Rahul Gandhi: দ্রুত রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ ফেরানো হোক, স্পিকারকে তোপ দেগে দাবি অধীরের
Adhir Chowdhury: সোমবার থেকে ফের অধিবেশন শুরু হবে। সেদিনই রাহুল গান্ধীকে ফিরিয়ে আনা হোক বলে স্পিকার ও তাঁর দফতরের কাছে আবেদন জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী।
নয়া দিল্লি: মোদী পদবি ফৌজদারি মামলায় সুরাট আদালত রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণার পরই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছিল। এবার সেই তৎপরতার সঙ্গেই রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়া হোক। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই আবেদন জানালেন লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। এপ্রসঙ্গে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ যেভাবে তড়িৎ গতিতে খারিজ করা হয়েছিল, এখন রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সেই তড়িৎ গতিতে কাজ কেন হচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
শুক্রবারই রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে সুরাট আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সাংসদ পদ ফিরে পেতে আপাতত কোনও বাধা নেই। কিন্তু, আদালতের রায়ের পর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। অথচ, রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে লোকসভার স্পিকার বা সেক্রেটারি জেনারেল কেন কোনও পদক্ষেপ করছেন না, তা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তোলেন অধীর চৌধুরী। যদিও এদিন ছুটির দিন বলে জানিয়েছেন সেক্রেটারি জেনারেল ও স্পিকার। এপ্রসঙ্গে ছুটির দিন রাহুল গান্ধীকে সাংসদ কোটায় প্রাপ্ত বাড়ি থেকে বের করার উদাহরণও তুলে ধরেন অধীর চৌধুরী।
রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ ফেরানোর ব্যাপারে স্পিকার ও সেক্রেটারি জেনারেল গাফিলতি করছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সংসদে ফেরানোর জন্য রাতেই স্পিকারকে ফোন করেছিলেন রাহুল গান্ধীকে। কোর্টের কাগজ, চিঠি দিতে তাঁর বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। কিন্তু, স্পিকার রাতে দেখা করতে সম্মত হননি, শনিবার সকালে দেখা করবেন বলে জানান। এরপর এদিন সকালে স্পিকার ওম বিড়লাকে ফোন করলে তিনি সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে তাঁর দফতরে কাগজ-পত্র জমা দিতে বলেন। অধীর চৌধুরী আরও বলেন, “সেক্রেটারি জেনারেলকে ফোন করলে তিনি জানান, আজ দফতর বন্ধ। স্পিকারের কাছে কাগজপত্র জমা দিন। তাঁর দিক থেকে আমার অফিসে কাগজপত্র আসবে। এরপর কাগজপত্র অন্তত সংসদে রিসিভ করানোর কথা বলতে সেক্রেটারি জেনারেল জানান, আজ ছুটির দিন।” কিন্তু, জরুরি ক্ষেত্রে ছুটির দিনেও চিঠি রিসিভ করার জন্য সংসদে ব্যবস্থা থাকে বলে জানান অধীর চৌধুরী। সেই ব্যবস্থা মোতাবেক লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলের পরামর্শ মেনে রাহুল গান্ধীকে সংসদে ফেরানোর কাগজপত্র ডাক ব্যবস্থার মারফৎ পাঠান অধীর চৌধুরী। কিন্তু, সংসদে সেই নথি গ্রহণ করে চিঠিতে স্বাক্ষর করলেও স্ট্যাম্প দেয়নি বলে অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবেই নথি জমা দেওয়ার কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছে।
এদিকে, সোমবার থেকে ফের অধিবেশন শুরু হবে। সেদিনই রাহুল গান্ধীকে ফিরিয়ে আনা হোক বলে স্পিকার ও তাঁর দফতরের কাছে আবেদন জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী। এপ্রসঙ্গে সেক্রেটারি জেনারেলের ছুটির দিন মন্তব্য প্রসঙ্গে অধীরের তোপ, “সাংসদ কোটায় প্রাপ্ত ওই বাড়ি থেকে যেদিন রাহুল গান্ধীকে বের করা হয়েছিল, সেদিনও ছুটির দিন ছিল। কিন্তু, সরকারের তরফে তৎপরতার কোনও খামতি ছিল না। এমনকি সুরাট আদালতের রায় গুজরাটি ভাষায় থাকলেও তড়িঘড়ি সেটি ইংরেজিতে অনুবাদ করানোর ব্যবস্থা করে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের পদক্ষেপ করা হয়।” অথচ আজ যখন শীর্ষ আদালতের রায় রাহুল গান্ধীর পক্ষে গিয়েছে, তখন তাঁকে সাংসদে ফেরানোর ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অধীর চৌধুরী।