ এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের মধ্যে হিংসা, দাঙ্গা, অর্থ এবং অস্ত্র নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হত। কল রেকর্ড অনুযায়ী, দাঙ্গার পরে উমর খালিদ এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের মধ্যে প্রচুর ফোনকলও হয়েছিল।
আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ অনুসারে, পরিকল্পিত বিক্ষোভগুলিকে রাজনৈতিক সংস্কৃতি বা গণতন্ত্রে “সাধারণ প্রতিবাদ বলা যাবে না।” স্বাভাবিক প্রতিবাদ দিয়ে শুরু করে এই বিক্ষোভ আরও ধ্বংসাত্মক এবং ক্ষতিকর হয়ে উঠেছিল। যা, ঘটনা প্রবাহকে অত্যন্ত গুরুতর পরিণতির দিকে নিয়ে গিয়েছিল। পরিকল্পনা মতো প্রথমে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ইচ্ছাকৃতভাবে রাস্তা অবরোধ করা হয়েছিল। ফলে, সেখানকার বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবন এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি ব্যাহত হয়েছিল। যা আতঙ্ক এবং নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ তৈরি করেছিল। প্রথমে বিক্ষোভের সামনে থাকা মহিলা বিক্ষোভকারীরা পুলিশকর্মীদের উপর আক্রমণ করেছিলেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে হামলা হয় অন্যান্য সাধারণ মানুষের উপর এবং গোটা এলাকা দাঙ্গায় জড়িয়ে পড়েছিল।
এটা সন্ত্রাসবাদী কাজ। কারণ সংজ্ঞা অনুযায়ী সন্ত্রাস হল এমন একটি কাজ, যা সমাজের সামগ্রিক গতি রুখে দেয়, সমাজের একটি অংশের মনে ভয়ের অনুভূতি সৃষ্টি করে। আগ্নেয়াস্ত্র, অ্যাসিডের বোতল, পাথর – যেসব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল এবং যে পদ্ধতিতে আক্রমণ করা হয়েছিল এবং তার ফলে যে পরিমাণ মৃত্যু ও ধ্বংস ঘটেছে, সবই পূর্ব পরিকল্পনারই ইঙ্গিতবাহী।