Coal Crisis: আঁধার নয়,উৎসবে দেশকে আলো ঝলমলে রাখতে বিকল্প পথ দেখাল প্রধানমন্ত্রীর দফতর

PMO Plan on Coal Crisis: সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে শক্তি মন্ত্রকের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে, নিজেদের গ্রাহকের প্রয়েজনীয়তা ও চাহিদা মেটাতেই যেন শুধু সেন্ট্রাল জেনারেটিং স্টেশনের অব্যবহৃত বা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়।

Coal Crisis: আঁধার নয়,উৎসবে দেশকে আলো ঝলমলে রাখতে বিকল্প পথ দেখাল প্রধানমন্ত্রীর দফতর
কীভাবে দূর করা হবে বিদ্যুৎ সঙ্কট? ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 13, 2021 | 3:27 PM

নয়া দিল্লি: উৎসবের মরশুমে যাতে আঁধারে না ডোবেন দেশবাসী, সেই লক্ষ্যে বাধাহীন বিদ্যুৎ পরিষেবা (Electricity Supply) পৌঁছে দিতে এক বিশেষ পরিকল্পনার কথা জানানো হল প্রধানমন্ত্রীর দফতরের (PMO) তরফে। মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রকের (Union Power Ministry) তরফে জানানো হয়েছিল, যে সমস্ত রাজ্যে বিদ্য়ুৎ সরবরাহ সংস্থাগুলি গ্রাহসকদের বিদ্যুৎ সরবরাহের বদলে বেশি হারে বিদ্য়ুৎ বিক্রি করছে, তাদের থেকে অনাবশ্যক বিদ্যুৎ কেড়ে নেওয়া হবে।

সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে শক্তি মন্ত্রকের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে, নিজেদের গ্রাহকের প্রয়েজনীয়তা ও চাহিদা মেটাতেই যেন শুধু সেন্ট্রাল জেনারেটিং স্টেশনের অব্যবহৃত বা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সহায়ক পিকে মিশ্র, কয়লা সচিব অনিল কুমার জৈন, শক্তি মন্ক্রকের সচিব অলোক কুমৈর ও রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান সুনীত শর্মার সঙ্গে যে বৈঠক করেন, তাতেই এই পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকেই স্থির করা হয় যে, কোল ইন্ডিয়া প্রতিদিন অতিরিক্ত ২ লক্ষ টন কয়লা অতিরিক্ত উৎপাদন করবে, যাতে দেশে দৈনিক কয়লার উৎপাদন বেড়ে ২.১ মিলিয়ন টনে দাঁড়ায়। দেশের অভ্যন্তরে যে পরিমাণ কয়লা উৎপাদন হচ্ছে, তার উপর থেকে চাপ কমাতে ১৭.০৬ গিগাওয়াট আমদানিকৃত কয়লা থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে বলে স্থির করা হয়েছে।

সোমবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী ও শক্তি মন্ত্রী রাজ কুমার সিংয়ের সঙ্গে দেশের কয়লা ও বিদ্য়ুৎ সঙ্কট নিয়ে কথা বলেন। একাধিক রাজ্যের তরফে যে বিদ্যুৎ সঙ্কটের কথা বলা হচ্ছে, সেই বিষয়েও কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর এই বৈঠকের পরদিনই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফেও বৈঠকে বসা হল এবং বর্তমানে দেশে কত পরিমাণ কয়লা মজুত রয়েছে, আদৌই সঙ্কটমূলক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কিনা, বিকল্প কী চিন্তাভাবনা করা হয়েছে, এই যাবতীয় বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকালের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে য়ে, ভারতীয় রেলওয়ের তরফে অতিরিক্ত রেকের ব্যবস্থা করা হবে কয়লা সরবরাহের জন্য। কমপক্ষে ৬০টি রেলওয়ে রেকের ব্যবহার করা হবে অতিরিক্ত ২ লক্ষ টন কয়লা সরবরাহের জন্য। কোল ইন্ডিয়াই অতিরিক্ত কয়লা সরবরাহের দায়িত্বভার নিয়েছে।

অন্যদিকে, সমস্ত রাজ্য় ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে শক্তিমন্ত্রকের তরফে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন পড়লে রাজ্যগুলিকে প্রথমে মন্ত্রকে জানাতে হবে। সেই আবেদন অনুযায়ীই যে রাজ্য়গুলিতে বিদ্যুতের প্রয়োজন রয়েছে, সেখানে পাঠানো হবে। একইসঙ্গে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, “একাধিক রাজ্যে দেখা গিয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদক সংস্থাগুলি গ্রাহকদের পর্য়াপ্ত পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে না এবং লোডশেডিং করছে একাধিক অঞ্চলে। এদিকে, সেই সংস্থাই চড়া দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করছে।”