PM Narendra Modi: সুবিধা মতো কাজের সময়, ওয়ার্ক ফ্রম হোমই ভবিষ্যৎ, কর্মক্ষমতা বাড়াতে টোটকা নমোর
PM Narendra Modi on Labor Law: প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, কেন্দ্রের ই-শ্রম পোর্টাল কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা দিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। মাত্র এক বছরেই দেশের ৪০০টি প্রান্ত থেকে ২৮ কোটি শ্রমিক এই পোর্টালে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছে।
নয়া দিল্লি: শ্রমশক্তি না থাকলে অসম্ভব দেশের উন্নয়ন, এ কথা ভালভাবেই বোঝেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই কারণেই দেশের শ্রমশক্তির সুবিধার জন্য কর্মক্ষেত্রে একাধিক পরিবর্তন আনার পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, উন্নত ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজন নমনীয় কর্মক্ষেত্র ও সময়সীমা এবং ওয়ার্ক-ফ্রম হোমের পরিবেশ। ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে জোর করে কর্মীদের কাজ করালে উন্নতির বদলে কর্মদক্ষতাতেই বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার শ্রম মন্ত্রকের তরফে আয়োজিত জাতীয় কনফারেন্সে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই সমস্ত রাজ্যের শ্রমমন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ভারতের স্বপ্ন পূরণে এবং অমৃতকালে দাঁড়িয়ে ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করার পিছনে দেশের শ্রমশক্তির বিরাট অবদান রয়েছে। দেশের সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রে বর্তমানে কোটি কোটি কর্মী রয়েছেন, যাদের অবদান অনস্বীকার্য।”
দেশের শ্রমিক শ্রেণিকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের তরফে প্রধানমন্ত্রী শ্রম-যোগী মনধন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনার মতো একাধিক প্রকল্প রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই যোজনাগুলির মাধ্যমে দেশের শ্রমশক্তির কঠোর পররিশ্রম ও অবদানকেই স্বীকৃতি জানানো হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। একাধিক রিপোর্ট তুলে ধরে তিনি বলেন, “একটি সমীক্ষা গবেষণায় দেখা গিয়েছে এমার্জেন্সি ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম করোনাকালে দেড় কোটি কাজকে সুরক্ষিত করেছে। বর্তমান সময়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে প্রয়োজনের সময়ে দেশ কীভাবে তার শ্রমশক্তিকে সাহায্য করছে। একইভাবে করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে শ্রমিক-কর্মীরা নিজের পূর্ণ কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েছেন। বর্তমানে ভারতের অর্থনীতি যে ফের একবার যে দ্রুতগতিতে এগোতে শুরু করেছে, তার কৃতিত্ব দেশের শ্রমশক্তিরই।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, কেন্দ্রের ই-শ্রম পোর্টাল কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা দিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। মাত্র এক বছরেই দেশের ৪০০টি প্রান্ত থেকে ২৮ কোটি শ্রমিক এই পোর্টালে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছে। এই পোর্টালের মাধ্যমে বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিক, নির্মাণকর্মী, ঠিকা কর্মী ও বাড়িতে কর্মরত মহিলারা উপকৃত হয়েছেন। প্রত্যেক রাজ্যের শ্রম পোর্টালের সঙ্গে যাতে কেন্দ্রের ই-শ্রম পোর্টালের সংযুক্তিকরণ হয়ে যায়, তার পক্ষেও সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী।
শ্রম আইন নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, শ্রম আইনকে আরও সহজ সরল করে এবং শ্রমিক-কর্মীদের আয় বাড়িয়ে, কাজের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষার মতো সুবিধাগুলিকে নিশ্চিত করাই লক্ষ্য। মহিলা কর্মীদের সুবিধার উপরও বিশেষ জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। মহিলাদের সুবিধা মতো কাজের সময় ও কর্মস্থল বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া এবং ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা দেওয়া হলে, দেশের শ্রম ক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনই বহু মহিলার কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে।