Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

PM Modi on RSS: এক যুগ পর নাগপুরে পা নমোর, কী কী বললেন RSS নিয়ে?

PM Modi on RSS: এক যুগ পর যখন তিনি কার্যালয়ে এলেন। তখন তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভগবতকেও। সঙ্ঘে প্রবেশের পরেই তিনি গেলেন 'শ্রুতি মন্দির'।

PM Modi on RSS: এক যুগ পর নাগপুরে পা নমোর, কী কী বললেন RSS নিয়ে?
নরেন্দ্র মোদী ও মোহন ভগবতImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Mar 30, 2025 | 4:44 PM

নাগপুর: শতবর্ষের বছরে পা দিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। রবিবার প্রধানমন্ত্রী যখন নাগপুরে সঙ্ঘের প্রধান কার্যালয়ে গেলেন। সেখান থেকে তিনি বললেন, ‘শত বছর আগে বোপন করা বীজ এখন বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে।’ তবে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিতে এই বটবৃক্ষ কিন্তু একেবারেই সাধারণ নয়। তাঁর কথায়, ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ আধুনিক ভারতের অক্ষয় বটবৃক্ষ।’

উল্লেখ্য, এদিন সকাল সকাল নাগপুরে RSS-এর সদর দফতরে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শেষবার এই দফতরে তিনি পা রেখেছিলেন ১২ বছর আগে। তখনও রাজনীতিক নরেন্দ্র মোদী, প্রধানমন্ত্রী হননি। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন তিনি। সেই থেকেই আর RSS সদর দফতর-মুখো হতে দেখা যায়নি তাঁকে।

এক যুগ পর যখন তিনি কার্যালয়ে এলেন। তখন তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভগবতকেও। প্রবেশের পরেই তিনি গেলেন ‘শ্রুতি মন্দির’। সেখানে গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার ও এম এস গোলওয়ালকরকে। তারপর গেলেন নাগপুরের দীক্ষাভূমি মন্দিরে। সেখানে তিনি গিয়ে সংবিধানের প্রণেতা বাবা সাহেব অম্বেদকরের মূর্তিতেও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।

প্রসঙ্গত, এদিন মোদীর ভাষণপর্বে উঠে আসে সঙ্ঘের ‘গৌরবগাঁথা’। সঙ্ঘ পরিবারের শতবর্ষের যাত্রাকে ‘গৌরবময়’ বলে আখ্যান দেন তিনি। বলেন, ‘আমাদের দেশের রাষ্ট্রীয় চেতনা ও সংস্কৃতিকে একটা নিরন্তর প্রক্রিয়ার মাধ্য়মে আলোর মতো উজ্জ্বল করে চলেছে সঙ্ঘ।’ তাঁর আরও দাবি, ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ এমন একটা সংগঠন, যা সমাজের অন্তর্দৃষ্টি ও বাহ্যিক দৃষ্টির জন্য কাজ করছে।’ মোদীর কথায়, সঙ্ঘের অন্তর্দৃষ্টি হল মানব দৃষ্টি। যা মাধব নেত্রালয়ের মাধ্যমে বিনামূল্য চিকিৎসার সুযোগ করে দিয়েছে তারা। আর বাহ্যিক দৃষ্টি হল, এই সমাজ। যার সেবায় নিয়োজিত লক্ষ লক্ষ স্বয়ংসেবক।

তিনি বলেন, ‘সঙ্ঘের আদর্শ একটাই, তা হল মানুষের সেবা। সে পাহাড় হোক বা জঙ্গল, কোনও সীমাই স্বয়ংসেবকদের মানুষের সেবা থেকে বিরত রাখতে পারবে না।’ এদিন সঙ্ঘ পরিবারের মাধব নেত্রালয় ভবনের শিলান্যাসের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লালকেল্লা থেকে আমি দেশের মানুষের জন্য স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যে বিকাশের কথা বলেছিলাম, সঙ্ঘের মাধব নেত্রালয় ঠিক সেই ভাবেই কাজ করছে। এছাড়াও মহাকুম্ভেও তারা যেভাবে মানুষকে নেত্রকুম্ভের ক্য়াম্পে এনে বিনামূল্য চিকিৎসা দিয়েছে, তাও প্রশংসাযোগ্য।’