PM Narendra Modi: ‘আমি সমালোচকদের সম্মান করি, কিন্তু…’, টিকাকরণ নিয়ে বিরোধীদের মোক্ষম ‘খোঁচা’ প্রধানমন্ত্রীর

PM Narendra Modi on Vaccination: প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ভাবুন তো যদি ভারতে নিজস্ব কোনও টিকা উৎপাদন না হত, তাহলে কী পরিস্থিতির সৃষ্টি হত?"

PM Narendra Modi: 'আমি সমালোচকদের সম্মান করি, কিন্তু...', টিকাকরণ নিয়ে বিরোধীদের মোক্ষম 'খোঁচা' প্রধানমন্ত্রীর
ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর। ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2021 | 1:10 PM

নয়া দিল্লি: টিকাকরণে (COVID Vaccination) একের পর এক নজির গড়ছে দেশ। চলতি সপ্তাহেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের ৬৯ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার একটি ডোজ় এবং ২৫ শতাংশ মানুষ দুটি ডোজ়ই পেয়েছেন। দেশের টিকাকরণের এই সাফল্যের জন্য বিশেষ কাউকে নয়, বরং আত্মনির্ভরতাকেই কৃতিত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।

সম্প্রতিই একটি ম্যাগাজিনের সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভাবুন তো যদি ভারতে নিজস্ব কোনও টিকা উৎপাদন না হত, তাহলে কী পরিস্থিতির সৃষ্টি হত? আমরা জানি যে বিশ্বের বড় একটি অংশের কাছেই এখনও অবধি কোনও করোনা টিকা নেই। আজ টিকাকরণে আমাদের এই সাফল্যের জন্য় আমি দেশের আত্মনির্ভরতাকেই কৃতিত্ব দেব।”

বর্তমান সরকার যে বিজ্ঞান ও গবেষণায় বিশেষ জোর দিচ্ছে, এ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ২০২০ সালের মে মাস থেকে টিকাকরণ কর্মসূচির পরিকল্পনা শুরু করেছিলাম, যখন বিশ্বেও কোনও টিকা অনুমোদনের ধারেকাছে আসতে পারেনি। আমরা আগে থেকেই টিকাকরণ কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছিলাম, কারণ পুরনো পদ্ধতিতে ঢিমেতালে টিকাকরণ চলুক, সেটা চাইনি আমরা। আমরা দ্রুত, সময়োপযোগী ও কার্যকরী একটি টিকাকরণ কর্মসূচি চেয়েছিলাম। এই গণটিকাকরণ কর্মসূচি সফল করতে প্রযুক্তি শিরদাঁড়ার মতো করেছে।”

দেশের টিকাকরণ কর্মসূচি যেখানে গোটা বিশ্বে প্রশংসিত, সেখানেই বিরোধীরা নানা অভিযোগ ও সমালোচনা করেছে। প্রধানমন্ত্রী এর জবাবে বলেন, “আমি সমালোচকদের যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি। কিন্তু দুঃখের কথা হল, সেই সমালোচকদের সংখ্যা খুবই কম। অধিকাংশ মানুষই কেবল অভিযোগ করেন। যারা সাধারণ মানুষের চিন্তাধারা নিয়ে খেলে, তাদের সংখ্যাটাই অনেক বেশি। এর কারণও রয়েছে। সমালোচনা করার জন্য় অনেক পরিশ্রম করতে হয়, গবেষণা করতে হয়। বর্তমানে দ্রুতগতির জীবনে মানুষের হাতে এত সময় নেই, তাই তারা অভিযোগ করেন শুধু। আমি মাঝেমধ্যে সমালোচকদের মিস করি। ”

ফের টিকাকরণ প্রসঙ্গে ফিরে এসেই প্রধানমন্ত্রী আগামিদিনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “টিকাকরণের সাফল্য বোঝার জন্য আমাদের তথ্য, পরিকল্পনা ও অগ্রগতিকে বুঝতে হবে। দেশজুড়ে এই টিকাকরণ কর্মসূচি পরিচালনা করতে বিপুল সংখ্যক মানুষ একজোট হয়ে এই কর্মযজ্ঞে নাম লিখিয়েছেন।”

চলতি বছরের শুরুতেই সেরাম সংস্থার কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের টিকা জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, এখন আর গরিব মানুষদের অপেক্ষা করে থাকতে বা ঘুষ দিতে হয় না কোনও পরিষেবা পাওয়ার জন্য। একজন পরিযায়ী শ্রমিক প্রথম টিকা নিজের গ্রামে নিলে দ্বিতীয় টিকার জন্য তাঁকে আর ফেরত আসতে হয় না। তিনি যে শহরে কাজ করেন, সেখান থেকেই নিতে পারবেন। প্রযুক্তির উন্নতিতেই সঠিক সময়ে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।