‘স্বামীত্ব’: জমি ও সম্পত্তির ‘ঐতিহাসিক’ ই-প্রপার্টি কার্ড বিতরণে নমো
কেন্দ্রের দাবি, ই-প্রপার্টি কার্ড থাকলে জমির ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদ থাকবে না। গ্রামীণ মানুষ নিজেদের জমি ও অন্যান্য সম্পত্তি অর্থনৈতিক লগ্নির জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ সালের মধ্যে ছয় লক্ষ ৬২ হাজার গ্রাম স্বামীত্ব যোজনার আওতায় আসবেন।
দেশ: ই-প্রপার্টি কার্ড। যা থাকলে গ্রামীণ মানুষ নিজেদের জমি ও অন্যান্য সম্পত্তি অর্থনৈতিক লগ্নির জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণও মিলবে এই কার্ড দেখিয়ে। শনিবার ‘স্বামীত্ব’ বা মালিকানা প্রকল্পের আওতায় সেই ই-প্রপার্টি কার্ডের আনুষ্ঠানিক বিতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi)।
জানা গিয়েছে, জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস উপলক্ষ্যে ৪.০৯ লক্ষ ভূমি মালিককে এই ই-প্রপার্টি কার্ড তুলে দেবেন তিনি। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামিকাল বেলা ১২ টায় ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই কার্ড বিতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে ‘ন্যাশনাল পঞ্চায়েত অ্যাওয়ার্ড ২০২১’-এর পুরস্কারও প্রদান করবেন।
কেন্দ্রের দাবি, ই-প্রপার্টি কার্ড থাকলে জমির ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদ থাকবে না। গ্রামীণ মানুষ নিজেদের জমি ও অন্যান্য সম্পত্তি অর্থনৈতিক লগ্নির জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ সালের মধ্যে ছয় লক্ষ ৬২ হাজার গ্রাম স্বামীত্ব যোজনার আওতায় আসবেন। গ্রামের জমি ও সম্পত্তির মালিকানা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ডিজিটাল অ্যাপে নথিবদ্ধ থাকবে। এর ফলে জমির ভাগাভাগি নিয়ে কোনও গোলমাল থাকবে না বলে দাবি সরকারের। একই সঙ্গে স্থাবর সম্পত্তি লগ্নি করে অর্থনৈতিক সুবিধা মিলবে গ্রামীণ নাগরিকদের। এমনই সব লক্ষ্যে গত বছর স্বামীত্ব (সার্ভে অফ ভিলেজেস অ্যান্ড ম্যাপিং উইথ ইম্প্রোভাইজড টেকনোলজি ইন ভিলেজ এরিয়াস) প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন মোদী। একে ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে বর্ণনা করেছিলেন। এবার সেই কার্ডের আনুষ্ঠানিক বিতরণ হতে চলেছে তাঁর হাত ধরে।
আরও পড়ুন: দ্রুত অক্সিজেন পৌঁছে দেবে রেল ও বায়ুসেনা, মুখ্যমন্ত্রীদের আশ্বাস নমোর
পাশাপাশি শনিবার ‘ন্যাশনাল পঞ্চায়েত অ্যাওয়ার্ড ২০২১’-এর পুরস্কারও প্রদান করবেন মোদী। এই পুরস্কারের ক্যাটেগরিতে রয়েছে দীনদয়াল উপাধ্যায় পঞ্চায়েত স্বশক্তিকরণ পুরস্কার। রয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত উন্নয়ন পরিকল্পনা পুরস্কার, ই-পঞ্চায়েত পুরস্কার ইত্যাদি। পাঁচ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত এই পুরস্কার অর্থ সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ট্রান্সফার করবেন প্রধানমন্ত্রী। এমন উদ্যোগ এই প্রথম বলে জানাচ্ছে কেন্দ্র।