Train Derailed: সূর্যনগরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আহতদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা রেলমন্ত্রীর, উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ
সূর্যনগরী এক্,প্রেস দুর্ঘটনার পরদিনই কম্পট্রোলার এবং অডিটর জেনারেল একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে রেললাইন ও রেল নেটওয়ার্ক সংস্কার নিয়ে যে রিপোর্ট রয়েছে, তা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
পালি: সূর্যনগরী এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় আহত যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সোমবার ট্রেন বেলাইন হওয়ার খবর পেয়েই দুর্ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং আহত ২৬ যাত্রীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি এই দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে রেলওয়ে সুরক্ষা কমিশনারকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাজস্থানের পালির কাছে বান্দ্রা-যোধপুর সূর্যনগরী এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ার খবর পেয়েই দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ওই দুর্ঘটনায় ট্রেনের ২৬ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। যার মধ্যে একজনের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। এছাড়া আরও ১৬ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। প্রত্যেক যাত্রীর স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন। তারপর সেখান থেকেই গুরুতর আহত যাত্রীকে ১ লক্ষ টাকা ও আহত ১৬ জনের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। এই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে রেলওয়ে সুরক্ষা কমিশনারকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। কারও গাফিলতি ধরা পড়লে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
Inspected the site. pic.twitter.com/ChU1dHbVFi
— Ashwini Vaishnaw (@AshwiniVaishnaw) January 2, 2023
ইতিমধ্যে এই দুর্ঘটনার পরদিনই কম্পট্রোলার এবং অডিটর জেনারেল একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে রেললাইন ও রেল নেটওয়ার্ক সংস্কার নিয়ে যে রিপোর্ট রয়েছে, তা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রেলওয়ে বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী জোনাল রেলওয়ে রেললাইন সংরক্ষণ এবং নজরদারির কাজ উপেক্ষা করছে। গত ২১ ডিসেম্বর সংসদেও এই রিপোর্টটি উত্থাপিত হয়েছিল। রেলওয়ে বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, গুরুত্বপূর্ণ রেলপথগুলিতে দু-মাসে অন্তত একবার আল্ট্রাসোনিক মেশিন দিয়ে নজরদারি চালানো উচিত বলে জানিয়েছে CAG।
প্রসঙ্গত, যোধপুর এক্সপ্রেসের ৯টি কামরার পিছনের ১৩টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। সেই সময় ট্রেনে ১ হাজার ১৩৫ জন যাত্রী ছিলেন। যার মধ্যে অধিকাংশই ঘুমোচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার পরই তড়িঘড়ি রেলের পদস্থ আধিকারিক সহ পুলিশ, দমকল বাহিনী ও অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। একেবারে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত কোচগুলির ভিতর থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উত্তর-পশ্চিম রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শশী কিরণ বলেন, “সোমবার ভোররাত ৩টে ২৭ মিনিটে বান্দ্রা-যোধপুর সূর্যনগরী এক্সপ্রেস পালি থেকে মারওয়ার জংশন ছাড়ার পরই ট্রেনটির ১৩টি কোচ লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ঘটনায় ট্রেনের ২৬ জন যাত্রীর আহত হন। সঙ্গে সঙ্গে যোধপুর থেকে ডিআরএম সহ অন্যান্য সিনিয়র আধিকারিকদের সঙ্গে আমরা উদ্ধারকাজ শুরু করি এবং আহত যাত্রীদের পালি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।” সন্ধ্যাতেই অবশ্য স্বল্প আহত ১৮ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও তিনি জানিয়েছেন। ট্রেনের বাকি যাত্রীরা যাতে সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন, তার জন্য সরকারি বাসেরও ব্যবস্থা করা হয় এবং রেলের তরফে হেল্পলাইন খোলা হয়।