PM Narendra Modi on Inflation: নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে মূল্যবৃদ্ধি! ২০১৪ সাল থেকে পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন নমো
Parliament Budget Session: ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার কখনও সাত শতাংশের উপরে যায়নি। করোনা মহামারীর আগে এই পরিসংখ্যান ছিল পাঁচ শতাংশেরও নিচে।
নয়া দিল্লি : বিরোধীদের দিক থেকে, মূলত কংগ্রেস শিবির থেকে সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক বার দেশের মূল্যবৃদ্ধির (Inflation) ইস্যুতে কেন্দ্রকে আক্রমণ করা হয়েছে। এবার তার পাল্টা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। গত সাত বছরে অর্থাৎ, ২০১৪ সালে থেকে তাঁর সরকারের খতিয়ান তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের অতীতকেও স্মরণ করিয়ে দিলেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধির জন্য বিরোধীদের অভিযোগের জবাবে মোদী জানিয়ে দেন, ২০১৪ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার কখনও সাত শতাংশের উপরে যায়নি। করোনা মহামারীর আগে এই পরিসংখ্যান ছিল পাঁচ শতাংশেরও নিচে। একইসঙ্গে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে এই পরিসংখ্যান দ্বিগুণে পৌঁছে গিয়েছিল, সেই কথাও কংগ্রেস সাংসদদের স্মরণ করিয়ে দেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রী লোকসভায় বলেন, “বিরোধীরা এখন মুদ্রাস্ফীতির ইস্যু তুলছে, তাঁদের সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন তাঁরা এই বিষয়টি উত্থাপন করলে ভাল হত। মহামারীতেও আমাদের সরকার মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছে। ২০১৪-২০২০ সাল পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল পাঁচ শতাংশের নিচে ছিল।” একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস সরকারের আমলের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকেও একহাত নেন। বক্রোক্তির সুরে বলেন, “অর্থনীতির বিষয়ে খবরের কাগজে বড় বড় কথা লেখেন চিদম্বরম। কিন্তু নিজের রেকর্ডের কথা ভুলে যান। ২০১২ সালে তিনি বলেছিলেন, মানুষ যখন ১৫ টাকা দিয়ে জলের বোতল কিনছে, ২০ টাকা দিয়ে আইসক্রিম কিনছে, তখন তাঁদের কোনও সমস্যা হচ্ছে না। শুধু চাল, গমের দাম এক টাকা বাড়ানোটাই তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না।” অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “এই ছিল মুদ্রাস্ফীতির প্রতি আপনার সরকারের মনোভাব। কংগ্রেস তাদের ‘গরীবি হটাও’ স্লোগানের কারণে বেশ কয়েকটি নির্বাচনে জিতেছে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে।”
একইসঙ্গে স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সরকারের কথাও তুলে আনেন মোদী। বলেন, “পন্ডিত নেহরু লাল কেল্লা থেকে বলেছিলেন (তখন বিশ্বায়ন ছিল না) – ‘কোরিয়ার যুদ্ধ আমাদের মুদ্রাস্ফীতিকে প্রভাবিত করছে। সে কারণে দাম বেড়ে যাচ্ছে এবং সেগুলি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।’ ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এইভাবে দেশের মানুষের দায়দায়িত্ব থেকে হাত তুলে নিয়েছিলেন।” একইরকমভাবে অতীতে যে আমেরিকার ‘অজুহাত’ দেওয়া হত, তাও মনে করিয়ে দেন মোদী। বলেন, “আমেরিকায় কিছু ঘটলে, এটি আমাদের জিনিসপত্রের দামকে প্রভাবিত করে। ভাবুন মূল্যস্ফীতির সমস্যা কতটা গুরুতর ছিল – নেহেরুকে লাল কেল্লা থেকে এই কথা বলতে হয়েছিল। আপনারা যদি আজ ক্ষমতায় থাকতেন, তাহলে আপনারা মুদ্রাস্ফীতির জন্য করোনা ভাইরাসকে দায়ী করতেন এবং দায়িত্ব থেকে পালিয়ে যেতেন।”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা