Stock market scam: স্টক মার্কেট কেলেঙ্কারিতে যুক্ত মোদী-শাহ? সরকার গঠনের আগেই আক্রমণাত্মক রাহুল

Stock market scam: নতুন সরকার এখনও গঠন হয়নি। তার আগেই, বৃহস্পতিবার (৬ জুন), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কিছু গুরুতর অভিযোগ তুললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ৪ জুন ভোটের ফল বের হওয়ার পর শেয়ার বাজারে যে পতন ঘটেছিল, তার পিছনে কেলেঙ্কারি জড়িয়ে বলে দাবি রাহুলের। নিশানা করলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহকে। চাইলেন যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত।

Stock market scam: স্টক মার্কেট কেলেঙ্কারিতে যুক্ত মোদী-শাহ? সরকার গঠনের আগেই আক্রমণাত্মক রাহুল
stock market bloodbath Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Jun 06, 2024 | 7:23 PM

নয়া দিল্লি: ভেঙে গিয়েছে ১৭তম লোকসভা। নতুন সরকার এখনও গঠন হয়নি। তার আগেই, বৃহস্পতিবার (৬ জুন), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কিছু গুরুতর অভিযোগ তুললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। নির্বাচন চলাকালীন, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বারংবার লগ্নকারীদের শেয়ার কেনার পরামর্শ দিয়েছিলেন। বুথ ফেরত সমীক্ষায় বিজেপির দুর্দান্ত জয়ের ইঙ্গিত পেয়ে, ফল প্রকাশের আগের দিন রেকর্ড বৃদ্ধি ঘটেছিল শেয়ার বাজারে। কিন্তু, পরদিন ফলাফল বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলিকে মিথ্যে প্রমাণ করে দেওয়ার পরই, বড়-সড় ধস নেমেছিল শেয়ার বাজারে। মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে খুচরো লগ্নিকারীদের। এই পুরো বিষয়টিকে এদিন ভারতের ইতিহাসে সবথেকে বড় স্টক মার্কেট কেলেঙ্কারি বলে দাবি করেছেন রাহুল। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ৪ জুন শেয়ার বাজারের বিপর্যয়ের বিষয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত দাবি করা হয়েছে।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ক্রোনোলজি বোঝান রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ১৩ মে বিদায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, একটি নির্দিষ্ট সংবাদ চ্যানেলে, ৪ জুনের আগে শেয়ার কেনার পরামর্শ দিয়েছিলেন লগ্নিকারীদের। ১৯ মে, ওই একই চ্যানেলে নরেন্দ্র মোদী খোদ বলেছিলেন, ৪ জুন স্টক মার্কেটে রেকর্ড হবে। ২৮ মে একই কথার পুনরাবৃত্তি করেছিলেন তিনি। এরপর, ১ জুন সামনে এসেছিল বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলির ফল। তাতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল ৩৭০ থেকে ৪০০ আসন পেতে চলেছে বিজেপি। রাহুল দাবি করেন, বিজেপির অভ্যন্তরীন মূল্যায়নে নাকি বলা হয়েছিল, ২২০ আসন পেতে পারে বিজেপি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও নাকি জানিয়েছিল, ২০০ থেকে ২২০ পেতে পারে বিজেপি। অর্থাৎ, বিজেপির যে খারাপ ফল হতে চলেছে, তা জানতেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

এরপর ৩ জুন, স্টক মার্কেট আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। আর ৪ জুন ভোটের ফল বের হওয়ার পর, এক ধাক্কায় পড়েছিল স্টক মার্কেট। তথ্য দিয়ে তিনি জানান, ৩০ এবং ৩১ মে স্টক মার্কেটে, তার আগের দিনগুলির তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ লগ্নি এসেছিল। রাহুলের দাবি, যারা জানতেন স্টক মার্কেটে কিছু করসাজি চলছে, তাঁরাই এই সময়ে লগ্নি করেছিলেন। হাজার কোটি টাকা লগ্নি করা হয়েছিল। বিদেশি লগ্নিকারীরাও টাকা লাগান। এরপর, ৪ জুন ৩০ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয় খুচরো লগ্নিকারীদের। এরপরই রাহুল বলেন, “এটা ভারতের স্টক মার্কেটের সবথেকে বড় কেলঙ্কারি।” স্টক মার্কেটের এই কেলেঙ্কারি নিয়ে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নও তুলেছেন –

১. কেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লগ্নিকারীদের স্টক মার্কেটে বিনিয়োগের পরামর্শ দিলেন? লগ্নির পরামর্শ দেওয়াটা কি তারই কাজ?

২. কেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একই ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর মালিকানাধীন একই মিডিয়া হাউসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লগ্নির পরামর্শ দিলেন? ওই ব্যবসায়িক গোষ্ঠী স্টক মার্কেটে কারসাজি করার অভিযোগে সেবির (SEBI) তদন্তের আওতায় আছে বলেও জানান তিনি।

৩. বিজেপি, ভুয়ো এক্সিট পোলস্টার এবং সন্দেহভাজন বিদেশি লগ্নিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক কি? রাহুল জানান, এই বিদেশি লগ্নিকারীরা, এক্সিট পোল ঘোষণার একদিন আগেই বিনিয়োগ করেছিল এবং বিশাল লাভ করেছিল। যার জন্য ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে ৫ কোটি পরিবারকে, যারা স্টক মার্কেটে লগ্নি করে। ব্যয়ে একটি তাদের মধ্যে সংযোগ কী?

রাহুল বলেন, “এটা যে একটা আর্থিক কেলেঙ্কারি, এই বিষয়ে আমাদের কোনও সন্দেহ নেই। ৫ কোটি ভারতীয় খুচরো লগ্নিকারীর ক্ষতি করে, হাজার হাজার কোটি টাকা লাভ করেছেন কেউ। আর তাঁদের স্টক কেনার জন্য ইঙ্গিত দিয়েছিলে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এটা পৌজদারি অপরাধ। তাই আজ আমরা দাবি জানাচ্ছি, যৌথ সংসদীয় কমিটি এই ঘটনার তদন্ত করুক।”