Trans Tea Stall: দেশে প্রথম, রেল স্টেশনে চায়ের দোকান চালাচ্ছেন রূপান্তরকামীরা; টুইট উচ্ছ্বসিত রেলমন্ত্রীর
চায়ের দোকানের পরিচালনা থেকে যাবতীয় কাজের দায়িত্বে থাকবেন রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষজন।
নয়া দিল্লি: আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো রূপান্তরকামীদেরও (Transgender) বাঁচার অধিকার রয়েছে। রূপান্তরকামীদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে তৎপর নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তাই এবার খোদ রেলস্টেশনে (Rail Station) রূপান্তরকামীদের জন্য চায়ের দোকান খুলে দিল সরকার। রেলের তরফেই রূপান্তরকামীদের জন্য চায়ের দোকানটি খুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সেই দোকানের ছবি দিয়ে টুইট করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)।
টুইটার-পোস্টে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, রূপান্তরকামীদের জন্য চায়ের দোকানটি খোলা হয়েছে অসমের গুয়াহাটি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে। দোকানটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ট্রান্স টি স্টল’। রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরকামীদের এটাই প্রথম দোকান বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
India’s first “Trans Tea Stall” at a railway platform.
?Guwahati Railway Station pic.twitter.com/JSi8OS9VKM
— Ashwini Vaishnaw (@AshwiniVaishnaw) March 13, 2023
‘ট্রান্স টি স্টল’ নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এই চায়ের দোকানের পরিচালনা থেকে যাবতীয় কাজের দায়িত্বে থাকবেন রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষজন। মূলত, সমাজের মূল স্রোতে রূপান্তরকামীদের নিয়ে আসতেই একেবারে রেলের প্ল্যাটফর্মে ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য চায়ের দোকান খুলে দিল কেন্দ্র।
জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল (NEFR)-এর উদ্যোগেই গুয়াহাটি স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরকামীদের চায়ের দোকানটি খোলা হয়েছে। NEFR-এর সঙ্গে এই উদ্যোগে হাত মিলিয়েছে অসমের রূপান্তরকারী সম্প্রদায়ের সংগঠন। গত শনিবার এই চায়ের দোকানটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। খোদ উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার অংশুল গুপ্ত এই ‘ট্রান্স টি স্টল’-এর উদ্বোধন করেন। রূপান্তরকামীদের ক্ষমতায়নের জন্যই এই চায়ের দোকান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অসম ওয়েলফেয়ার বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান স্বাতী বিধাব বড়ুয়া।