চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের সব থেকে কাছে এ বার ত্রিপুরা, ‘মৈত্রী সেতু’ উদ্বোধন করলেন মোদী-হাসিনা

উত্তর-পূর্বের রাজ্য়গুলিতে জিনিস আমদানি বা রফতানির (Export-Import) জন্য কলকাতা বন্দরের উপর নির্ভর করতে হবে না। সেতু উদ্বোধন করে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের সব থেকে কাছে এ বার ত্রিপুরা, 'মৈত্রী সেতু' উদ্বোধন করলেন মোদী-হাসিনা
ফেনি নদীর উপর দিয়ে তৈরি সেই সেতু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 09, 2021 | 2:35 PM

আগরতলা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) হাত ধরে উদ্বোধন হল ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সংযোগকারী ‘মৈত্রী সেতু’। উদ্বোধনে সামিল হন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। আর এই সেতুর মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর থেকে জিনিস পত্র আদান-প্রদানের ক্ষেত্রেও বিশেষ সুবিধা হবে বলে জানিয়েছেন মোদী ও হাসিনা।

ত্রিপুরার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ফেনী নদী। আর তার ওপর তৈরি এই সেতু দিয়েই সংযোগ স্থাপন হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে। ভার্চুয়ালি সেই সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে ত্রিপুরার আরও একাধিক প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন তিনি। গত তিন বছরে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ত্রিপুরার কোন কোন ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে সেই খতিয়ানও দেন তিনি। রেলপথ, সড়কপথ কিংবা আকাশপথে ত্রিপুরাকে সংযুক্ত করা জন্য কিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেই ব্যাখ্যাও দেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজুবর রহমানের জন্ম শতবর্ষেই এরকম একটি সেতু উদ্বেধন করতে পেরে তিনি খুশি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম ও মাংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করার অনুমতি ইতিমধ্যেই ভারতকে দিয়েছে বাংলাদেশ। নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, সেই সেতুর মাধ্যমে ওই বন্দরের সবথেকে কাছের রাজ্য হয়ে উঠবে ত্রিপুরা। ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য়গুলিতে জিনিস আমদানি বা রফতানির জন্য কলকাতা বন্দরের ওপর নির্ভর করতে হবে না। অনেক কাছে থাকা চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন হাসিনা।

ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েস অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল)-এর তত্ত্বাবধানে ৮২.৫৭ কোটি টাকা খরচে রামগড়ের মহামুনিতে ২৮৬ একর জমির ওপর ‘মৈত্রী সেতু’ নির্মিত হয়েছে।

গত ১৩ জানুয়ারি এই সেতুর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়। এই সেতুর মোট পিলারের সংখ্যা ১২। এর মধ্যে বাংলাদেশে পড়বে ৮টি ও ভারতের অংশে ৪টি। সেতু থেকে ২৪০ মিটার এপ্রোচ রোড নির্মাণ করে রামগড়-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের সঙ্গে এবং ভারতের দিকে সেতু থেকে প্রায় ১২০০ মিটার রাস্তা নবীনপাড়া-ঠাকুরপল্লী হয়ে সাব্রুম-আগরতলা জাতীয় সড়কে যুক্ত হয়েছে।

২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে রামগড়- সাব্রুম স্থলবন্দর চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।